Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২২ কার্তিক ১৪৩১, ০৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

হংকং ইস্যুতে চীনকে সমর্থন পাকিস্তানের

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৪ আগস্ট, ২০২০, ৫:২৮ পিএম

হংকং ও তাইওয়ানের শাসনব্যবস্থা থেকে শুরু করে জাতিগত সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে দমন-পীড়নের অভিযোগসহ বিষয়ে বিভিন্ন বিতর্কিত বিষয় নিয়ে চীনের অবস্থানের পক্ষে সমর্থন প্রকাশ করেছে পাকিস্তান। শুক্রবার চীনের হেনান দ্বীপের রিসোর্টে দুই দেশের মধ্যে ‘দ্বিতীয় বার্ষিক কৌশলগত আলোচনায়’ এই সমর্থন ব্যক্ত করে পাকিস্তান।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি এবং চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই-র মধ্যে এই বৈঠকের আলোচ্যসূচিতে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার পাশাপাশি রয়েছে কাশ্মির-সহ নানা আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক প্রসঙ্গ। চীনের সরকারি সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, শুক্রবার শুরু হওয়া দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠকের বড় অংশ জুড়ে ছিল চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর (সিপিইসি) প্রসঙ্গ। শনিবার বৈঠক শেষে একটি যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন কুরেশি ও ওয়াং। তাতে বলা হয়েছে, ‘শান্তিপূর্ণ, স্থিতিশীল, সহযোগিতাপূর্ণ এবং সমৃদ্ধ দক্ষিণ এশিয়া গড়ার বিষয়ে দু’পক্ষই ঐকমত্যে এসেছে। পারস্পরিক সম্মান ও সমতার ভিত্তিতে আলোচনার মাধ্যমে আঞ্চলিক বিরোধ নিষ্পত্তির বিষয়ে সহমত হয়েছে বৈঠকে।’

পাকিস্তান ও চীন করোনভাইরাস ভ্যাকসিনের উন্নয়নেও সহযোগিতা জোরদার করতে সম্মত হয়েছে। চীন পাকিস্তানকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সামগ্রী সরবরাহ করে করোনা মোকাবেলায় সহায়তা করেছে। দুই দেশ চীনের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সংস্থা দ্বারা তৈরি একটি করোনা ভ্যাকসিনের ক্লিনিকাল ট্রায়ালের ক্ষেত্রেও সহযোগিতা করছে।

তিব্বত ও শিনজিয়াংয়ের পাশাপাশি হংকং এবং তাইওয়ান নিয়ে চীনের সাম্প্রতিক কঠোর অবস্থানকেও যৌথ বিবৃতিতে সমর্থন জানিয়েছেন কুরেশি। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে ‘ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ঐতিহাসিক কাশ্মির বিবাদ’ প্রসঙ্গও ঠাঁই পেয়েছে যৌথ বিবৃতিতে। সেখানে বেইজিংয়ের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে গিয়ে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাতিসংঘের সনদ এবং নিরাপত্তা পরিষদে গৃহীত প্রস্তাবের উল্লেখ করেছেন। সেই সঙ্গে তিনি যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ‘জম্মু ও কাশ্মিরের পরিস্থিতি সম্পর্কে পাকিস্তান অবহিত করেছে চীনকে। অবস্থান, উদ্বেগ এবং সাম্প্রতিক জরুরি বিষয়গুলির কথাও জানিয়েছে।’

যদিও ভারত বরাবরই অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মির বিবাদকে ‘দ্বিপাক্ষিক সমস্যা’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। চলতি মাসেও পররাষ্ট্র মন্ত্রণায়ের এক বিবৃতিতে জম্মু ও কাশ্মিরকে ‘ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ’ হিসেবে বর্ণনা করে এ বিষয়ে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপের সম্ভাবনা নাকচ করা হয়েছিল। এছাড়া লাদাখে সাম্প্রতিক চীনা বাহিনীর উপস্থিতির পর তা নিয়ে ইসলামাবাদ-বেইজিং বিবৃতি নয়াদিল্লিকে চাপে রাখার কৌশল বলেই মনে করছেন কূটনীতি বিশেষজ্ঞদের একাংশ। পাশাপাশি, যৌথ বিবৃতিতে আফগানিস্তানে শান্তি প্রক্রিয়ায় চীন-পাকিস্তান সহযোগিতার প্রসঙ্গও স্পষ্টতই ভারতের জন্য উদ্বেগের। সূত্র: দ্য মেইনিচি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: হংকং
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ