যেভাবে মাছ ভাজলে ভেঙে যাবে না
বাঙালির প্রতিদিনের খাবারে মাছ তো থাকেই। এটি সব খাবারের মধ্যে পুষ্টির অন্যতম উৎস। তাড়াহুড়ো করে
করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে সবার মাঝেই বেড়েছে দুশ্চিন্তা। সে সঙ্গে মানুষ করোনা পূর্ববর্তী সময়ের চেয়ে বেশি ঘুমাচ্ছে। জার্নাল কারেন্ট বায়োলোজিতে প্রকাশিত নতুন দুটি গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
গত বৃহস্পতিবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম এক প্রতিবেদনে এই খবর জানিয়েছে। করোনায় মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দেশগুলোতে ঘুম বেড়ে গেছে মহামারীর এই সময়ে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, শিক্ষার্থীরা দেরিতে ঘুমাতে যাচ্ছে এবং অনেক বেশি ঘুমাচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টেগ্রেটিখ সাইকোলোজি বিভাগের কেনেথ রাইট অ্যান্ড কলিগসের গবেষকরা মহামারীর আগে ও পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩৯ জন শিক্ষার্থীর ঘুমের সময় নিয়ে গবেষণা করেছেন।
তারা গবেষণায় খুঁজে পেয়েছেন, সাপ্তাহিক ছুটির দিনে গড়ে ২৪ মিনিট বেশি ঘুমাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। আর সপ্তাহের অন্যান্য দিনগুলোতে তা গড়ে ৩০ মিনিট বেড়ে যাচ্ছে। তাছাড়া অনেক বেশি শিক্ষার্থী এখন ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমাচ্ছে, যা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী বলে মত দেন বিশেষজ্ঞরা।
ঘুমের সময় বাড়লেও শিক্ষার্থীরা বিছানায় যাচ্ছে গড়ে ৫০ মিনিট পর। ছুটির দিনে তা হচ্ছে ২৪ মিনিট। সুইজারল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসেল সেন্টার ফর ক্রোনোবায়োলজির ক্রিস্টিয়ান ব্লুমের নেতৃত্বে করা দ্বিতীয় গবেষণায় সাধারণ মানুষের ঘুমের সময় বাড়ার বিষয়টিও খুঁজে পাওয়া গেছে।
ইউরোপের তিনটি দেশ অস্ট্রিয়া, জার্মানি ও সুইজারল্যান্ডের মানুষ গড়ে ১৩ মিনিট বেশি ঘুমাচ্ছেন। ব্লম মনে করছেন, ঘরে থেকে কাজ করছেন লোকজন। তাই দিনের বেলায় সব কাজ শেষ করছেন বলেই ঘুমানোর বেশি সময় পাচ্ছেন তারা। তবে ঘুমের মান কমছে বলে জানালেন ব্লম। তা বাড়াতে বেশি বেশি ব্যয়াম করতে বলছেন এই গবেষক এবং প্রাকৃতিক আলো গায়ে লাগাতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।