পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব অর্থ বিপ্লব। দৈনিক ইনকিলাব সত্যিকার অর্থেই দেশের সংবাদপত্র জগতে বিপ্লব আনতে পেরেছে। প্রতিযোগিতার মধ্যে থেকেও সাংবাদিকতায় নতুন ধারা সৃষ্টি করেছে। দেশ ও জাতির যাপিত জীবন এবং পাঠকদের চিন্তা চেতনায় কিছুটা হলেও পরিবর্তন এনেছে। খবর প্রচারে সামাজিক দায়বদ্ধতা-নৈতিকতা চেতনার বাতিঘর হয়ে ইনকিলাব ৩৪ বছর অতিক্রম করলো।
আজ দৈনিক ইনকিলাব ৩৫ বছরে পা রাখল। করোনাভাইরাসের আতঙ্ক আর টিকে থাকার লড়াইয়ের এই পৃথিবীর সংকটময় সময়ে বাংলাদেশে কোন সংবাদপত্রের ৩৫ বর্ষে পদার্পণ খুব সহজ নয়। আল্লাহর বিশেষ রহমত, পাঠকের ভালবাসা, সম্পাদকের দৃঢ়তা আর ‘ইনকিলাবের জনগণের পক্ষে’ অবস্থান এখনো পত্রিকাটি সর্বস্তরের পাঠকের মধ্যে করছে সমাদৃত।
ইনকিলাব প্রতিষ্ঠা করেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত আলেম দেশের আলেমকুলের শিরোমনি ইসলামী চিন্তাবিদ দার্শনিক মাওলানা এমএ মান্নান (রহ)। তিনি ছিলেন একাধারে আধ্যাত্মিক মানুষ, আলেম, সমাজ সংস্কারক, সংগঠক, রাজনীতিবিদ এবং অসাধারণ ধীমান নেতা। তিনি রাজনীতি, এমপিত্ব ও মন্ত্রিত্বের মাধ্যমে দেশসেবার পাশাপাশি বুযুর্গ ব্যাক্তি এবং সমাজ সংস্কারক হিসেবে ইসলামী চেতনা সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে ইনকিলাব প্রতিষ্ঠা করেন। দেশের ইসলামী সংস্কৃতির বিকাশ, অবহেলিত আলেম সমাজের উন্নতি ও মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থাকে যুগোগপযোগী করে গড়ে তুলতে ইনকিলাব অসামান্য ভ‚মিকা পালন করেছে। ১৯৮৬ সালের ৪ জুন ‘দেশ ও জনগণের পক্ষে’ শ্লোগান নিয়ে প্রকাশনা শুরু হয়। সেই যে যাত্রা শুরু তা এখনো অব্যাহত রয়েছে।
দেশের ভিতরে বিদেশী সংস্কৃতির আগ্রাসনের মধ্যেই ইনকিলাবের জন্ম। অপসংস্কৃতির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ এবং দেশজ সংস্কৃতির চর্চায় মানুষকে উদ্বুদ্ধ করায় চলার পথে ইনকিলাব নানা প্রতিক‚লতার মুখে পড়েছে। ‘মৌলবাদীদের পত্রিকা’ তকমা দিয়ে কন্ঠরোধের চেস্টা হয়েছে বার বার। কিন্তু সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দীনের নেতৃত্বে এক ঝাঁক তরুণ-প্রবীণ সংবাদকর্মী ইনকিলাবকে এগিয়ে নিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে ইনকিলাবের পাঠক, বিজ্ঞাপন দাতা, সাংবাদিক, লেখকরাও গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করেছেন। মূলত ইনকিলাবের ঢাকার প্রধান অফিস থেকে শুরু করে আঞ্চলিক অফিস, জোনাল অফিস, জেলা, উপজেলা পর্যায়ের অফিসে কর্মরত সাংবাদিক ও সংবাদকর্মীরাই পত্রিকাটির নিবেদিতপ্রাণ সৈনিক হয়ে উঠেছেন। তারা সবাই মিলিতভাবেই হাজারো পত্রিকার ভিড়ে প্রতিযোগিতার বাজারেও নানামুখি সংকটের মুখে ইনকিলাবকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন সাহসের সঙ্গে। নানা বাধা-বিপত্তি, চোখ রাঙানি ও কণ্টকাকীর্ণ পথ পাড়ি দিয়ে ইনকিলাবকে এগিয়ে নিচ্ছেন।
৩৫ বছরে পদার্পনে দেশ-জাতির জন্য নিবেদিত ও স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের অঙ্গীকারে বলীয়ান দৈনিক ইনকিলাব নতুন প্রত্যয়ে দৃঢ়তার সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছে।
বিজ্ঞানের বদৌলতে সারাবিশ্বে এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অনেক শক্তিশালী। খবরের জন্য ২৪ ঘন্টা অপেক্ষা নয়; মিনিটেই খবর ছড়িয়ে পড়ে সবখানে। দেশেও আসংখ্য নতুন নতুন মিডিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। অসংখ্য পত্রিকার ভীড়ে এখনো হাজার হাজার পাঠক রয়েছেন তারা সব পত্রিকা পড়ার পরও ইনকিলাব না পড়া পর্যন্ত তৃষ্ণা মেটাতে পারেন না।
দেশে-বিদেশে অনেক পাঠকের এখনো ইনকিলাব না পড়লে মনে হয় সংবাদপত্র পড়া হয়নি। পাঠক মহলে এ অবস্থাটি সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছে বলেই ইনকিলাব অনন্য। ইনকিলাব যে অঙ্গীকার নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল ১৯৮৬ সালে ৩৪ বছর পরও সেই অঙ্গীকারের উপর দৃঢ়পদে রয়েছে।
করোনার পাদুর্ভাবে সারাবিশ্বের প্রিন্ট মিডিয়ার মতো বাংলাদেশের প্রিন্ট মিডিয়াও সংকটের মুখ পড়েছে। তারপরও ইনকিলাব এগিয়ে চলছে নিজস্ব গতিতে। ইনকিলাবের এই চলার পথে যারা সহায়তা করেছেন সেই পাঠক, বিজ্ঞাপন দাতা, লেখক সুভানুধ্যায়ীদের অভিনন্দন। অতীতের মতো আগামী দিনগুলোতেও ইনকিলাবের পাশে থাকবেন সে প্রত্যাশা রইলো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।