মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতে দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়েছে চীনা পণ্য বর্জনের ডাক। শাওমি, অপ্পো, ভিভো-র মতো অজস্র চীনা কোম্পানির মোবাইল ফোন ভারতে অসম্ভব জনপ্রিয়। কিন্তু রাতারাতি সেইসব ফোন বর্জনের অঙ্গীকার করতে শুরু করেছেন সাধারণ মানুষ থেকে সেলিব্রেটিদের অনেকেই।
শুধু মোবাইল ফোনই নয়- চীনের সঙ্গে সামান্যতম সম্পর্ক আছে, এমনসব অ্যাপ বয়কট করার ডাকও ভারতে তুমুল সাড়া ফেলতে শুরু করেছে। বাদ যায়নি টিকটকের মতো ভীষণ জনপ্রিয় অ্যাপও। গোটা ভারতে বারো কোটিরও বেশি মানুষ এই চটজলদি ভিডিও টুলটি ব্যবহার করে থাকেন। অনেকেই এখন টিকটক আনইনস্টল করতে শুরু করেছেন। এই তালিকায় আছেন মডেল ও তারকা মিলিন্দ সোমানের মতো ব্যক্তিত্বও।
আরও চমকপ্রদ তথ্য হলো 'রিমুভ চায়না অ্যাপস' নামে একটি নতুন অ্যাপের কাহিনি। জয়পুরের স্টার্ট-আপ কোম্পানি 'ওয়ানটাচঅ্যাপল্যাবস' গত ১৭ মে এই অ্যাপটি লঞ্চ করে। এর কাজ হলো আপনার ফোন থেকে চীনা অ্যাপগুলো শনাক্ত করে সেগুলো সরাতে সাহায্য করা। মাত্র দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রায় বারো লাখ মানুষ এই অ্যাপটি ডাউনলোড করেছেন, এবং গুগল প্লে স্টোরে বিনা পয়সায় যেসব অ্যাপ পাওয়া যায় এই মুহূর্তে তার শীর্ষে আছে এই ভুঁইফোঁড় ভারতীয় অ্যাপটি।
চীনা মোবাইল আর চীনা অ্যাপ বর্জনের ডাক ভারতে কী মারাত্মক সাড়া ফেলেছে তা সহজেই অনুমেয়। উল্লেখ্য, চীনের বেশ কয়েকটি অ্যাপ ভারতে তুমুল জনপ্রিয়। এর মধ্যে টিকটক ছাড়াও রয়েছে হেলো, শেয়ারইট, পাবজি, ইউসিব্রাউজারের মতো অসংখ্য অ্যাপ। কিন্তু এই প্রিয় ‘বন্ধু’দের সঙ্গে রাতারাতি সম্পর্কচ্ছেদ করতে লাখ লাখ ভারতীয় এখন বিন্দুমাত্রও ভাবছেন না।
এছাড়া যেসব ভারতীয় সংস্থায় বিপুল পরিমাণ চীনা বিনিয়োগ আছে, সেগুলোও রোষের মুখে পড়েছে। অনলাইনে গ্রোসারি কেনাকাটার সাইট বিগবাস্কেট, ট্র্যাভেল সাইট মেকমাইট্রিপের মতো সংস্থা যেমন এই তালিকায় আছে–তেমনি আছে ভারতে ডিজিটাল পেমেন্টের জায়ান্ট পেটিএমও। এসব সংস্থা গত কয়েক বছরে ভারতীয়দের ডিজিটাল জীবনকে অনেক সহজ করে তুলেছিল সন্দেহ নেই, কিন্তু এখন তার বদলে খোঁজা হচ্ছে "শতকরা একশ' ভাগ দেশি" বিকল্প!
ভারতে চীনা পণ্য বর্জনের ডাক অবশ্য নতুন নয়- প্রতিবারই দিওয়ালির আগে নতুন করে এই ডাক ওঠে, আরএসএসের মতো অনেক গোষ্ঠীর তাতে সমর্থনও থাকে। কিন্তু দিওয়ালির কেনাকাটা মিটে গেলে সেই ডাক আবার থিতিয়েও যায়। অর্থনীতিবিদ সৈকত সেনগুপ্ত মনে করেন, ‘লাদাখ বা সিকিম সীমান্তে যদি চীন-ভারত সংঘাত খারাপ মোড় নেয়, তাহলে কিন্তু এবারের চীন বয়কট আন্দোলন দীর্ঘস্থায়ী হবে ধরেই নেওয়া যায়। কোভিড-১৯ সংকটের জন্য এদেশে বহু মানুষই চীনের ওপর বেজায় খাপ্পা হয়ে আছেন, সামরিক সংঘাত সেটাকে আরও জটিল করে তুলবে। দেশের সাধারণ মানুষ তার নিজের মতো করে এর বদলা নিতে চাইবে তাতে কোনও সন্দেহ নেই।’
ভারতীয়দের অভিমত, ‘চীনের নাগরিকদের সঙ্গে আমাদের কোনও শত্রুতা নেই। আমাদের প্রতিবাদ শুধু চীন সরকারের আগ্রাসী নীতির বিরুদ্ধে- যেখানে তারা লাখ লাখ শ্রমিককে নিজের দেশে ক্রীতদাসের মতো খাটাচ্ছে, মন্দির-মঠ ধ্বংস করে ফেলছে, তিব্বতের বৌদ্ধ বা উইঘুর মুসলিমদের ওপর নির্মম অত্যাচার চালাচ্ছে!’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।