বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
করোনাভাইরাস উপসর্গে মৃত্যু হয় পাখি মন্ডলের। বৃহষ্পতিবর সকাল থেকে বাড়ীতেই লাশ পড়ে ছিলো। তার স্বজনরা লাস সৎকার তো দূরের কথা দেখতেও আসেননি। অবশেষে পুলিশ সদস্যরা তার লাশ চিতাই তুললো।
জানা যায়, ঢাকার ধামরাই পৌরসভার কায়েতপাড়া এলাকায় করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে পাখি মন্ডল (৩২) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর পর তার লাশ সৎকারে কোনো আত্মীয়স্বজন এগিয়ে না আসায় ধামরাই থানা পুলিশ ও স্থানীয় কাউন্সিলরের সহায়তায় মৃতের সৎকার করা হয়। মৃত্যুর খবর পেয়ে পালিয়ে যায় স্বজনরা।
বৃহস্পতিবার (১১ জুন) সকালে করোনা উপসর্গ নিয়ে পাখি মন্ডল বাড়িতেই মারা যান।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ধামরাই পৌরসভার কায়েতপাড়ার দীপক রায় মল্লিক নামে এক ব্যক্তি করোনা উপসর্গ নিয়ে এক সপ্তাহ আগে মারা যান। এরপর তার বাড়ির গৃহপরিচারিকা পাখি মন্ডলও ঠান্ডা, জ্বর ও কাশিতে ভুগছিলেন। সকালে তিনি মারা যান। কিন্তু তার কোনো আত্মীয়স্বজন লাশ দাহ করতে এগিয়ে আসেনি।
পরে বিকেলে স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর আরিফুল ইসলাম ধামরাই থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহাকে বিষয়টি জানান। এরপর ওসির নির্দেশে থানার এসআই খাইরুল ইসলাম, ধামরাই উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক নন্দ গোপাল সেন, পৌর কাউন্সিলর আরিফুল ইসলাম ও ধামরাই পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রাণ গোপালের সহায়তায় কায়েতপাড়ার নিজ বাড়ি থেকে পাখি মন্ডলের লাশ উদ্ধার করে স্থানীয় শ্মশানে সৎকার করা হয়।
ধামরাই থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহা জানান, ‘করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়ায় লাশ সৎকার করতে তার কোনো আপনজন এগিয়ে আসেনি। খবর পেয়ে আমার পুলিশ, পৌর কাউন্সিলর আরিফুল ইসলাম ও পূজা উদযাপন পরিষদের নেতার সহযোগিতায় বৃহস্পতিবার রাতে পাখি মন্ডলের লাশ স্থানীয় শ্মশানে দাহ করা হয়েছে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।