মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মাকিন কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিক জর্জ ফ্লয়েড হত্যার ঘটনা গোটা যুক্তরাষ্ট্রে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। সারা দেশজুড়ে চলছে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ। পুলিশ বিভাগের সংস্কারের দাবি উঠছে সমাজের বিভিন্ন স্তর থেকে। অবশেষে বাধ্য হয়ে সেই দাবিকে স্বীকৃতি দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পুলিশ বিভাগের সংস্কারের প্রাথমিক খসড়া দিলেন। যদিও ট্রাম্পের প্রস্তাব বিক্ষোভকারীদের আদৌ খুশি করবে কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট আশঙ্কা আছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার টেক্সাসের একটি চার্চের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন ট্রাম্প। সেখানেই তিনি জানান, পুলিশ বিভাগের সংস্কারের জন্য আরও অর্থ খরচ করা হবে। পুলিশকে আরও আধুনিক করে গড়ে তোলা হবে। সমাজের সমস্ত শ্রেণির সঙ্গে পুলিশের সম্পর্ক যাতে ভালো হয়, সেদিকে নজর দেওয়া হবে। পুলিশ সমাজ রক্ষা করে, তারা সমাজের বন্ধু। খবর ডয়চে ভেলের।
জর্জ ফ্লয়েডের হত্যার পর বিক্ষোভকারীরা ঠিক এর বিপরীত কথাই বলছিলেন। এমনকী, ডেমোক্র্যাটরাও দাবি তুলেছিলেন পুলিশ বিভাগের খরচ কমানোর। তাদের বক্তব্য, প্রয়োজনের অতিরিক্ত অর্থ পুলিশ বিভাগে খরচ করা হয়। দেশে পুলিশের সংখ্যাও প্রয়োজনের চেয়ে বেশি। ফলে পুলিশ বিভাগের বরাদ্দ কমিয়ে তা উন্নয়নের খাতে খরচ করা হোক। পাশাপাশি পুলিশ বিভাগের আমূল পরিবর্তনের প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছিল।
অনেকেরই অভিমত, মার্কিন পুলিশের মধ্যে বৈষম্য এখনও প্রকট। শুধু ফ্লয়েডের ঘটনা নয়, এর আগেও পুলিশের বিরুদ্ধে একাধিক বর্ণবৈষম্যের অভিযোগ উঠেছে।
ট্রাম্প অবশ্য গোড়া থেকেই এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তার বক্তব্য, বিক্ষোভকারীরা ভুল বার্তা দিচ্ছেন। মনে হচ্ছে কোটি কোটি সাধারণ মার্কিন বর্ণবিদ্বেষী। বাস্তব মোটেই তেমন নয়। একই সঙ্গে এ দিন পুলিশ বিভাগের প্রভূত প্রশংসা করেছেন তিনি। জানিয়েছেন, পুলিশ আছে বলেই দেশে শান্তি রয়েছে। সকলে সুরক্ষিত। একই সঙ্গে মিনিয়পোলিসসহ দেশের প্রতিটি প্রান্তে বিক্ষোভ ঠেকাতে ন্যাশনাল সিকিওরিটি গার্ড পাঠানোর কথাও ফের জানিয়েছেন তিনি। তার বক্তব্য, রাস্তার দখল পুলিশকে নিতেই হবে। তবে শান্তিপূর্ণভাবে।
স্বাভাবিকভাবেই ট্রাম্পের বক্তব্যের সঙ্গে এক মত নন বিক্ষোভকারীরা। তাদের বক্তব্য, দীর্ঘদিন ধরে বর্ণবাদ বজায় আছে যুক্তরাষ্ট্রে। ডোনাল্ড ট্রাম্প তা বন্ধ করার বিষয়ে কোনো ভূমিকাই গ্রহণ করেননি। ফলে আপাতত আন্দোলন থামবে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।