মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
পূর্ব লাদাখ সীমান্ত নিয়ে সৃষ্ট উত্তেজনা কমাতে গতকাল শনিবার ভারত-চীনের মধ্যে সামরিক পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে। আজ রোববার সেই বৈঠক নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিবৃতি দেয়া হয়েছে। তবে সেখানে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় এথনো শক্তি বৃদ্ধি করে চলেছে দুই দেশ।
ভারতের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক চুক্তি অনুযায়ী ‘শান্তিপূর্ণ ভাবে’ পরিস্থিতির সমাধান চায় দুই দেশই। সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশেই বৈঠক হয়েছে বলেও জানিয়েছে পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়। এই বিবৃতির পর কূটনৈতিকদের একাংশের ব্যাখ্যা, লাদাখ নিয়ে ধীরে ধীরে নমনীয় অবস্থান নিচ্ছে দুই দেশই।
গত মে মাসের শুরুর দিক থেকে পূর্ব লাদাখ সীমান্তের প্যাংগং লেক এলাকায় দু’দেশের সেনা মোতায়েন ঘিরে ভারত-চীন সম্পর্কে উত্তেজনা তৈরি হয়। টানা প্রায় এক মাস এই পরিস্থিতি চলার পর সামরিক পর্যায়ের বৈঠকের প্রস্তাব দেয় ভারত। প্রস্তাবে রাজি হয় বেইজিংও। সেই মতো শনিবার পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় চীনের অভ্যন্তরে মালডোতে ‘বর্ডার পার্সোনেল মিটিং পয়েন্ট’-এ শনিবার বৈঠকে বসেন দু’দেশের সেনা কর্তারা। ভারতের পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করেন ফোর্টিন্থ কোরের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল হরিন্দর সিংহ। চীনের পক্ষে ছিলেন তিব্বত মিলিটারি ডিস্ট্রিক্ট-এর কমান্ডার।
সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে বৈঠক হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়। বলা হয়েছে, ‘দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সামগ্রিক উন্নতি ও ভারত-চীন সীমান্তে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে দু’দেশের প্রধানদের মধ্যে বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক চুক্তি হয়েছে। সেই চুক্তি অনুযায়ী দু’দেশই শান্তিপূর্ণ ভাবে সীমান্ত বিবাদ মেটাতে চায়।’
চলতি বছর ভারত-চীন সম্পর্ক স্থাপনের ৭০ বছর পূর্ণ হচ্ছে। সেই বিষয়টি উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়েন বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘যত দ্রুত সমস্যা মিটবে, তত তাড়াতাড়ি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতি হবে বলে একমত হয়েছে উভয় পক্ষ।’ চীনের সঙ্গে সীমান্ত-বিবাদ মেটাতে ভারত কূটনৈতিক ও সামরিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়।
লাদাখ, সিকিম ও অরুণাচলে ভারত-চীন সীমান্তে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা নির্ধারণ নিয়ে বেইজিং-নয়াদিল্লি বিবাদ দীর্ঘদিনের। তার মধ্যেই পূর্ব লাদাখের প্যাংগং লেক এলাকায় প্রকৃত নিয়্ন্ত্রণরেখায় গত ৫ এবং ৬ মে দু’দেশের সেনা জওয়ানদের মধ্যে হাতাহাতি হয় বলে খবর মেলে। তার পর থেকে ভারত ও চীন উভয় দেশেরই সেনা মোতায়েন শুরু হয়। ভারতের অভিযোগ, চীনের সেনা ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করার জেরেই বিবাদ শুরু হয়। চীনের তরফেও পাল্টা একই অভিযোগ তোলা হয়। যদিও দু’দেশই একে অন্যের অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছে শুর থেকেই।
ওই সেনা মোতায়েন ঘিরে দু’দেশের সম্পর্কের অবনতি শুরু হয়। উভয় দেশই কড়া বার্তা দিতে থাকে। তবে কয়েক দিন পর থেকে দু’পক্ষই নমনীয় অবস্থান নেয়। শনিবারের সামরিক পর্যায়ের বৈঠকের পর পরিস্থিতি আরও কিছুটা স্থিতিশীল হবে বলেই মনে করছেন কূটনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। সূত্র: এবিপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।