ভারতে কোভিড তথা
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের সঙ্গে পশুর চেয়েও খারাপ ব্যবহার করা হচ্ছে বলে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। দিল্লির কেজরিওয়াল সরকারকে তিরস্কার করে সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, একজন
করোনা রোগীর দেহ আবর্জনার স্তূপের মধ্যে পাওয়া গেছে। একের পর এক রোগী মারা যাচ্ছে, কিন্তু কেউই তাদের সামান্যতম সাহায্য করার জন্য নেই।
গতকাল শুক্রবার (১২ জুন) এমন অভিযোগের পাশাপাশি দিল্লিতে কেন এত কম সংখ্যক
করোনা টেস্ট হচ্ছে, সে বিষয়েও অরবিন্দ কেজরিওয়াল সরকারের জবাব চেয়ে রুল জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট। খবর এনডিটিভির।
সর্বোচ্চ আদালত জানতে চেয়েছে, ‘যখন চেন্নাই এবং মুম্বাইয়ে
করোনা টেস্টের সংখ্যা দৈনিক ১৬ হাজার থেকে বাড়িয়ে ১৭ হাজার করা হচ্ছে সেখানে দিল্লিতে এই পরীক্ষা দিনে ৭ হাজার থেকে ৫ হাজারে নেমে গেছে কেন?’
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মহারাষ্ট্র এবং তামিলনাড়ুর পরেই
করোনা সংক্রমণের হিসাবে তৃতীয় স্থানে রয়েছে দিল্লি। রাজধানীতে এখনও ৩৪ হাজার ৬৮৭ জন রোগী রয়েছে এবং ১,০৮৫ জন মারা গেছে। এদিকে মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল আশঙ্কা করছেন, দিল্লিতে যেভাবে সংক্রমণ হচ্ছে, তাতে জুলাইয়ের মধ্যে সেখানে
করোনা রোগীর সংখ্যা সাড়ে ৫ লাখে পৌঁছে যাবে। তবে এই মহামারি মোকাবিলায় সব রকমের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে তার সরকার, এমন দাবিও করেন দিল্লি মুখ্যমন্ত্রী।
এদিকে মহামারি নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে কেন্দ্রের নির্দেশ ঠিকভাবে অনুসরণ না করার বিষয়টিও তুলে ধরে এএপি সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছে শীর্ষ আদালত। বিচারপতিরা বলেন, দিল্লির পরিস্থিতি শোচনীয়, ভয়ঙ্কর এবং উদ্বেগের। সেখানকার হাসপাতালগুলোর পরিস্থিতিও অত্যন্ত খারাপ, এমনকী মৃতদেহগুলোকেও ঠিকভাবে রাখা হচ্ছে না। রোগীদের পরিবারকেও মৃত্যুর খবর ঠিকমতো জানানো হচ্ছে না। কিছু কিছু ক্ষেত্রে তো পরিবারও শেষকৃত্যে অংশ নিতে পারেনি।
মহারাষ্ট্র এবং তামিলনাড়ুর পরেই
করোনা সংক্রমণের হিসাবে তৃতীয় স্থানে রয়েছে দিল্লি। রাজধানীতে এখনও পর্যন্ত ৩৪,৬৮৭ জন রোগী রয়েছে এবং ১,০৮৫ জন মারা গেছে বলে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে। এদিকে মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল আশঙ্কা করছেন যে দিল্লিতে যেভাবে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে তাতে আগামী জুলাইয়ের মধ্যে সেখানে
করোনা রোগীর সংখ্যা ৫.৫ লক্ষে পৌঁছে যাবে। তবে এই মহামারী মোকাবিলায় সবরকমের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে তাঁর সরকার, এমন দাবিও করেন দিল্লি মুখ্যমন্ত্রী।
এদিকে হাসপাতালে যথেষ্ট সংখ্যক বেড থাকা সত্ত্বেও ভর্তি হওয়ার জন্য এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে রোগীদের ছুটে বেড়াতে হচ্ছে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে তো এমন খবরও পাওয়া যাচ্ছে যে, দিল্লির সরকারি হাসপাতালের বারান্দা এবং প্রতীক্ষালয়ের মধ্যেও লাশ পড়ে রয়েছে। অথচ ওয়ার্ডের ভিতরে বেশিরভাগ বেডই ফাঁকা রয়েছে।"