Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সবকিছু চালুর সিদ্ধান্ত আত্মহননের শামিল-ড্যাব

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৯ মে, ২০২০, ১০:৫৪ পিএম

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সরকার লকডাউন শিথিল এবং সাধারণ ছুটির সময় বৃদ্ধি না করে সবকিছু চালুর সিদ্ধান্ত আত্মহননের শামিল বলে অভিহিত করেছে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)। শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদ ও মহাসচিব ডা. মাে. আব্দুস সালাম সরকারের কর্মকান্ডের সমালােচনা করে বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, জাতিসংঘ, দেশী ও বিদেশী কোভিড সংশ্লিষ্টতা গবেষণাকর্মী এবং বিশ্লেষকগণ বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণপূর্বক কঠোর লকডাউন তথা প্রয়ােজনে কারফিউ জারির পরামর্শ দিচ্ছেন তখন সরকার সবকিছু চালু করার ঘােষণা দিয়েছে- যা আত্মহননের শামিল। তারা আশংকা প্রকাশ করেন যে, সরকারের এই হঠকারী ও অবিমৃষ্যকারী সিদ্ধান্ত বাংলাদেশে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি করবে। সীমিত সম্পদ ও ভংগুর স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে সমাগত ভয়াবহতা মােকাবিলা করা সম্ভব নয়।

নেতৃদ্বয় বলেন, বিশ্ব মহামারী করােনার করাল থাবা বাংলাদেশকে আক্রমণ করার পর থেকেই পেশাজীবী সংগঠন হিসেবে ডক্টরস এসোসিয়েশন (ড্যাব) সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রতিটি পদক্ষেপে সচেতন করার চেষ্টা করেছে। সংগঠনটি গঠনমূলক সমালােচনার মাধ্যমে কোভিড মােকাবিলায় সরকারকে সঠিক পথে রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছে। কিন্তু সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রনালয় ও বিভাগের মধ্যে সমন্বয়হীনতার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ কোভিড মােকাবিলায় ধারাবাহিক ব্যর্থতা প্রদর্শন করেছে ।
বিবৃতিতে বলা হয়- গত ২৮ মে সরকার এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে কার্যত সারাদেশে স্বাভাবিক কার্যক্রম চালু করার ঘোষণা দিয়েছে। অথচ প্রতিদিন বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে রেকর্ডসংখ্যক রােগী সনাক্ত হচ্ছে এবং মারা যাচ্ছে । এরপরও লকডাউন শিথিলে সরকারের প্রজ্ঞাপন জারির প্রেক্ষিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে ড্যাবের নেতৃবৃন্দ দেশ ও মানুষ বাঁচাতে অনতিবিলম্বে সরকারের এই সিদ্ধান্ত পূর্নবিবেচনার আহ্বান জানান। নতুবা উদ্ভূত পরিস্থিতির দায়দায়িত্ব সরকারকেই বহন করতে হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন