প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
ঢাকাই সিনেমার শীর্ষ নায়ক শাকিব খান। এক যুগেরও বেশি সময় ধরে এককভাবে ঢালিউড রাজ করছেন তিনি। শুরুটা করেছিলেন নাম মাত্র একটি পারিশ্রমিক দিয়ে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে শাকিবের জনপ্রিয়তা। জনপ্রিয়তার সঙ্গে সময়ের সদ ব্যবহার করতে একদমই ভুলে যাননি শাকিব। তার অভিনীত প্রতিটি চলচ্চিত্রের জন্য প্রযোজকদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের পারিশ্রমিক নিয়ে থাকেন তিনি। নাম মাত্র পারিশ্রমিক দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করলেও শাকিবের পারিশ্রমিক এখন অর্ধ কোটিরও বেশি!
সম্প্রতি শোবিজের বাতাসে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে খান সাহেব নাকি নিজের পারিশ্রমিক কয়েক গুণ কমিয়ে দিয়েছেন! কারণটা অবশ্য করোনা ভাইরাস। এই মহামারির ভেতরে শাকিব তার পারিশ্রমিক ৬০ লাখ টাকা থেকে কমিয়ে মাত্র ১৫ লাখ টাকা নেবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন! তবে সংশ্লিষ্ট কেউ কেউ এটাকে খানিকটা মশকারার সঙ্গেই তুলনা করেছেন।
লকডাউনের কারণে যেখানে দীর্ঘদিন ধরে চলচ্চিত্রের সকল ধরনের কার্যক্রম স্থগিত। সেখানে পারিশ্রমিক কমিয়ে দেওয়ার প্রশ্নই আসে না শাকিবের! এমনটাই দাবি করেছেন সংয় কিং খানকে নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ করা কয়েকজন পরিচালক। তাদের ভাষ্য মতে অনেক দিন হলো অন্য সবার মতো বেকার অবস্থায় দিন যাপন করছেন শাকিব খান নিজেও। এখন চলচ্চিত্রের উপর সকল ধরণের নিষেধাজ্ঞা স্থগিত করা হয়েছে। শাকিব যদি এই মহামারির ভেতরে কোনো পরিচালককে সময় দেনও তাহলে আগের চেয়ে আবারও বেশি পারিশ্রমিক নেওয়ার কথা। সেখানে পারিশ্রমিক কমানোর এইসব নিউজ মিথ্যা বানোয়াট ছাড়া আর কিছুই নয়!
এদিকে খবর রটেছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান শাপলা মিডিয়ার কর্ণধার সেলিম খানের সঙ্গে পুরনো শত্রুতা ভুলে গিয়ে কাজে ফিরতে চান শাকিব খান। শুধু তাই নয়, সেলিম খানের প্রযোজনায় আগের চেয়ে কয়েকগুণ কম পারিশ্রমিকেও নাকি শাকিব কাজ করতে সম্মতি প্রদান করেছেন। তবে বিষয়টি নিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে কোনো গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায়নি শাকিব খান।
তবে শাপলা মিডিয়ার কর্ণধার সেলিম খান গণমাধ্যমে জানিয়েছেন, শাকিবকে নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণে তার কোনো আপত্তি নেই। তবে এই পরিস্থিতিতে বিগ বাজেটের চলত্রচ্চি নির্মাণ করলে লোকসান গুনতে হবে। সেজন্য শাকিবকে তার পারিশ্রমিকের বিষয়ে নতুন করে ভাবতে হবে।
সেলিম খানের এই কথার সূত্র ধরে সংশ্লিষ্টরা ধরাণা করছেন হয়তো খান সাহেবের বরফ গলতে শুরু করেছে। কারণ ২০১৬ সালে শাকিব খানের বিতর্কিত এক মন্তব্যের কারণে চলচ্চিত্র পরিবার তাকে বয়কটের দাবি তোলেন। সেই কঠিন সময়ে তার পাশে দাঁড়ান প্রযোজনা সংস্থা শাপলা মিডিয়া। পরে তাকে নিয়ে বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করে ওই প্রতিষ্ঠান। পরে শিডিউল জটিলতা সহ নানা কারণে তাদের সম্পর্কে চিড় ধরে। তবে সেলিম খানের সাম্প্রতিক এসব বক্তব্যে বলায় বাহুল্য যে, করোনাকাল কেটে গেলে হয়তো পারিশ্রমিক কমিয়েই শাপলা মিডিয়ার নতুন কোনো চলচ্চিত্রে দেখা যাবে ঢাকাই চলচ্চিত্রের কিং খানকে।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শাকিবের এক ঘনিষ্ঠজনের দাবি পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে কলকাতার চারটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করবেন শাকিব। ইতোমধ্যে দেশটির শীর্ষ দুই প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সুরিন্দ্র ফিল্মস এবং এসকে মুভিজের সঙ্গে ভার্চুয়াল মিটিং সেরেছেন শাকিব। তবে শাপলা মিডিয়ার সঙ্গে কোনো মিটিং হয়েছে বলে মন হয় না।
এদিকে ঢালিউডের এই শীর্ষ নায়কের পারিশ্রমিক কমানোর খবর প্রকাশ্যে আসতেই কিছুটা নড়ে চড়ে বসেছেন চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিচালকরা। অনেকেই মনে করছেন সত্যিই যদি শাকিব এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন তাহলে তাকে সাধুবাদ জানায়। কারণ দেশের চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রি কঠিন এক সময় অতিক্রম করছে। এই মুহুর্তে নায়কের পারিশ্রমিক কমানো সিদ্ধান্ত সত্যিই প্রশংসনীয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।