নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের আতঙ্কে মাথায় নিয়েই আগামী ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণা হল। প্রস্তাবিত বাজেটে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের জন্য ১৪৭৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকার বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছে। যেখানে চলতি অর্থ বছরের সংশোধিত বাজেটের চেয়ে আগামী অর্থ বছরের বরাদ্দ ২২ কোটি ৩৭ লাখ ১৬ হাজার টাকা বেশি। চলতি অর্থবছরে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে বরাদ্দ ছিল ১৪৫৬ কোটি ৫৬ লাখ ৮৪ হাজার টাকা। এবার এই মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাবিত বাজেটে বরাদ্দ বাড়লে ফুটবলে নেই কোন বরাদ্দ!
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০২০-২১ অর্থ বছরের বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। আগামী অর্থবছরের জন্য ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট উত্থাপন করেন তিনি। এর মধ্যে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের পরিচালনা ও উন্নয়ন ব্যয় মিলিয়ে সর্বমোট ১৪৭৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকার বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছে।
চলমান অর্থবছরের বাজেটে ফুটবলের জন্য ২০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছিল সরকার। এবার বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) চেয়েছিল এর দ্বিগুণ অর্থাৎ ৪০ কোটি টাকা। কিন্তু প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থমন্ত্রী ফুটবলের জন্য এক টাকাও বরাদ্দ রাখেননি। প্রস্তাবিত বাজেটে ফুটবলে কেন বরাদ্দ নেই? তা নিয়ে কোন ক্ষোভ নেই বাফুফের। করোনা দুর্যোগের কঠিন সময়ের বাস্তবতা মেনে নিচ্ছে তারা। এ প্রসঙ্গে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন শুক্রবার বলেন,‘বর্তমান সময়ে সরকারকে আরো অনেক বড় সমস্যা মোকাবেলা করতে হচ্ছে। করোনাকাল কেটে যাওয়া পর্যন্ত আমাদেরকে অপেক্ষা করতে হবে।’ তিনি যোগ করেন,‘করোনাভাইরাস আতঙ্কের সময়ে ঘোষিত জাতীয় বাজেটে ফুটবল ফেডারেশনের জন্য কোন বরাদ্দ থাকবে তা আমি আশা করিনি। বাজেটে বরাদ্দ রাখার জন্য চেষ্টাও করিনি। এর কারণ হলো, প্রথমে আমাদের সবাইকে বেঁচে থাকতে হবে। দেশে অনেক বড় বড় সমস্যা আছে সেগুলো সরকারকে মোকাবেলা করতে হবে। দেশে অনেক সেক্টর আছে সেখানে সরকার সহযোগিতা করছে এবং আগামীতে আরো করবে।’
সালাউদ্দিন আরো বলেন,‘এটা সত্য বাজেটে বরাদ্দ না পাওয়ায় আমাদের সমস্যা হবে। সবার যেমন আর্থিক সমস্যা হচ্ছে, ঠিক তেমনি বাফুফেরও সমস্যা হবে। তবে এসব মোকাবেলা করাই হবে আমাদের কাজ।’
প্রস্তাবিত বাজেটে ফুটবলের জন্য বরাদ্দ না থাকলেও হতাশ নন বাফুফে সভাপতি। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর ফুটবলের জন্য সহযোগিতা চাইবেন বলে জানান তিনি। সালাউদ্দিনের কথায়,‘বাজেটে বরাদ্দ না থাকা নিয়ে এখন চিন্তার কোন কারণ নেই। করোনা দুর্যোগ কেটে যাওয়ার পর যখন খেলা আরম্ভ হবে তখন দরকার হলে সরকারের কাছে আবার আবেদন করব অর্থ বরাদ্দের জন্য।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।