মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের টিকা তৈরিতে প্রাণান্ত চেষ্টা চলছে বিশ্বজুড়ে। ভাইরাসটির কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শিশুদের অন্যান্য রোগের টিকা খাওয়ানোর কার্যক্রমটা বিশ্বজুড়েই থমকে আছে। এতে প্রতিরোধযোগ্য রোগে বিশ্বে লাখ লাখ শিশু মারা যেতে পারে বলে হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। শুক্রবার (৫ মে) জুন এ কথা জানায় বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা ও ইউনিসেফ।
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এর মহাসচিব টেড্রস অ্যাডহ্যানম গেব্রেইয়েসাস এক যৌথ ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বলেন, কোভিড-১৯ বিশ্বব্যাপী জীবন রক্ষাকারী টিকাদান কার্যক্রম হুমকির মধ্যে ফেলে দিয়েছে।
বিভিন্ন ধনী ও গরিব দেশের লাখ লাখ শিশুর জীবন প্রাণঘাতী ডিপথেরিয়া, হাম ও নিউমোনিয়ার মতো রোগের ঝুঁকিতে ফেলে দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, বিশ্বে এখন নতুন করোনা ভাইরাসের নিরাপদ ও কার্যকরী ভ্যাকসিন খুঁজে বেড়াচ্ছে, কিন্তু অন্যান্য রোগ প্রতিরোধের টিকা- যেগুলো হাতের কাছেই রয়েছে সেগুলো এখনো সরবরাহ করা দরকার।
ট্রেডর্স বলেন, বিশ্লেষকদের মতে অন্তত ৬৮টি দেশে নিয়মিত টিকাদান কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে এবং এসব দেশে থাকা এক বছরের কম বয়সী প্রায় ৮ কোটি শিশুর জীবন ঝুঁকিতে রয়েছে।
জাতিসংঘের শিশু তহবিল (ইউনিসেফ), দ্য সাবিন ভ্যাকসিন ইনস্টিটিউট এবং ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স গাভি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলছে, প্রতিদিন অযথাই হাজার হাজার শিশুর মৃত্যু হতে পারে।
যেসব কারণে শিশুদের টিকা কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে : ১. বাবা-মার ভয়, বাড়ির বাইরে গেলে কভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হতে পারে। ২. স্বাস্থ্যকর্মীদের এখন মহামারী নিয়ন্ত্রণের কাজে ব্যবহার করছে কর্তৃপক্ষ। ৩. ক্লিনিকগুলোতে টিকা সরবরাহ করার ক্ষেত্রে সমস্যা।
ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক হেনরিয়েটা ফোরে বলেন, ‘হাম বেড়ে চলেছে, পাশাপাশি রয়েছে ডিপথেরিয়া ও কলেরা। কাজেই এটা বিরাট এক সমস্যার কারণ হতে পারে।
করোনাভাইরাসের কারণে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় ৩ কোটি ৪৮ লাখ ও আফ্রিকায় ২ কোটি ২৯ লাখ শিশুকে টিকা দেয়া যায়নি। এ কারণে নেপাল ও কম্বোডিয়ায় হাম; ইথিওপিয়ায় হাম, কলেরা ও হলুদ জ¦রের প্রাদুর্ভাব ঘটেছে।
জনস হপকিন্স ব্লুমবার্গ স্কুল অব পাবলিক হেলথ জানিয়েছে, মা ও শিশুর জন্য গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্যসেবা ব্যহত হওয়ার কারণে প্রতিদিন অতিরিক্ত ৬ হাজার শিশুর মৃত্যু হতে পারে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার টিকাদান বিভাগের প্রধান কেট ও’ব্রায়েন বলেন, ‘আমরা যেটা দেখছি, এসব রোগ আবার গর্জন দিয়ে ফিরে আসছে। এর ফলে আমার আরো অধিক সংখ্যক শিশুর মৃতুও দেখব, যা সাম্প্রতিক সময়ে নজিরবিহীন।’ তিনি বলেন, যদি সরকারগুলো এখনই পদক্ষেপ নেয় তবে বিপর্যয় অনেকটাই সামাল দেয়া যাবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।