Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নেপালের নতুন মানচিত্র প্রকাশের নেপথ্যে

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৩ মে, ২০২০, ১২:০৮ এএম

নেপালের ‘নতুন মানচিত্রে’ ভারতের সাথে তিনটি বিতর্কিত এলাকান্ড লিম্পিয়াধুরা, লিপুলেখ ও কালাপানিকে তাদের ভূখন্ডে দেখানো হয়। জানানো হয়েছিল, ওই নতুন মানচিত্রটি বানানো হয়েছে নেপালের মন্ত্রিসভার সম্মতিতেই। এই ঘটনায় দিল্লি ও কাঠমান্ডুর সম্পর্কের টানাপড়েনের মধ্যেই সীমান্তের ওই তিন এলাকাকে নেপালেরই বলে দাবি করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি। ওলি বলেন, ‘এই তিনটি এলাকার বিষয়টিকে ছেড়ে দেয়া হবে না। কূটনৈতিক আলাপ-আলোচনার মাধ্যমেই তিনটি এলাকাকে নেপালে ফিরিয়ে আনার সব রকম চেষ্টা চালানো হবে। আর কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অনুমতি নিয়ে যে নতুন মানচিত্রটি ছাপা হয়েছে, তাকে স্বীকৃতি দেয়ার জন্য নেপালের সংবিধান সংশোধন করা হবে।’ দিল্লির বক্তব্য, তিনটি এলাকাই ভারতের। নেপালের মন্ত্রিসভার একটি বৈঠকের পর সরকারের মুখপাত্র ও অর্থমন্ত্রী ইউভরাজ খাটিওয়াদা জানিয়েছেন যে অনতিবিলম্বে নতুন এই মানচিত্র কার্যকর হবে। তিনি বলেন, নতুন এই মানচিত্র স্কুল-কলেজের বইপত্রে, সরকারি প্রতীকে এবং অফিস-আদালতের সব কাগজপত্রে এখন থেকেই ব্যবহার করা হবে। তিনি জানিয়েছেন, ভূমি ব্যবস্থাপনা সমবায় এবং দারিদ্র বিমোচন বিষয়ক মন্ত্রী পদ্মা আরিয়াল নতুন এই মানচিত্রের প্রস্তাব করেন এবং মন্ত্রিসভা এ ব্যাপারে তাদের সম্মতি দিয়েছে। বিবিসি’র নেপালী সার্ভিস জানিয়েছে, ভারতের দিক থেকে নেয়া সাম্প্রতিক তিনটি পদক্ষেপ নেপাল সরকারের এই সিদ্ধান্ত গ্রহণের পেছনে ভূমিকা রেখেছে। প্রথমত, গত বছর ভারত নতুন একটি রাজনৈতিক মানচিত্র প্রকাশ করে যেখানে এই বিতর্কিত ভূমি দু’টি তাদের অংশে অন্তর্ভুক্ত হিসেবে দেখানো হয়। দ্বিতীয়ত, পিথোরাগড়-লিপুলেখের লিংক রোড উদ্বোধন এবং সর্বশেষ কারণ, পরবর্তীতে ভারতের চীফ অব আর্মি স্টাফ মনোজ নারাভানে মন্তব্য করেছিলেন যে, ওই লিংক রোডের ব্যাপারে নেপাল সরকারের আপত্তি এসেছে ‘অন্য কারো নির্দেশে’। ভারতের উত্তরাখন্ড, তিব্বত আর নেপালের সীমানা যেখানে মিশেছে সেখানে হিমালয়ের একটি গিরিপথের নাম লিপুলেখ। ওই গিরিপথের দক্ষিণের ভূখন্ডটি ‘কালাপানি’ নামে পরিচিত। যে এলাকাটি ভারতের নিয়ন্ত্রণে থাকলেও নেপাল তাদের অংশ বলে দাবি করে থাকে। ভারত ও নেপালের মধ্যে এমন ১ হাজার ৮০০ কিলোমিটার (১ হাজার ১১৮ মাইল) সীমান্ত রয়েছে, যা কাঁটাতার দিয়ে ঘেরা নয়। খোলা সীমান্ত। যে লিপুলেখ গিরিপথকে নেপাল তাদের এলাকা বলে দাবি করছে, ১৮১৬ সালের সুগৌলি চুক্তি অনুযায়ী, সেই এলাকাটিকে তদানীন্তন ব্রিটিশ সরকার ভারতের সঙ্গে নেপালের সীমান্তের পশ্চিম দিক বলে জানিয়েছিল। নেপালের সাম্প্রতিক দাবি সেই চুক্তির ভিত্তিতেই। শুধু তাই নয়, ১৯৬২ সালে ভারত-চীন যুদ্ধের পর থেকেই ভারত-নেপাল সীমান্তের যে দু’টি এলাকা লিম্পিয়াধুরা ও কালাপানিতে মোতায়েন রয়েছে ভারতীয় সেনা, কাঠমান্ডু এখন ওই দু’টি এলাকাকেও তাদের বলে দাবি করছে। সিএনএন, বিবিসি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নেপাল

৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ