মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
গতকাল সাউথ এশিয়ান মনিটরের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মিরে ভারতের আরোপ করা নতুন স্থায়ী বসবাসের আইন ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) প্রত্যাখ্যানকে স্বাগত জানিয়েছে পাকিস্তান। ইসলামাবাদ বিশ্বাস করে যে, আইনটির লক্ষ্য হলো কাশ্মিরের জনসংখ্যার বিন্যাসকে বদলে দেয়া। বুধবার (২০ মে) পাকিস্তান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আয়েশা ফারুকি টুইটে এ মন্তব্য করেন।
ওআইসি ভারত অধিকৃত কাশ্মিরে নতুন এক গুচ্ছ আইনের নিন্দা করেছে । সংস্থার আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে বলা হয়, ওআইসি ২০১৯ সালের ৫ আগস্টের একতরফা সিদ্ধান্ত এবং এর পর জম্মু ও কাশ্মিরের জনসংখ্যাগত বিন্যাস পরিবর্তন ও জম্মু ও কাশ্মিরের জনগণের অধিকার খর্ব করার ঘটনার নিন্দা করে।
আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব অনুসরণ করার উপর গুরুত্বারোপ করে এতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করা ঠিক নয়। এর আগে মঙ্গলবার পাকিস্তান জম্মু ও কাশ্মির রিঅর্গ্যানাইজেশন অর্ডার ২০২০-এর নিন্দা করে। একে ভারত অধিকৃত কাশ্মিরের জনসংখ্যাগত কাঠামো অবৈধভাবে বদলে দেয়ার চেষ্টা হিসেবেও অভিহিত করে পাকিস্তান।
পাকিস্তান পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র বলেন, এটি চতুর্থ জেনেভা কনভেনশনসহ আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
মুসলিমদের টার্গেট করার জন্য ভারতের সমালোচনা ওআইসির : সম্প্রতি ওআইসি দিল্লির সহিংসতার নিন্দা করে একে জঘন্য কাজ হিসেবে অভিহিত করেছে। ওআইসির টুইটে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানানো হয় মুসলিমবিরোধী সহিংসতার কার্যকলাপে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার জন্য এবং দেশের মুসলিম নাগরিকদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা প্রদান করার। তাছাড়া সমগ্র ভারতে ইসলামি পবিত্র স্থানগুলোর সুরক্ষা করার জন্যও ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানায় ওআইসি।
অধিকৃত কাশ্মিরে জনসংখ্যাগত বিন্যাসের পরিবর্তন করার চেষ্টা : ভারত সরকার বুধবার অধিকৃত কাশ্মিরে ভারতীয় নাগরিকদের স্থায়ীভাবে বসবাসের বিশেষ ছাড় দিয়ে নতুন আইন প্রণয়নের কথা ঘোষণা করেছে।
আল জাজিরার তথ্য মতে, বিশেষজ্ঞ ও অধিবাসীরা আশঙ্কা করছে যে মুসলিম প্রাধান্যপূর্ণ অঞ্চলটির জনসংখ্যাগত অবস্থার পরিবর্তন ঘটাবে। এতে বলা হয়, যারা জম্মু ও কাশ্মিরে ১৫ বছর বসবাস করেছে, সাত বছর পড়াশোনা করেছে, এই অঞ্চলের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ১০/১২ শ্রেণীর পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে, তারা সবাই স্থায়ী অধিবাসী হওয়ার সুযোগ পাবে। এর ফলে কাশ্মিরের জনসংখ্যার বিন্যাস বদলে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ভারত সরকার জম্মু ও কাশ্মিরের বিশেষ সাংবিধানিক স্বায়ত্তশাসন মর্যাদা বাতিল করার আট মাস পর এই আইন জারি করল।
আয়ারল্যান্ডের ডাবলিন সিটি ইউনিভার্সিটির স্কুল অব ল অ্যান্ড গভার্নমেন্টের শিক্ষক মোহাম্মদ তাহির বলেন, এই আইনের ফলে অ-কাশ্মিরিরা সহজেই স্থায়ী নাগরিক হওয়ার সুযোগ পাবে। এজন্য তাদের দরকার হবে স্রেফ একটি রেশন কার্ড বা বসবাসের নথি। তারা এমনকি ইলেকট্রনিকভাবেও আবেদন ও হাতে পেতে পারে। এটি হলো কাশ্মিরের জনসংখ্যা বদলে দেয়ার বিজেপির বৃহত্তর রাজনৈতিক এজেন্ডার অংশবিশেষ বলে তিনি উল্লেখ করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।