Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মার্কিন মুল্লুকে বেড়েছে ইসলামের ব্যাপক অনুশীলন, পরিবর্তনের ছোঁয়া লেগেছে ওই সংস্কৃতিতেও

মোহাম্মদ আবদুল অদুদ | প্রকাশের সময় : ২৪ মে, ২০২০, ১২:২০ পিএম

করোনাভাইরাস মহামারির কারণে মার্কিন মুল্লুকে বেড়েছে ইসলামের ব্যাপক অনুশীলন আর সেখানকার পোশাক পরিচ্ছদসহ সংস্কৃতিতেও লক্ষ্য করা যাচ্ছে পরিবর্তনের ছোঁয়া। বেড়েছে প্রাকটিসিং মুসলিমের সংখ্যা এবং আল্লাহভীতি।

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে বসবাসকারী প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটির সাবেক সভাপতি মোশাররফ খান চৌধুরী জানান, স্বাভাবিক অবস্থায় স্ত্রী-কন্যা নিয়ে বাইরে বের হলেই যেখানে সেখানে কপোত-কপোতীদের উশৃঙ্খলতা বা বেহায়াপনার ফলে আমাদেরকে একটা বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হতো। করোনার কারণে এমন প্রকাশ্য আলিঙ্গন বা চুমু খাওয়ার দৃশ্য আমাদের দেখতে হচ্ছে না। এটা নিঃসন্দেহে একটি ভালো খবর। তিনি জানান, আমেরিকায় মুসলমানের সংখ্যাও ক্রমেই বাড়ছে।

মিশিগান স্টেটের ডেট্রয়েটে বসবাসকারী বাংলাদেশ আমেরিকা ডেমোক্রেটিক ককাসের প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক সভাপতি ড. নাজমুল হাসান শাহীন এ প্রতিবেদককে জানান, বিশ্বজুড়ে ভয়াল করোনা মহামারী এক বিভিষিকাময় পরিস্হিতির সৃষ্টি করেছে। এই মহানারীতে সবচেয়ে বেশী আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা আমেরিকায় সর্বোচ্চ। তিনি বলেন, ইসলামিক দৃষ্টিভঙ্গিতে করোনা ভাইরাস মানব জাতির জন্য আল্লাহর পথে ফিরে আসার বা হেদায়েত পাওয়ার উপায় বলেই বিশ্বাস। তাই করোনার কারণে মসজিদে নামাজ আদায় করতে না পারলেও ঘরে ঘরে পরিবার পরিজনদের নিয়ে মুসলিমরা ব্যাপকভাবে ধর্ম কর্ম ও দোয়া কালাম চর্চা করছেন। এই করোনা অন্যান্য দেশের মতো আমেরিকান মুসলমানদের মাঝেও ভয়ভীতির সঞ্চার করেছে । সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইসলামিক আলোচনা ও ওয়াজ মাহফিলে বিশেষ আগ্রহ দেখা গেছে। ঘরে ঘরে পরিবার পরিজন নিয়ে জামায়াতে নামাজ পড়ার অনুশীলন হচ্ছে ব্যাপকহারে। তিনি বলেন, আমেরিকায় প্র্যাক্টিসিং মুসলিম সংখ্যা বেড়েছে অনেক।নতুন মুসলমানদের সংখ্যাও বেড়ে চলেছে। ইসলামের প্রতি অন্যান্য ধর্মে বিশ্বাসী ও একদম ধর্মে বিশ্বাসী নন, এমন লোকদের আগ্রহও দিন দিন বেড়েই চলেছে।

আমেবিকায় কর্মরত আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য মো. আতিকুর রহমান জানান, মসজিদ, গীর্জা, প্যাগোডা বন্ধ থাকার পাশাপাশি আমেরিকায় প্রকাশ্যে অশ্লীলতাও বন্ধ রয়েছে। মদের বার ও ডিসকো ক্লাবগুলো বন্ধ রয়েছে। অন্যদিকে প্রতিটি মুসলিম পরিবারে ধর্মানুশীলন মাত্রাতিরিক্ত বেড়ে গিয়েছে। এতোদিন ব্যস্ততার কারণে যে সুযোগ আসলে পাওয়া যায়নি, সেই সুযোগ পেয়ে মুসলিমরা ধর্মের অনুশীলন বাড়িয়ে দিয়েছে। তিনি বলেন, করোনা আসার কারণে আমরা অন্য ধর্মের সহকর্মীদের বলতে পারছি যে, বার বার (দৈনিক পাঁচ বার) হাত ধোয়ার কথা ১৫০০ বছর আগে থেকেই আমাদের ধর্মের প্রাকটিস।

মার্কিন যুক্তরাষ্টে অবস্থানকারী বাংলাদেশি ব্যবসায়ী ইকরাম হোসাইন জানান, লকডাউন তো মহানবী সা. এর সময়েও ছিল। নারীদের মাস্ক দিয়ে মুখ ঢাকার দৃশ্য হিজাবের কথাই স্মরণ করিয়ে দেয়। তিনি মজা করে বলেন, স্বাভাবিক অবস্থায় যারা আমেরিকায় বসবাসকারী নামে মুসলমান ছিল, তারা অনেকটা কাজে মুসলমান হয়েছে। আমি অনেক পরিবারের খোঁজ নিয়েছি, ইসলাম ধর্মের অনুশীলন মুসলিম পরিবারগুলোতে ব্যাপকভাবে বেড়েছে। ভালো খবর হলো, আমেরিকায় মসজিদের সংখ্যাও ক্রমে বাড়ছে। করোনার কারণে আল্লাহর প্রতি ভয় ও আখেরাতে জবাবদিহিতার ভয় বেড়েছে। পুলিশের তথ্য, দেশে অপরাধও কমেছে। তাসের মাহমুদ নামে একজন নাস্তিক সাংবাদিক করোনাক্রান্ত হয়ে সুস্থ্য হয়েছেন এবং ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে তা প্রাকটিস করার খবর পেয়েছি। এছাড়া মার্কিন মুল্লুকে তুলনামূলকভাবে অন্য যে কোন সময়ের চেয়ে ইসলামের অনুশীলন বেড়েছে। আর আমেরিকান সংস্কৃতিতেও একটি ইসলামিক পরিবর্তনের ছোয়া লেগেছে বলে তিনি মনে করেন।



 

Show all comments
  • Farid Udfin ২৪ মে, ২০২০, ১:০৩ পিএম says : 0
    Very good and go ahead
    Total Reply(0) Reply
  • Jubaer ২৫ মে, ২০২০, ৩:১৮ এএম says : 0
    Alhamdulillah.Allahu forgive everyone insAllah.
    Total Reply(0) Reply
  • Nannu chowhan ২৫ মে, ২০২০, ৮:১৫ এএম says : 0
    Alhamdulillah,i am very hope full about our future generation,May Allah bless & hedayet us
    Total Reply(0) Reply
  • Dilwar Hossain ২৫ মে, ২০২০, ১১:০৩ এএম says : 0
    হয়ত একদিন দেখা যাবে ইজরায়েল রাষ্ট্রটি মুসলিম রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে।
    Total Reply(0) Reply
  • Gulam Mahbub ২৫ মে, ২০২০, ৮:১২ পিএম says : 0
    Alhamdulillah
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: যুক্তরাষ্ট্র


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ