পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন জানিয়েছেন, আফ্রিকা ৪০ লাখ বাংলাদেশি কৃষি শ্রমিক নিতে চায়। গতকাল শুক্রবার এক ভিডিও বার্তায় তিনি এ তথ্য জানান।
ড. মোমেন বলেন, আমি স¤প্রতি বেশ কিছু দেশের মন্ত্রীদের চিঠি দিয়েছি কৃষিখাতে যেনো তাদের দেশে আরো বাংলাদেশি শ্রমিক নিয়োগ দেয়। আমরা ভালো তথ্য পেয়েছি। সুদান, উগান্ডা, তানজানিয়া, গাম্বিয়া বাংলাদেশের ৪০ লাখ শ্রমিক কৃষি কাজে নিতে চায়। এই দেশগুলোতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতরা এ নিয়ে কাজ করছেন। সুতরাং একদিকে অসুবিধা আসছে অন্যদিকে নতুন নতুন সম্ভবনার সৃষ্টি হচ্ছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রবাসীরা বিদেশে বিভিন্ন কাজে সম্পৃক্ত থাকতে পারেন এ জন্য সরকার বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। বিশেষ করে মধ্যেপ্রাচ্যে। করোনা মহামারির কারণে তেলের দাম পড়ে যাওয়ায় সেই সকল দেশের সরকার প্রবাসী শ্রমিকদের দেশে ফিরে যেতে উদ্যোগ নিয়েছে। আমরা মধ্যেপ্রাচ্যের অনেক সরকারের সঙ্গে আলোচনা করেছি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে তারা আমাদের আবেদনে সাড়া দিয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত, সউদী আরব, জর্ডান, ওমান, কাতার ও কুয়েত। এ দেশগুলোকে আমরা বলেছি, তোমাদের দেশে আমাদের শ্রমিকেরা মরুভূমিকে একেবারে সবুজ করে ফেলেছে। এক সময় শাকসবজি তোমরা বিদেশ থেকে আনতে। আমাদের এ প্রবাসীদের যদি তোমরা রাখো, তাহলে তারা আরো বেশি করে মরুভূমিকে বাংলাদেশের মত সুজলা সুফলা গড়ে তুলবে। তিনি বলেন, আমি সেই দেশের সরকারগুলোকে বলেছি তোমরা তাদের অন্য কাজে সম্পৃক্ত করতে পারো, আমরা সহযোগিতা করব। দ্বিতীয়ত আমরা বলেছি, তোমরা তো হালাল গোস্ত খাও। তোমরা অস্ট্রেলিয়া-ব্রাজিল থেকে মাংস নেও। এখন থেকে তোমরা আমাদের কাছ থেকে হালাল গোস্ত নেও, চিকেন নেও। চাইলে বাংলাদেশে ইন্ডাস্ট্রি করতে পারো, তাহলে তোমাদের দেশের লোক খুশি হবেন।
এদিকে, বাংলাদেশে বিনিয়োগের আকর্ষণীয় ও অনুকুল পরিবেশ উল্লেখ করে অস্ট্রেলিয়ার কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহবান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন। অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিনেটর মারিসে আন পেইনির সাথে গত বৃহস্পতিবার ফোনে আলাপকালে তিনি এ আহবান জানান। ড. মোমেন বলেন, এ অঞ্চলের যেকোন দেশের তুলনায় বাংলাদেশে বিনিয়োগ লাভজনক। বাংলাদেশে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ বিদ্যমান। অন্য দেশ থেকে কোন কোম্পানি এদেশে বিনিয়োগ স্থানান্তর করতে চাইলেও বাংলাদেশ স্বাগত জানাবে। তিনি বলেন, বৈশ্বিক সমস্যা করোনা মহামারির কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে বাংলদেশ সরকার দেশে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি করতে চায়।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ১০০টি অথনৈতিক অঞ্চল সৃষ্টি করছে যেখানে অস্ট্রেলিয়ার বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগ করলে তারা যেমন লাভবান হবে, বাংলাদেশিদেরও কর্মসংস্থান হবে। এছাড়া বাংলাদেশে ২৮টি হাইটেক পার্ক এবং বিপুল সংখ্যক তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ জনগোষ্ঠী রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।