Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ০৪ জুলাই ২০২৪, ২০ আষাঢ় ১৪৩১, ২৭ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর সক্ষমতা ফাঁকা বুলি : সাউথ এশিয়ান মনিটর

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৯ জুন, ২০২০, ৬:৫০ পিএম

আজ মঙ্গলবার সাউথ এশিয়ান মনিটরে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতীয় সেনাবাহিনী প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বোকাদের দিনে, ১৮৯৫ সালের ১ এপ্রিল, এখন থেকে ১২৫ বছর আগে ওই সময়ের উপমহাদেশের ব্রিটিশ শাসক ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির মাধ্যমে। ইন্ডিয়ান আর্মি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ছিল কোম্পানির অর্থনৈতিক স্বার্থ সুরক্ষা করা, প্রতিবেশী রাজ্যগুলো জয় করা, বিদ্রোহ দমন, স্থানীয়দের দমন করা, ব্রিটিশ শাসকদের মর্যাদা রক্ষা করা, ব্রিটিশ সাম্রাজ্য দেখাশুনা করা ইত্যাদি

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ব্রিটিশদের কাছ থেকে ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা পাওয়ার পর ইন্ডিয়ান আর্মি বর্তমান সময়ের ভারতীয় সেনাবাহিনীতে পরিণত হয়। তবে মতাদর্শ, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য একই থাকে। একই ধরনের প্রশিক্ষণ অব্যাহত থাকে, একই ঐতিহ্য বহাল থাকে। অধিকন্তু, এখন পর্যন্ত ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী প্রায় একই ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। গোয়া, সিকিম, হায়দরাবাদ, জুনাগর ও আরো কয়েকটি স্বাধীন রাজ্য তারা দখল করেছে। তারা এখনো আসাম, মাওবাদী বিদ্রোহী, নাগাল্যান্ড, কাশ্মির, শিখ ইত্যাদি জাতিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লড়াই করছে। তারা এখনো পাঞ্জাব, হরিয়ানা, আসাম, বিহার, কাশ্মিরে স্থানীয় লোকজন এবং মুসলিম, খ্রিস্টান, শিখ, দলিত ও নিম্নবর্ণের হিন্দুসহ সংখ্যালঘুদেরকে দমন করে যাচ্ছে।

বস্তুত, অবস্থার আরো অবনতি ঘটে যখন মুসলিমদেরকে সরিয়ে রেখে সশস্ত্র বাহিনীতে তাদেরকে অন্তর্ভূক্ত করা হয় না। অবশ্য, তারা কিছু আলংকারিক ভিত্তি দেয়, কিন্তু ১৯৬৫ সালের পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধের পর থেকে কমান্ড, ক্ষমতা বা উচ্চ পদে মুসলিমদের রাখা হয় না। আবার ১৯৮০-এর দশকে শিখদের পবিত্রতম স্থান স্বর্ণমন্দিরে হামলার পর শিখদের বিরুদ্ধেও একই অবস্থান গ্রহণ করা হচ্ছে। সশস্ত্র বাহিনীতে শিখদের আর বিশ্বাস করা হয় না, তাদের গুরুত্বপূর্ণ কমান্ডে রাখা হয় না। সম্প্রতি ভারতীয় সেনাপ্রধান গুর্খাদের সম্পর্কে যে মন্তব্য করেছেন, তাতে গুর্খা রেজিমেন্টগুলোর ওপর বিরূপ প্রভাব পড়েছে। গুর্খারা মূলত নেপালি। ব্রিটিশরা তাদেরকে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে ভর্তি করিয়েছে। তারা তারেদকে সেরা লড়াকু সৈনিক বিবেচনা করত। তারা সারা ভারতে গুর্খাদের মোতায়েন করেছিল, প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধেও তাদের সারা দুনিয়ায় পাঠানো হয়েছিল। এখনো ভারতীয় সেনাবাহিনীতে তাদের বিরাট অংশ আছে এবং সাহসিকতার জন্য তারা পরিচিত। তা সত্ত্বেও ভারতীয় সেনাপ্রধানের লজ্জাজনক মন্তব্য তাদেরকে আহত করেছে। গুর্খাদের ব্যাপারে ভারত সরকারের নীতি কী হবে তাও অনিশ্চিত।

নিজেদের লোকদের দমন করার ব্যাপারে ভারতীয় সেনাবাহিনীর কুখ্যাতিও ব্যাপকভাবে জানা বিষয়। তাদের মানবাধিকার লঙ্ঘন সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। নিরপেক্ষ মানবাধিকার সংস্থাগুলোর মতে, মানুষের ইতিহাসে ভারত সব মানবাধিকার লঙ্ঘনের রেকর্ড ছাপিয়ে গেছে। বিশেষ করে কাশ্মির, পাঞ্জাব, আসাম, বিহার, নাগাল্যান্ডে তাদের রেকর্ড সবচেয়ে খারাপ।

কাশ্মির ও অন্য কয়েকটি রাজ্যে যুদ্ধাপরাধের জন্য ভারতের সামরিক ব্যক্তিদের ভিসা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছে। বস্তুত, আমি নিশ্চিত, আগে হোক আর পরে হোক, যুদ্ধাপরাধে জড়িততের শান্তি পেতেই হবে। ভারতীয় বাহিনীতে বেতন, ভাতা, সুযোগ-সুবিধা ইত্যাদির দিক থেকে উচ্চ পদস্থ অফিসার ও সাধারণ সৈনিকদের মধ্যকার ব্যবধান বিপুল। নিম্ন পদের সৈনিকদের যে পোশাক, জুতা, খাবার দেয়া হয়, তা মর্মান্তিক। অস্ত্র ও গোলাবারুদ সেকেলে। যুদ্ধ-মেশিনগুলো অকার্যকর। অকার্যকর যুদ্ধ-মিশন নিয়ে বিক্ষুব্ধ সশস্ত্র বাহিনী সুসজ্জিত, সুপ্রশিক্ষিত, সুপরিচর্যায় থাকা চীনা বাহিনীর সামনে টিকতে পারবে না।

ভারত ও চীনের দুই বাহিনীর মেজর জেনারেল পর্যায়ের আলোচনা ব্যর্থ হয়েছে। দুই পক্ষের মধ্যে উচ্চতর পর্যায়ে তথা লে. জেনারেল পর্যায়ে পরবর্তী আলোচনা হয়। লাদাখে ভারত ও চীনাদের মধ্যে সঙ্ঘাত নিয়ে পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত করতে জনসাধারণের সামনে আসছেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভারতীয় মিডিয়া চুপসে গেছে, বিষয়টি নিয়ে তেমন উচ্চবাচ্য করছে না। আর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কিছুটা রক্ষণশীল, তারা যেকোনো ধরনের কড়া বিবৃতি প্রদান থেকে সংযত রয়েছে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতীয় মিডিয়া ও সশস্ত্র বাহিনীর আগ্রাসী মনোভাব চীনের ক্ষেত্রে বিলীন হয়ে গেছে। ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর সক্ষমতা ইতোমধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে।

 



 

Show all comments
  • Shahin ৯ জুন, ২০২০, ৮:৪৫ পিএম says : 0
    This is real Indian Army power.
    Total Reply(0) Reply
  • Md. Akkas Ali Molla ৯ জুন, ২০২০, ৯:৩৫ পিএম says : 0
    ভারতের এই কুলাঙ্গার মোদি সরকার বাবরি মসজিদ ভেঙ্গে রাম মন্দির নির্মাণ করে ভারতের ধংস ডেকে আনবে।ওর পাপের ষোলকলা পরিপূর্ণ হয়েছে। আমার কাশ্মীরি ভাইয়েরাই ওর এই অপকর্মের প্রতিশোধ নিবে।ইনশাআল্লাহ্।
    Total Reply(0) Reply
  • সালেক আখতার ১০ জুন, ২০২০, ১১:৫৩ এএম says : 3
    বক্তব্য টি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন । শুধুমাত্র ভারত বিরোধী কথা দ্বারা পূর্ণ, যার সারবত্তা নেই। এমন ভিত্তিহীন, আজগুবি তথ্য দ্বারা কিছু নির্বোধ পাঠকের মন জয় করার প্রয়াস চালানো হয়েছে। ভারত এবং বাংলাদেশ সুদীর্ঘ কল ব্যাপী দুই প্রধান বন্ধু। শুধু ধর্মের তফাত থাকলেই ব্যবধান বৃদ্ধি পায়না। দুই দেশের সংস্কৃতি, ভাষা, ভাব বিনিময় শেষ হওয়ার নয়। আর সামরিক শক্তি? সে সম্পর্কে বলার অপেক্ষা রাখেনা । চতুর্দিকে শত্রুর অভাব নেই, বলা বাহুল্য, গণতন্ত্র এবং শান্তির দূত ভারত কে অনেকেই দুর্বল ভাবে ।আর এটাই হয়ে যায় তাদের ঐতিহাসিক ভুল। ভারতের সার্বভৌমত্ব আর অখণ্ডতাকে ধ্বংস করার চেষ্টা করলে তার পরিনাম হয় ভয়াবহ । বাষট্টি তে চিনা আগ্রাসনের জবাব ভারত সাতষট্টি তেই দিয়েছিল। একাত্তরে বাংলার অত্যাচারিত মানুষের প্রতিশোধ নিয়েছিল পাকিস্তানের কাছে। চীনে, আমেরিকার রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে ভারত দেখিয়েছিল বাংলার মানুষের পাশে কিভাবে দাঁড়াতে হয়। বিরানব্বইএ কারগিল যুদ্ধে পাকিস্তান কে উচিত শিক্ষা দিয়েছিল। আজও চীন দশবার ভেবে চলে যে , ভারত সীমান্তে উত্তেজনা ছড়ালে কি পরিমাণ হতে পারে। তাই সামরিক দক্ষতার প্রশ্ন বোকামির নামান্তর ।
    Total Reply(1) Reply
    • elu mia ১০ জুন, ২০২০, ৮:৩৬ পিএম says : 0
      আপনের আসল নামটা কি?চক্রবর্তী নাকে বন্দপাদ্ধয়?এত ভয় কিসের?নিজের আসল নাম দিয়ে কমেন্ট করেন।আর ভারত আর বাংলাদেশের মধ্য কোন বন্ধুত্ত নাই।ভারত এই দেশ থেকে খলি লুটপাট করে।"বাষট্টি তে চিনা আগ্রাসনের জবাব ভারত সাতষট্টি তেই দিয়েছিল"হা,হা,হা কি জবাব দিসে ভারত?ভারতের কিছু বড় অংশ এখনও চাইনার দখলে।সাহস থাকলে বহুত আগেই সেগুলা উদ্ধার করত ভারত।"বিরানব্বইএ কারগিল যুদ্ধে পাকিস্তান কে উচিত শিক্ষা দিয়েছিল।"আচ্ছা, তাই নাকি?এর জন্য আযাদ কাশ্মীর আর গিলগিট বালিস্থান পাকিস্থানের দখলে।ভারত পাকিস্থানের এক ইঞ্চি জমি দখল করতে পারে নায় আর পাকিস্থান ভারতের থেকে একটা বড় অংশ কাইরা নিসে।এতেই বুঝা যায় ভারত একটা দুর্বল দেশ।
  • Jahangir ১০ জুন, ২০২০, ৯:৪৪ পিএম says : 0
    Manob sresty howar por manob jatir moddoh hoitei.. camcah and camcami.dekha jasseh.. etah.aj.k.natun kisoh noy... Kintu..zeeb zantor moddeh emon shovab lokkho koriley khojeh pawa jabeh nah.... amar.kostu tah..shudoh ekhanei..amra manob jati.keno.emon.holam.. keno.etoh.nirbodh....?
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ