মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ভারতজুড়ে চলছে লকডাউন। এরইমধ্যে মধ্যে নতুন করে আরো এক বিপদ শুরু হয়েছে। দেশটির মধ্য ও পশ্চিমাঞ্চলের মধ্য প্রদেশ, উত্তর প্রদেশ, রাজস্থান, পাঞ্জাব ও হরিয়ানায় পঙ্গপালের আক্রমণ শুরু হয়েছে। ঝাঁকে ঝাঁকে পঙ্গপাল এসব রাজ্যের বহু গ্রাম ও শহরে ঢুকে পড়েছে, হানা দিয়েছে ফসলের ক্ষেতে। এরই মধ্যে ৫০ হাজার হেক্টর খেতের জমি নষ্ট করেছে। কোটি কোটি টাকার ফসলের ক্ষতি হয়েছে।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা গেছে, দেশটির পাঁচ রাজ্যে মোট ২০০টি অস্থায়ী পঙ্গপাল নিয়ন্ত্রক দফতর তৈরি করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন এবং রাজ্য সরকারের সঙ্গে সমন্বয় সাধন করে পঙ্গপাল নিয়ন্ত্রণের কাজ করে চলেছে এই দফতরগুলোর। এখন পর্যন্ত রাজস্তানের ২১টি, মধ্যপ্রদেশের ১৮টি, পাঞ্জাবের একটি এবং গুজরাটের ২টি জেলায় পঙ্গপালের হানা নিয়ন্ত্রণে আনা গিয়েছে। কীটনাশক ছড়ানোর জন্য দমকলের ৮৯টি ইঞ্জিন, ১২০টি পর্যবেক্ষক যান, ৪৭টি পঙ্গপাল নিয়ন্ত্রক যান এবং ৮১০টি ট্রাক্টর নামানো হয়েছে। ব্রিটেন থেকে আরও ৬০টি অত্যাধুনিক স্প্রে করার যন্ত্র আমদানি করা হচ্ছে।
এদিকে পঙ্গপালের আক্রমণের আশঙ্কায় দেশটির বেশ কিছু রাজ্যে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। এরই মধ্যে হিমাচল প্রদেশের মোট ১২টি জেলার চারটিতে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। এই চার জেলার মধ্যে রয়েছে কাংরা, উনা, বিলাসপুর ও সোলান।
হিমাচল প্রদেশের কৃষি বিভাগের কর্মকর্তা আর কে কুন্ডাল জানান, মরুভূমির পঙ্গপালের একটি বিশাল ঝাঁক হিমাচল প্রদেশের প্রতিবেশী রাজ্যগুলোতে হানা দিয়ে ফসল ধ্বংস করে দিচ্ছে। পঙ্গপালের দিকে অবিরাম নজরদারি রাখতে এবং জরুরি পরিস্থিতির জন্য মাঠকর্মী ও কৃষকদের সতর্ক করা হয়েছে। এই মরু পঙ্গপাল বাতাসের ওপর নির্ভর করে প্রতি ঘণ্টায় ১৬ থেকে ১৯ কিলোমিটার বেগে উড়ে যায়। এ ক্ষেত্রে হাওয়ার ওপর তাদের গতিবেগ নির্ভর করে।
এর মধ্যেই ভারতের রাজস্থান রাজ্যের ৩৩টি জেলার ১৬টি পঙ্গপালের কবলে পড়েছে। ফলে শস্য উৎপাদনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া পঙ্গপাল হানা দিয়েছে মধ্যপ্রদেশেও। পঙ্গপাল তাড়াতে ড্রাম ও থালাবাটি বাজানোর কথা বলা হয়েছে।
এদিকে, পঙ্গপালের সতর্কবার্তায় উত্তরপ্রদেশের ১০ জেলায় অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, পঙ্গপালের দলকে যদি আটকানো না যায়, তাহলে ভারতের শস্যভাণ্ডারে টান পড়তে পারে। পঙ্গপালের বিরাট দল একসঙ্গে হামলা করায় এরা যেকোনো বড় শস্যক্ষেত কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ফাঁকা করে দিতে পারে।
এবার পঙ্গপালের হানার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে রাজধানী নয়াদিল্লিতেও। উত্তরপ্রদেশ থেকে পঙ্গপালের ঝাঁক দিল্লিতে হানা দিতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে। দিল্লি সরকার এর মধ্যেই প্রশাসনকে কীটনাশক ছিটাতে বলেছে। এ ছাড়া ফসল, সবজিক্ষেত ও ফলের বাগানে পতঙ্গনাশক রাসায়নিক ছিটানোর জন্য নির্দেশ দিয়েছে।
এর মধ্যেই পঙ্গপালের ঝাঁক রাজস্থানে ঢুকে ফসল ধ্বংস করে দিয়েছে এবং পাঞ্জাব, গুজরাট ও মধ্যপ্রদেশেও একই দশা করেছে। এ ছাড়া মহারাষ্ট্রের নাগপুরে বিপুল পরিমাণে কমলালেবুর ক্ষতি করেছে।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ভারতে চার ধরনের পঙ্গপাল লক্ষ করা যাচ্ছে। এগুলো হলো মরুভূমি পঙ্গপাল, মিগ্রাটরি পঙ্গপাল, বম্বে পঙ্গপাল ও গাছের পঙ্গপাল। এদের মধ্যে সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক পঙ্গপাল হলো মরুভূমির পঙ্গপাল। এই পঙ্গপালের ঝাঁক দিনে উড়ে বেড়ায় এবং রাতে বিশ্রাম নেয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।