মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মার্কিন কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিক জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে দেশজুড়ে চলছে সহিংস বিক্ষোভ। আন্দোলন ক্রমশ ছড়িয়ে পড়েছে সারাদেশে। ট্রাম্পের হুমকি ও প্রাদেশিক কর্মকর্তাদের হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে উত্তেজিত মার্কিনিরা সারাদেশে বর্ণবাদবিরোধী প্রতিবাদ করছে। ঠিক সেই মুহূর্তে বিক্ষোভ দমনে সেনা মোতায়েনের হুমকি দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
মঙ্গলবার (১ মে) হোয়াইট হাউসের রোজ গার্ডেনে সাংবাদিকদের সামনে বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, রাষ্ট্রপতি হিসাবে আমার প্রথম এবং সর্বোচ্চ দায়িত্ব হ'ল আমাদের মহান দেশ এবং আমেরিকান জনগণকে রক্ষা করা। তিনি আরও বলেন, আমি আমাদের দেশের আইন বহাল রাখার শপথ নিয়েছিলাম এবং আমি এটাই করব।
বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের গভর্নর ও মেয়রদের এই নির্দেশনা দিয়েছেন ট্রাম্প। ন্যাশনাল গার্ডকেও বিক্ষোভ দমনে কঠোর হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। খবর সিএনএনের।
বিক্ষোভকারীদেরকে 'সরকারি সম্পদ বিনষ্টকারী' আখ্যা দিয়ে ট্রাম্প তাদেরকে দীর্ঘমেয়াদে আটক রাখারও নির্দেশ দিয়েছেন। আদেশ অনুযায়ী বিক্ষোভ দমনে ন্যাশনাল গার্ড যেভাবে কঠোর অভিযান চালিয়েছে তাতে খুশি হয়ে ওই বাহিনীকে অভিনন্দন জানিয়ে টুইট করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
ট্রাম্প বলেন, প্রথম রাতেই যদি মেয়ররা দমন অভিযান চালাতেন তাহলে কোনো সমস্যাই হতো না।
তিনি বিক্ষোভকারীদের কঠোর হুমকি দিয়ে বলেন, "এগুলি শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের কাজ নয়। দাঙ্গা, লুটপাট, ভাঙচুর, হামলা এবং ইচ্ছামত সম্পদ ধ্বংস এবং আইন মেনে চলা আমেরিকানদের অধিকার রক্ষার জন্য ফেডারেল রিসোর্স, বেসামরিক ও সামরিক বাহিনীকে একত্রিত করবো। তিনি আরও বলেন, আমি দাঙ্গা, লুটপাট, ভাঙচুর, হামলা এবং সম্পত্তির অযৌক্তিক ধ্বংস বন্ধ করতে হাজার হাজার ভারী সশস্ত্র সেনা, সামরিক কর্মী এবং আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তাদের পাঠাচ্ছি।
ট্রাম্প বলেন, আজ রাতে কারফিউটি "কঠোরভাবে প্রয়োগ করা হবে"। যে কোনও নিয়ম ভঙ্গকারীকে আইনের পুরোপুরি গ্রেপ্তার করা হবে, আটক করা হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। যে কোন উপায়ে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়া দাঙ্গা এবং অনাচারের অবসান ঘটাবো।"
এছাড়া জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যু বৃথা যাবে না বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ট্রাম্প। তবে ফ্লুয়েডের সঙ্গে যে অন্যায় হয়েছে তা এই বিক্ষোভের কারণে মানুষ ভুলে যেতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
উল্লেখ্য, গত ২৫মে ৪৬ বছর বয়সি জর্জ ফ্লয়েডকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, রাস্তার ওপরে ফ্লয়েডকে ফেলে তার ঘাড়ে হাঁটু দিয়ে চেপে ধরেছেন এক শেতাঙ্গ পুলিশ অফিসার। পরে শ্বাস বন্ধ হয়ে মারা যান তিনি। এই ঘটনার পরই যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে বর্ণবাদবিরোধী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।