মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
পুলিশের নির্মমতায় কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যু নিয়ে আমেরিকায় বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। তারই মধ্যে নিউইয়র্ক এবং শিকাগো কারফিউ তোলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। দেশটির বিভিন্ন প্রদেশের প্রশাসনও মনে করছে, পুলিশ বিভাগে সংস্কার প্রয়োজন।
পুলিশ বিভাগে সংস্কার করা হবে, জনতাকে সেই আশ্বাস দিয়েই রোববার নিউইয়র্ক এবং শিকাগোতে কারফিউ শিথিল করেছে প্রশাসন। এর আগে শনিবারও ওয়াশিংটন, আটলান্টা, মিনেপোলিসে কারফিউ শিথিল করা হয়েছিল।
আমেরিকার মিনেপোলিসে গলায় পা দিয়ে জর্জ ফ্লয়েডকে হত্যা করেছিল সেখানকার পুলিশ। তারপর থেকেই দেশ জুড়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। প্রথামিক ভাবে প্রতিবাদ হিংসাত্মক হলেও ক্রমশ তা শান্তিপূর্ণ চেহারা নেয়। শনি এবং রোববারেও দেশের প্রায় প্রতিটি শহরেই বর্ণবিদ্বেষের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন সাধারণ মানুষ। স্লোগানে উঠে এসেছে সেই পুরনো কথা, ‘ব্ল্যাক লাইফ ম্যাটারস’। কৃষ্ণাঙ্গদের উপর নির্যাতনের নানা কথা নতুন করে উঠে এসেছে গত কয়েক দিনের আন্দোলনে।
শুধু আমেরিকাতেই নয়, ইউরোপের বিভিন্ন দেশেও। বিক্ষোভকারীরা বার বার প্রতিবাদ জানিয়েছেন পুলিশি বর্বরতার। অভিযোগ, পুলিশ বিভাগের মধ্যে বর্ণবাদী মানসিকতা এখনও প্রবল। এর আগেও একাধিকবার কৃষ্ণাঙ্গদের উপর পুলিশি অত্যাচারের অভিযোগ উঠেছে। ফলে আন্দোলনের গোড়া থেকেই বিক্ষোভকারীরা পুলিশ বিভাগের সংস্কারের দাবি তুলছিলেন।
প্রাথমিক ভাবে নিউইয়র্ক, ওয়াশিংটন ডিসি, মিনেপোলিস-সহ বিভিন্ন প্রদেশে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে, কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়েছে। ফলে বিক্ষোভের তেজও বেড়েছে। বিভিন্ন জায়গায় কারফিউ করে বিক্ষোভকারীদের আটকানোর চেষ্টা করেছে প্রশাসন। কিন্তু তাতেও ফল বিপরীত হয়েছে।
শনিবার থেকে একে একে বিভিন্ন প্রদেশ কারফিউ শিথিল করতে শুরু করে। আন্দোলনের মূলকেন্দ্র নিউ ইয়র্কে তা তোলা হয় রোববার। জনতাকে জানিয়ে দেওয়া হয়, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে আর কোনও বাধা নেই। একই সঙ্গে প্রশাসনিক স্তরেও পুলিশ বিভাগে সংস্কারের দাবি উঠেছে। কোনও কোনও জায়গায় বলা হচ্ছে, পুলিশ বিভাগ সম্পূর্ণ ভেঙে দিয়ে নতুন করে তৈরি করার কথা। শুধু তাই নয়, পুলিশের জন্য একেকটি রাজ্য যে বিপুল অর্থ ব্যয় করে তা-ও কমানোর দাবি তোলা হয়েছে। পুলিশের শিক্ষা নিয়েও সরব হয়েছেন অনেকে।
ডেমোক্র্যাট রাজনীতিবিদ আলেকজান্দ্রিয়া করটেজ বলেছেন, নিউ ইয়র্কে শুধুমাত্র পুলিশ বিভাগের পিছনে প্রায় ছয় বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ হয়। দ্রুত এই সেখানে ব্যয় সংকোচ করা দরকার। মিনেপোলিসে সিটি কাউন্সিলের ১৩ জন সদস্যের মধ্যে নয় জন দাবি তুলেছেন, দ্রুত পুলিশ বিভাগে ব্যয় সংকোচ হোক এবং প্রয়োজনে সেখানকার পুলিশ বিভাগ ভেঙে দিয়ে নতুন করে তৈরি করা হোক।
আমেরিকায় এ সব দাবি নতুন নয়। পুলিশের বিরুদ্ধে বর্ণবিদ্বেষ, জাতি বিদ্বেষ, ধর্মীয় বিভেদের অভিযোগ বহু দিনের। দীর্ঘ দিন ধরে দেশের বিভিন্ন মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান তা নিয়ে সরব হয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর ঘটনা আগুনে ঘি ঢেলেছে। প্রায় এক দশক পরে আমেরিকার বিভিন্ন অঞ্চলে কারফিউ করতে হয়েছে। এবং এই প্রথম, বিক্ষোভকারীদের পুলিশ বিভাগে সংস্কারের দাবি প্রশাসনিক মহলেও আলোড়ন তুলেছে। সূথ্র: এপি, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।