যেভাবে মাছ ভাজলে ভেঙে যাবে না
বাঙালির প্রতিদিনের খাবারে মাছ তো থাকেই। এটি সব খাবারের মধ্যে পুষ্টির অন্যতম উৎস। তাড়াহুড়ো করে
খাবার পানি মাটির কলসিতে রেখে খাওয়ার প্রচলন বলতে গেলে উঠেই গেছে। গ্রামের দিকে হয়তো এটি চালু থাকতে পারে। আর বর্তমান প্রজন্ম এর সাথে পরিচিত নয়। তদুপরি মাটির কলসিতে খাবার পানি রাখার গুণাগুণ সম্পর্কে জানলে অবাক হবেন আপনিও।
মাটির কলসি, যা সাধারণত মটকা বলেই পরিচিত আমাদের কাছে। জানেন কি, এই মটকায় রাখা পানি খাওয়া কতটা স্বাস্থ্যকর? হয়তো অবাক হচ্ছেন শুনে যে, বর্তমানেও মাটির কলসিতে পানি রেখে খেতে হবে! কিন্তু এর গুণাগুণ প্রচুর।
পানি ঠান্ডা থাকে : মাটির কলসিতে পানি ঠাÐা হওয়ার কারণ মূলত বাষ্পীভবন। যখন কোন তরল পদার্থ বাষ্পীভ‚ত হয় তখন তার উষ্ণতা হ্রাস পায়। বাষ্পীভবনের জন্য যে তাপের প্রয়োজন তা তরল পদার্থই সরবরাহ করে থাকে। তাপ হারানোর কারণে তরল পদার্থের উষ্ণতা কমে যায়। মাটির কলসি বানানোর সময় মাটির সঙ্গে খানিকটা বালি মেশানো হয় এবং এর গায়ে অসংখ্য ছোট ছোট ছিদ্র থাকে। সেখান থেকেই মূলত বাষ্পীভন হয়ে পানি ঠান্ডা থাকে।
গলা ভাল রাখে : অনেক গায়ক-গায়িকাই রয়েছেন যারা এখনও পর্যন্ত মাটির কলসিতে রাখা পানি খান। এতে গলা ভাল থাকে। যাদের ঠান্ডার লাগার ভয় থাকে, তারাও মাটির কলসির পানি নির্দ্ধিধায় খেতে পারেন।
সানস্ট্রোক হওয়া আটকায় : জানেন কি মাটির কলসির পানি রুখে দিতে পারে সানস্ট্রোককেও। আমাদের শরীরে সাধারণত ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থের অভাবে সানস্ট্রোক হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। কিন্তু মাটির পাত্র পানি ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ বজায় রাখতে সাহায্য করে। ফলে এই পানি পান করলে সানস্ট্রোকও আটকানোর সম্ভাবনা রয়েছে।
মেটবলিজম বাড়ায় : প্লাস্টিকের বোতলে থাকা পানিতে বিসফেলনের মতো টস্কিক, কেমিক্যালস থাকে। যা শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক। টেস্টরনের মাত্রাও হ্রাস পায়। কিন্তু মাটির পাত্রের পানি টেস্টরন ব্যালেন্স করার ক্ষমতা রয়েছে। যা শরীরের মেটবলিজম বাড়াতে সাহায্য করে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।