Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কৃষ্ণাঙ্গ হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ-সংঘর্ষে উত্তাল যুক্তরাষ্ট্র, বিভিন্ন স্থানে অগ্নিসংযোগ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৯ মে, ২০২০, ১:১৯ পিএম

যুক্তরাষ্ট্রের মিনিয়াপোলিসে পুলিশি নিপীড়নে এক কৃষ্ণাঙ্গের মৃত্যুর ঘটনায় দেশটির কয়েকটি শহরে সহিংস বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাতে মিনিয়াপোলিসে একটি থানায় হামলা করে বিক্ষোভকারীরা। পরে সেখানে আগুন ধরিয়ে দেয় তারা। ওই অগ্নিসংযোগের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।

সিএনএন জানিয়েছে, মিনিয়াপলিসের বিক্ষোভে অংশ নেয় কয়েক হাজার আন্দোলনকারী। তাদের অনেককে সংলগ্ন বিভিন্ন ভবনের ছাদে অবস্থান নিতে দেখা যায়। স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১০টা নাগাদও বিক্ষোভ শান্ত হওয়ার কোনও লক্ষণ দেখা যায়নি।

সিএনএন-এর সাংবাদিক সারা সিডনার জানান, একদিকে থানার ভেতরে ফায়ার অ্যালার্ম বেজে চলছে। অন্যদিকে বিক্ষোভকারীরা উল্লাস করছে। পুলিশের বেষ্টনী ঘিরে লোকজন আতশবাজি করছে। তবে কোনও সাইরেনের শব্দ পাওয়া যায়নি। তাৎক্ষণিকভাবে অগ্নিনির্বাপনকর্মীদের কোনও তৎপরতা পরিলক্ষিত হয়নি।
ঘটনাস্থল থেকে সিএনএন-এর প্রতিবেদক জোশ ক্যাম্পবেল বলেন, পরিস্থিতি অনুকূল নয় মনে করেই পুলিশ বলপ্রয়োগ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে হয়তো পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে পড়বে।

গত ২৫ মে পুলিশ জর্জ ফ্লয়েড নামের এক কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তিকে খুন করলে এ আন্দোলনের সূত্রপাত হয়। ওই হত্যাকাণ্ডের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হলে আন্দোলন তীব্রতা পায়।

একজন প্রত্যক্ষদর্শীর ধারণ করা ১০ মিনিটের ওই ভিডিওতে দেখা গেছে, হাঁটু দিয়ে এক কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তির গলা চেপে ধরে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে এক শ্বেতাঙ্গ পুলিশ সদস্য। নিহত ব্যক্তি নিরস্ত্র ছিলেন। ভিডিওতে নিঃশ্বাস নিতে না পেরে তাকে কাতরাতে দেখা যায়। তিনি বারবার শ্বেতাঙ্গ পুলিশ অফিসারকে বলছিলেন, ‘আমি নিঃশ্বাস নিতে পারছি না।’

কৃষ্ণাঙ্গদের দাবি, বর্ণবিদ্বেষের বলি হয়েছেন জর্জ ফ্লয়েড। এ ঘটনার প্রতিবাদে প্রথমে স্থানীয়রা রাস্তায় নামলেও পরে দেশজুড়ে প্রতিবাদের ঢল নামে।
জর্জ ফ্লয়েডের সঙ্গে যা ঘটেছে তাকে আপত্তিকর হিসেবে উল্লেখ করেছেন মিনেসোটর সেন্ট পল এলাকার মেয়র মেলভিন কার্টার। আন্দোলনকারীদের বিক্ষোভকে ‘বোধগম্য’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন তিনি।

জর্জ ফ্লয়েডের হত্যাকাণ্ড যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের হাতে নাগরিকদের নিহতের উদ্বেগজনক পরিসংখ্যান সামনে এনেছে। সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট-এর তথ্য অনুযায়ী ২০১৯ সালে দেশটিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছে এক হাজার ১৪ জন। বিভিন্ন জরিপে দেখা গেছে, নিহতদের বেশিরভাগই কৃষ্ণাঙ্গ।
ম্যাপিং পুলিশ ভায়োলেন্স নামে একটি বেসরকারি সংস্থার চালানো জরিপে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে শ্বেতাঙ্গদের তুলনায় তিন গুণ বেশি মারা যায় কৃষ্ণাঙ্গরা। সূত্র: সিএনএন, বিবিসি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: যুক্তরাষ্ট্র


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ