মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
যুক্তরাষ্ট্রে জাতীয় জরিপের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধক্ষেত্রের রাজ্যগুলোতে পরিচালিত জরিপে দেখা গেছে, প্রেসিডেন্ট পদে আগামী নভেম্বরের নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক দলের মনোনীত প্রার্থী জো বাইডেন তার প্রতিদ্বন্ধী ডোনাল্ড ট্রাম্পের থেকে অনেক এগিয়ে রয়েছেন। ফলে, ট্রাম্পের প্রচার কর্মকর্তারা তাদের প্রার্থীর কার্যক্ষমতার বিষয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন।
তিনটি সাম্প্রতিক জাতীয় জরিপেই দেখা গেছে, সম্ভাব্য ভোটারদের কাছে বেশি জনপ্রিয় বাইডেন। ৫০ শতাংশেরও বেশি উত্তরদাতা বলেছেন যে, তারা নভেম্বরে সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্টকে সমর্থন দেয়ার পরিকল্পনা করছেন। ২ থেকে ৩ জুন পর্যন্ত পরিচালিত ইমারসন সমীক্ষায় দেখা গেছে, ট্রাম্পের থেকে ৬ শতাংশ পয়েন্ট নিয়ে এগিয়ে রয়েছেন বাইডেন। ট্রাম্পের ৪৭ শতাংশের তুলনায় বাইডেনের সমর্থন ৫৩ শতাংশ।
একইভাবে, ২৮ শে মে থেকে ১ জুন পর্যন্ত অনুষ্ঠিত মনমথ জরিপে বাইডেনকে ৫২ শতাংশ ভোটারের সমর্থন পেতে দেখা গেছে। তবে সেই সমীক্ষায় ট্রাম্প তার থেকেও ১১ পয়েন্ট বেশি নিয়ে এগিয়ে ছিলেন। এর প্রায় উল্টো চিত্র দেখা গেছে ওয়াশিংটন পোস্ট এবং এবিসি নিউজের জরিপে। ২৫ থেকে ২৮ মে পর্যন্ত পরিচালিত এই জরিপে দেখা গেছে, বাইডেন ট্রাম্পের থেকে ১০ পয়েন্ট এগিয়ে রয়েছেন।
এমনকি সর্বশেষ ফক্স নিউজ জরিপ, যা ১৭ মে থেকে ২০ মে পর্যন্ত পরিচালিত হয়েছিল, তাতে দেখা গেছে, বাইডেন ট্রাম্পের চেয়ে ৮ পয়েন্ট এগিয়ে রয়েছেন। তাকে ৪৮ শতাংশ উত্তরদাতা সমর্থন করেছিলেন এবং ট্রাম্পের সমর্থন ছিল মাত্র ৪০ শতাংশ। রিয়েল ক্লিয়ার পলিটিক্স দ্বারা সংকলিত জাতীয় জরিপগুলোর বর্তমান গড়ও বাইডেনকে ট্রাম্পের চেয়ে প্রায় ৭ দশমিক ৮ শতাংশ এগিয়ে রেখেছে।
করোনাভাইরাস মহামারী সামলাতে ব্যর্থতা এবং জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকাণ্ড বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্টের জনপ্রিয়তা এক ধাক্কায় কমিয়ে দিয়েছে। ২৭০ ইলেক্টরাল ভোট অর্জনের জন্য তাকে এখন আন্ডারডগ বিবেচনা করা হচ্ছে।
২০১৬ সালে ৩০৬টি ইলেক্টরাল ভোট পেয়েছিলেন ট্রাম্প। যদি ট্রাম্প ২০১৬ সালের সব রাজ্য ধরে রেখে শুধু টেক্সাস হারান তিনি সব মিলিয়ে ২৬৮টি ভোট পাবেন। ফলাফল, বাইডেনের কাছে ২৭০-২৬৮ ভোটে হেরে যাবেন। মিশিগান, পেনসেলভেনিয়া ও উইলকিনসন হারালে তিনি ২৭৮-২৬০ ভোটে হারবেন। যদি অ্যারিজোনা, মিশগান ও পেনসেলভেনিয়া হারান তবে তিনি ২৭৯-২৫৯ ভোটে হারবেন। যদি ওহিও, মিশিগান ও উইলকিনসন হারান তবে ২৭১-২৬৭ ভোটে হারবেন। আর যদি অ্যারিজোনা, ওহিও এবং উইলকিনসন হারান, তবে ২৭১-২৬৭ ভোটে হেরে যাবেন।
এদিকে, নিউইয়র্ক টাইমস বুধবার জানিয়েছে যে ট্রাম্প প্রচারের কর্মকর্তারা নভেম্বরে তাদের প্রার্থীর জয়ের যোগ্যতা নিয়ে ক্রমশ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। সূত্র: নিউজ উইক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।