পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্ব প্রায় অচল। এর মধ্যে দেশে দেশে চলছে লকডাউন। পৃথিবীর প্রায় সব দেশের ধর্মীয় স্থাপনাগুলোতে নেয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। জনসাধারনের অংশগ্রহণ সীমিত করার পাশাপাশি নেয়া হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নানা উপায়।
এর মধ্যে এবছর হজ পুরোপুরি বাতিল না করে সীমিত সংখ্যক মুসল্লিকে অনুমতি দেয়ার পরিকল্পনা করছে সউদী আরব। সউদী কর্তৃপক্ষের সূত্রের বরাতে সোমবার এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবছর বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অন্তত ২৫ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসলিম হজ করতে সউদী আরব যান। হজ ও বছরব্যাপী ওমরাহ থেকে সউদী সরকারের বছরে আয় হয় অন্তত ১২০০ কোটি মার্কিন ডলার।
তবে এবছর করোনা সংক্রমণের কারণে সংশয় দেখা দিয়েছে হজ নিয়ে। সউদীতে ইতোমধ্যেই লক্ষাধিক মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। সংক্রমণ বাড়ছে বিশ্বের বেশিরভাগ দেশেই।
গত মার্চে বিশ্বব্যাপী মুসলিমদের আপাতত হজের পরিকল্পনা বাদ দেয়ার পরমর্শ দেয় সউদী কর্তৃপক্ষ, পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয় ওমরাহ পালন।
সম্প্রতি সউদী আরবের হজ সংশ্লিষ্ট দু’টি সূত্র রয়টার্সকে জানিযেছে, দেশটির কর্তৃপক্ষ এখন ‘প্রতীকী সংখ্যায়’ মুসল্লিদের হজের অনুমতি দেয়ার চিন্তা করছে।
সেক্ষেত্রে প্রত্যেক দেশের জন্য নির্ধারিত কোটার মাত্র ২০ শতাংশ মুসল্লিকে হজ করতে সউদী প্রবেশের অনুমতি দেয়া হতে পারে। তবে বয়স্কদের জন্য এ সুযোগ থাকবে না। এছাড়া সবাইকেই অতিরিক্ত স্বাস্থ্য পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হবে।
তবে এখনও সৌদির কিছু কর্মকর্তা করোনা ঝুঁকির কারণে এবারের হজ বাতিলের জন্য চাপ দিচ্ছেন বলে জানিয়েছে সূত্রটি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।