Inqilab Logo

শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

শীতে হাঁপানি বাড়ে

| প্রকাশের সময় : ২১ অক্টোবর, ২০২২, ১২:০১ এএম

হাঁপানি হচ্ছে শ্বাসনালীর মধ্যে বায়ু চলাচলে বাঁধা সৃষ্টির সমস্যা। এই বাধা ননা কারণে হয়ে থাকে। ১) শ্বাসনালীর মাংশপেশীর সংকোচন। ২) শ্বাসনালীর মিউকাস আস্তরণ ফুলে ওঠা। ৩। শ্বাসনালীতে শ্লেষ্মা জমে বায়ু চলাচলে ব্যাঘাত সৃষ্টি। স্নায়ুবিক কারণে পেশি সংকোচন হতে পারে। অ্যালার্জির কারণে মিউকাস আস্তরণ ফুলে ওঠে ফলে বায়ু চলাচলের পথ সরু হয়ে যায়। শ্বাসনালীতে রোগ-জীবানুর সংক্রমণ হলে মিউকাস আস্তরণে প্রদাহ সৃষ্টি হয়, শ্লেষ্মাক্ষরণ বেড়ে যায় ফলে বায়ু চলার পথে ব্যাঘাত ঘটে। অনেক সময় উগ্র রাসায়নিক পদার্থ, ধোঁয়া, গ্যাস শ্বাসনালীতে গেলে মিউকাস আস্তরণ ফুলে ওঠে। শ্লেষ্মাক্ষরণ বেড়ে যায়। কিছু ওষুধের প্রতি কারো কারো অতি সংবেদশীলতা আছে যেমন- পেনিসিলিন, অ্যাসপিরিন সিরাম ইনজেকশন ইত্যাদি। তাদের এসব ড্রাগের প্রতিক্রিয়ায় শ্বাসকষ্ট হয়। যাদের হাঁপানির প্রবণতা আছে তাদের গরম থেকে ঠাণ্ডা ঘরে বা ঠাণ্ডা থেকে গরম ঘরে গেলে নাক দিয়ে পানি ঝরে, হাঁচি শুরু হয় পরে শ্বাসকষ্ট হয়।

শীতে এমনিতেই কিছু ভাইরাসের সংক্রমন বাড়ে, তারপর আছে ধুলাবালির আধিক্য, ডাস্ট, মাইট, ফুলের রেণুর উড়াউড়ি। তাপমাত্রার তারতম্যও কারও কারও জন্য খুব বেশী সংবেদনশীল। তাই হাঁপানি রুগীরা শীতের শুরুতেই তার এলার্জেনের কারন জেনে সতর্ক হবেন।

ডা. মো: ফজলুল কবির পাভেল



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: শীতে হাঁপানি বাড়ে

২১ অক্টোবর, ২০২২
আরও পড়ুন