মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
সীমান্ত সংঘাত নিয়ে বর্তমানে ভারত ও চীনের সম্পর্ক তলানিতে। লাদাখ সীমান্তে দুই পক্ষই শক্তি বৃদ্ধি করছে। তবে চীনের সামরিক সক্ষমতার ধারে কাছেও নেই ভারত।
ভারতের ৫টি রাজ্য ও চীনের মধ্যে ২,৫২১ মাইল দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে, যা লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল (এলএসি) নামে পরিচিত। সম্প্রতি এই রেখার কাছে ভারত ও চীনের সেনারা ছোটখাট সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পিপলস লিবারেশন আর্মির অবস্থান মজবুত করতে তিব্বত অঞ্চলে বিপুল অবকাঠামো গড়ে তুলছে চীন। বিশেষভাবে পার্বত্য এলাকায় চলাচলের উপযোগী করে ডিজাইন করা টাইপ-১৫ লাইট ট্যাঙ্কও মোতায়েন করা হয়েছে ওই এলাকায়।
১৯৬২ সালের যুদ্ধে চীনের কাছে ভারত মার খাওয়ার পর আর কখনোই দুই দেশের সম্পর্ক পুরোপুরি আগের আবস্থায় ফিরে যায়নি। সেই যুদ্ধে চীনা সেনারা ভারতের ভূখণ্ডও দখল করে নেয়। একবিংশ শতকে ভারতের চেয়ে চীনের সামরিক শক্তি লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। ভারতের যেখানে ৬০০ জঙ্গিবিমান, সেখানে চীনের আছে ১ হাজার ৭০০; ভারতের হাতে মান্ধাতা আমলের ১৫টি সাবমেরিন থাকলেও চীনের আছে ৭৬টি। আর ভারতের ট্যাংকের সংখ্যা ৪ হাজার ৪২৬টি, রকেট আর্টিলারি সিস্টেম সংখ্যা ২৯২টি। বিপরীতে চীনের আছে ৭ হাজার ৭৫০ টি ট্যাংক, ও ১ হাজার ৭৭০টি রকেট আর্টিলারি। চীনের সামরিক বাজেটও ভারতের থেকে অনেক বেশি। ভারতের যেখানে ৫৫ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার, চীনের সেখানে ২২৮ বিলিয়ন ডলার।
অনেক কারণেই চীনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ভারত পারছে না। ভারতের আর্থিক সামর্থ্য কম এবং প্রতিরক্ষা বাজেটও সামান্য। তাছাড়া ভারতের প্রতিরক্ষা সংগ্রহ প্রক্রিয়া দুর্নীতিগ্রস্ত ও রাজনৈতিক বিবেচনাপ্রসূত। সে কারণেই রাফালের মতো জঙ্গিবিমান কিনতে এক দশকের বেশি সময় লেগে গেছে। ভারত চায় তার ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রকল্পে বিদেশী অস্ত্র নির্মাতারা বিনিয়োগ করুক। কিন্তু এর জন্য জটিল আলোচনা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। ফলে যেকোন প্রকল্প হয়ে পড়ে ব্যয়বহুল এবং মানেরও অবনতি ঘটে। তাছাড়া ভারতের প্রতিরক্ষা বাজেটের বেশিরভাগ খরচ হয়ে যায় দেশটির দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ের মতো জনবহুল ডিভিশনগুলোর জন্য। ফলে তারা নৌ ও বিমান বাহিনীর আধুনিকায়নের পেছনেও খরচ করতে পারছে না। শিগগিরই এসব সমস্যা দূর হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তাই চীনের সঙ্গে ভারতের পাল্লা দিতে চাওয়া অযৌক্তিক।
হিমালয় অঞ্চলে ভারত তার শক্তি ব্যাপকভাবে বাড়িয়েছে। কিন্তু এই শক্তি বিচ্ছিন্নভাবে মোতায়েন করা এবং সঙ্কটকালে সেনা সদর দফতরের সঙ্গে সমন্বয় করার মতো কোন ব্যবস্থাও নেই। সম্প্রতি ভারত চীনের ভূখণ্ডে পাল্টা হামলা চালানোর হুমকি দিয়ে হিমালয়ান প্রতিরক্ষার উপর চাপ কমানোর কৌশল নিয়েছে। এ জন্য যুদ্ধ বাঁধলে ভারতের আগে থেকে মোতায়েন করে রাখা যান্ত্রিক ইউনিটগুলো তিব্বতে হামলা চালাতে পারে। যদিও পার্বত্য এলাকায় পদাতিক বাহিনীকে সহায়তার জন্য সাঁজোয়া বহর কার্যকর কিন্তু হামলা চালানোর জন্য এগুলো উপযুক্ত নয়। কারণ চীনের নিঁখুত পাল্টা হামলার মুখে পার্বত্য পথে আটকা পড়ে ভারতে যান্ত্রিক বহর। ভারতের সঙ্গে সীমান্ত এলাকায় চীন সড়ক অবকাঠামো গড়ে তুলেছে। সেই তুলনায় ভারত অত্যন্ত ধীর।
সরকারিভাবে ভারতের ৪২ স্কোয়াড্রন জঙ্গিবিমান থাকার কাথা থাকলেও অবসর ও পুরনো হয়ে যাওয়া এবং নতুন বিমান সংগ্রহে ধীর গতির কারণে চলতি দশকেই দেশটির বিমান শক্তি ২৬ স্কোয়ড্রনে নেমে আসবে। তহবিল যোগান ও সংগ্রহ প্রক্রিয়ায় গতি না আসলে আইএএফকে কম স্কোয়াড্রন নিয়ে চলার বাস্তবতাই মেনে নিতে হবে।
ভারতের কোন ইলেক্ট্রনিক ওয়ারফেয়ার এজেন্সি নেই। অন্যদিকে কয়েক বছর আগেই চীন তার নিজস্ব স্ট্রাটেজিক সাপোর্ট ফোর্স গঠন করেছে। ভারত তাই চীনকে মোকাবেলা করতে পারবে বলে ওয়াশিংটনের প্রত্যাশা অবাস্তব মাত্র। চীনের সঙ্গে পাল্লা দিতে হলে ভারতকে অনেক দূর যেতে হবে। সূত্র: এসএএম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।