Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

চীনের নতুন আইন হংকংয়ের স্বায়ত্তশাসন ও স্বাধীনতার অবসান ঘটাবে : মাইক পম্পেও

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৮ মে, ২০২০, ২:১২ পিএম | আপডেট : ২:১৪ পিএম, ২৮ মে, ২০২০

আধা স্বায়ত্তশাসিত হংকংকে নিয়ন্ত্রণে আনতে নতুন নিরাপত্তা আইন পাশ করেছে চীন। দেশটির নতুন নিরাপত্তা আইন আরোপের পর থেকে হংকংয়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এ ইস্যু নিয়ে বুধবার কংগ্রেসকে মার্কিন সেক্রেটারি অব স্টেট মাইক পম্পেও বললেন, হংকংকে তারা আর চীনের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল মনে করছেন না। ধারণা করা হচ্ছে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর এমন মন্তব্যের পর হংকং'র সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের হাজার হাজার কোটি ডলারের বাণিজ্য সম্পর্কের বড় প্রভাব ফেলতে পারে।
উল্লেখ্য, হংকং চীনের 'বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চল', যেখানে 'এক দেশ, দুই ব্যবস্থা' নীতি চালু রয়েছে। গত বছরের জুন মাসে চীন প্রস্তাবিত একটি অপরাধী প্রত্যর্পণ বিল বাতিলের দাবিতে আন্দোলন শুরু হয় অঞ্চলটিতে। পরে চীন এ বিল প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়। তারপরও করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের আগ পর্যন্ত গণতান্ত্রিক হংকংয়ের দাবিতে বিক্ষোভ অব্যাহত ছিল। সেই বিক্ষোভকে পরোক্ষভাবে সমর্থনও জানিয়েছিল আমেরিকা ও ডোনাল্ড ট্রাম্প। হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থিদের দাবি, চীনের নতুন আইন হংকংয়ের স্বায়ত্তশাসন ও স্বাধীনতার অবসান ঘটাবে। ১৯৯৭ সালে ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্ত হওয়ার পর এটি এখন পর্যন্ত হংকংয়ের সবচেয়ে বিতর্কিত ঘটনা।
এ ঘটনার পর আমেরিকার সেক্রেটারি অফ স্টেট মাইক পম্পেও বলেন, 'চীনের কাছ থেকে এখন আর স্বায়ত্তশাসনে নেই হংকং। এতে শত শত কোটি ডলারের বাণিজ্য বিপন্ন হতে চলেছে। তিনি বুধবার কংগ্রেসকে এ বিষয়ে জানিয়েছেন। হংকং তার স্বায়ত্তশাসন হারানোর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তার যে বিশেষ বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিল তা নষ্ট হবে। এতে হংকং যে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের প্রাণকেন্দ্র হয়ে উঠেছিল তা হুমকিতে পড়বে।'



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: হংকং


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ