পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানি রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি গত বৃহস্পতিবার কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন। ক্যাম্পে ৯ লাখ ২০ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা নাগরিক বসবাস করছেন। গতকাল শুক্রবার জাপান দূতাবাসের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি ইউএনএইচসিআর’র দক্ষতা উন্নয়ন কেন্দ্র, ইউনিসেফের একটি লার্নিং সেন্টার, ই-ভাউচার আউটলেট ও আপসাইক্লিং সেন্টার অব ডব্লিউএফপি পরিদর্শন করেন। সেখানে রোহিঙ্গা নাগরিকরা জাপানি সংস্থা ফাস্ট রিটেইলিং, ইউএনএইচসিআর এবং আরআরআরসি’র সহযোগিতায় স্বাস্থ্যসম্মত কিটস তৈরি করেন। তিনি আইওএম’র সুরক্ষা ও ক্যাম্প ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমের পাশাপাশি ইউএনএইচসিআরের টেকসই ভূমি ব্যবস্থাপনা ও পরিবেশগত পুনর্বাসন প্রকল্পও পর্যবেক্ষণ করেন।
২০১৭ সালের আগস্টে রোহিঙ্গা নাগরিকরা বাংলাদেশে আসার পর থেকে আন্তর্জাতিক সংস্থা ও এনজিওগুলোর মাধ্যমে কক্সবাজারের পাশাপাশি ভাসান চরে বিভিন্ন কাজে ১৭৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি সহায়তা করেছে জাপান। এই সহায়তাগুলোর মধ্যে খাদ্য সহায়তা, স্বাস্থ্যসেবা, ওয়াশ, আশ্রয় ও সুরক্ষা অন্তর্ভুক্ত।
চলমান কার্যক্রম দেখে রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বলেন, আমি যখনই রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করি, রোহিঙ্গা নাগরিকদের সহায়তার জন্য জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা ও এনজিওর অক্লান্ত পরিশ্রম দেখে মুগ্ধ হই। বাংলাদেশ ছাড়ার আগে এটিই হবে আমার শেষ সফর। তবে আমি বাংলাদেশ সরকার, রোহিঙ্গা নাগরিক ও হোস্ট সম্প্রদায়ের প্রতি আমার সহানুভূতি অব্যাহত রাখব। আমি আন্তরিকভাবে আশা করি, মিয়ানমার শিগগির নিরাপদ, স্বেচ্ছায় ও মর্যাদাপূর্ণভাবে তার দেশের নাগরিকদের ফিরিয়ে নেবে।
এই সংকটের ৬ বছর হতে চলছে। এই বিষয়ে বিশ্ব সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করা অপরিহার্য। রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে জাপান কাজ করে যাবে, তিনি যোগ করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।