বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কুড়িগ্রামের উলিপুরে জমিতে গরুর ধান খাওয়াকে কেন্দ্র করে সিদ্দিকুর রহমান (৩১) নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করেছে প্রতিবেশীরা। এসময় আহত হয়েছে নিহতের পরিবারের আরও ৪জন। বৃহস্পতিবার (২৮ মে) রাত সাড়ে ৯টায় উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের গোড়াই মুন্সিপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। শুক্রবার (২৯ মে) লাশের ময়না তদন্তের জন্য কুড়িগ্রাম মর্গে পাঠানো হয়েছে। এখনো মামলা দায়ের করা হয়নি।
নিহতের পরিবার ও পুলিশ সুত্রে জানা যায়, গত দু’দিন পূর্বে মুন্সিপাড়া গ্রামে কাচুয়া (৬৫) নামে এক ব্যক্তির গরুর বাছুর প্রতিবেশি আব্দুল মজিদের পূত্র আইনুলের (৩৫) জমিতে ধান খেতে নামে। এ ঘটনায় আইনুলের পরিবার বাছুরটিকে ইট দিয়ে আঘাত করে এবং কাচুয়ার পরিবারকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। পরে এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে কাচুয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে সালিশ বৈঠক ডাকা হলে বৃহস্পতিবার (২৮ মে) সন্ধ্যায় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে কাচুয়ার বাড়িতে সালিশ বৈঠক বসে। বৈঠকের এক পর্যায়ে উভয় পরিবারের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হলে আইনুলের পরিবার মীমাংসা না মেনে উঠে যান। সালিশ বৈঠকের পর কাচুয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে তাদের ঘরের চালে আম পড়াকে কেন্দ্র করে আইনুলকে গাছ কেটে ফেলতে বলা হয়। এনিয়ে আবারো দু’পরিবারের মধ্যে কথাকাটাকাটি শুরু হলে আইনুলের পরিবারের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে কাচুয়ার পরিবারের উপর হামলা চালায়। এসময় কাচুয়া, তার পুত্র সাদেকুল ইসলাম (৩৫), সিদ্দিকুর রহমান (৩১), আত্মীয় এনামুল (৪৫) ও মতিউর রহমান মন্ডল (৩৮) গুরুতর আহত হয়। গুরুতর আহত সিদ্দিকুরকে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যায়। বর্তমানে আহতরা কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীনে রয়েছে। তবে মতিয়ার রহমান মন্ডলের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রাতেই রেফার্ড করা হয়েছে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন দুর্গাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবেদ আলী।
এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক মেহেরুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার রাতে হাসপাতালের জরুরী বিভাগে পাঁচজন রোগীকে নিয়ে আসা হয়। তাদের মধ্যে সিদ্দিকুর রহমান নামে একজন হাসপাতালে আসার পূর্বেই মারা যান। গুরুতর আহত একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতেই রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে উলিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, সংবাদ পাওয়ার পর রাতেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে পারিবারিক কলহের জের ধরেই হত্যাকান্ডের ঘটনাটি ঘটেছে। শুক্রবার সকালে কুড়িগ্রামে লাশের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো মামলা করা হয়নি। তবে পুলিশি কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।