মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
অবশেষে ভারতীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং স্বীকার করেছেন, পূর্ব লাদাখে চীনের বিপুল সেনার অনুপ্রবেশ ঘটেছে। গতকাল মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যম সিএনএন নিউজ ১৮ কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এমন স্বীকারোক্তি দেন তিনি। লাদাখে চীনা বাহিনীর অনুপ্রবেশ নিয়ে প্রায় দুই সপ্তাহ লুকোচুরির পর এ স্বীকারোক্তি দিলেন তিনি।
মঙ্গলবার একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ভারতীয় মন্ত্রী বলেন, ‘এটা সত্য যে এলএসিতে চীনা সেনা আছে। সীমান্ত কোথায় তা নিয়ে দুই পক্ষেরই মতপার্থক্য রয়েছে। আর সেখানে বিপুল সংখ্যক চীনা সৈন্য পৌঁছে গেছে।’ ‘এমন পরিস্থিতিতে যা করা দরকার ভারত তা করছে’ বললেও ঠিক কী ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে তা জানাননি রাজনাথ সিং।
তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দিল্লি যাবতীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে বলেও জানিয়েছেন রাজনাথ। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে এদিন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও বিষয়টি নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলেছেন।
রাজনাথ সিংয়ের দাবি, চীন ওই এলাকাকে নিজেদের দাবি করলেও প্রকৃতপক্ষে এটি ভারতীয় ভূখন্ড। তিনি আরো জানান, আগামী ৬ জুন চীন ও ভারতীয় বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা বিষয়টি নিয়ে মিলিত হবেন। তবে নিজের অবস্থান থেকে কোনোভাবেই পিছু হটবে না দিল্লি। তিনি আরো বলেন, ভারতের যা করা উচিত ছিল, তা-ই করেছে। সমস্যা সমাধানের জন্য চীনকে পরিস্থিতি গভীরভাবে বিবেচনার পরামর্শ দেন ভারতীয় মন্ত্রী।
মাসখানেক ধরে পূর্ব লাদাখের পার্বত্য অঞ্চলে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সংঘাতে লিপ্ত রয়েছে চীনা ও ভারতীয় বাহিনী। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার সামরিক ও কূটনৈতিক স্তরে আলোচনা হলেও সমাধান মেলেনি।
সূত্রের বরাতে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড জানিয়েছে, সীমান্তে চীনের সেনা সমাবেশের জবাবে উত্তরাঞ্চলীয় লাদাখের গালোয়ান উপত্যকা ও মধ্যাঞ্চলীয় লাদাখের প্যানগং লেকের কাছে বাড়তি সেনা মোতায়েন করেছে ভারত। ওই অঞ্চলে অন্তত পাঁচ হাজার পিএলএ সেনা জড়ো করা হয়েছে এবং নিজেদের অবস্থান দৃঢ় করতে তারা রাস্তা ও কংক্রিটের বাঙ্কার তৈরি করছে। তবে চীনা বাহিনীর ওপর কোনও ধরনের আক্রমণ বা উস্কানি দিয়ে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত করতে নিষেধ করা হয়েছে ভারতীয় সেনাদের।
ভারতীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বিশ্বাস, ২০১৭ সালে ডোকলাম সীমান্তে সৃষ্ট উত্তেজনার মতো এবারও দুই দেশের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের মধ্যে আলোচনা এবং নয়া দিল্লি-বেইজিংয়ের মধ্যে কূটনৈতিক তৎপরতা বৃদ্ধির মাধ্যমেই সংকটের সমাধান সম্ভব।
রাজনাথ সিং বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনীর মধ্যে আলোচনা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আগামী ৬ জুন শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে। এ বিষয়ে (ভারতীয়) সেনাপ্রধানের সঙ্গে কথা হয়েছে।’
দুই দেশই পূর্ব লাদাখে অতিরিক্ত বাহিনী, সামরিক যান ও প্রচুর অস্ত্রসম্ভার পাঠিয়েছে। এর মধ্যেই গত ৫ মে সন্ধ্যায় প্রায় ২৫০ ভারতীয় ও চীনা সেনা সরাসরি সংঘাতে জড়িয়ে পড়লে পরিস্থিতি আরো জটিল হয়ে পড়ে। পরে গত ৯ মে উত্তর সিকিমেও একই রকম ঘটনা ঘটে।
এদিকে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনার জেরে ভারতে শুরু হয়েছে ‘বয়কট চায়না’ ক্যাম্পেইন। এর আওতায় নিজেদের মোবাইল থেকে বিভিন্ন চীনা অ্যাপ আনইনস্টল করছে ভারতীয়রা। সূত্র: এনডিটিভি, নিউজ ১৮, দ্য হিন্দু, হিন্দুস্তান টাইমস
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।