যেভাবে মাছ ভাজলে ভেঙে যাবে না
বাঙালির প্রতিদিনের খাবারে মাছ তো থাকেই। এটি সব খাবারের মধ্যে পুষ্টির অন্যতম উৎস। তাড়াহুড়ো করে
কয়েক পদের মশলা মেশানো পানি ব্যবহার করে উপকার পেয়েছেন করোনা আক্রান্ত রোগীরা। মসলার মধ্যে রয়েছে আদা, লবঙ্গ ও কালো জিরা। আর এ তথ্য জানিয়েছেন গতকাল সোমবার দুপুরে করোনাভাইরাস বিষয়ক নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (মহাপরিচালকের দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
তিনি বলেন, ওই কয়েক পদসহ অন্যান্য মসলা মিশ্রিত হালকা গরম পানি দিয়ে গারগল বা কুলকুচি করে ও তা খেয়ে অনেক করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী উপকৃত হয়েছেন। তিনি মসলা মেশানো পানি ছাড়াও সব সময় খাবারে হালকা গরম পানি রাখার পরামর্শ দিয়েছেন।
ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, আদা, লবঙ্গ বা অন্যান্য মসলা দিয়ে পানি হালকা গরম করে, এই পানি দিয়ে গারগল করতে বা তা খেতে পারেন। তাছাড়া মধু, কালো জিরা এসবও পানির সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন। যারা সুস্থ হয়েছেন এর মধ্যে, তারা এসব করে উপকার পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়ে নাসিমা সুলতানা বলেন, ‘নিজেকে সুরক্ষিত রাখার জন্য সবাই স্বাস্থ্যবিধিগুলো মেনে চলবেন। সঠিকভাবে মাস্ক পরতে হবে। সাবান পানি দিয়ে বারবার ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ধুয়ে ফেলুন। কমপক্ষে ৩ ফুট শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে চলবেন। অফিস, বাজার ও কর্মস্থল যেখানেই যান না কেন, এ বিষয়ে দৃষ্টি রাখবেন।’
যারা আক্রান্ত হয়েছেন এবং যারা আক্রান্ত হননি সবাইকে মনোবল উজ্জীবিত রাখার আহ্বান জানিয়ে নাসিমা সুলতানা আরও বলেন, ‘মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ম নেবেন। নিয়মিতভাবে হালকা ব্যায়াম করবেন। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার যেগুলো রোগ প্রতিরোধকে শক্তিশালী করে, সেই সঙ্গে জিংক, প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার অবশ্যই নিয়মিত খাদ্য তালিকায় রাখবেন। টাটকা শাকসবজি, ফলমূল যেন খাদ্য তালিকায় থাকে। বেশি করে পানি ও তরল খাবার আক্রান্তদের জন্য সুফল বয়ে আনবে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।