Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

গাজীপুর সিটির প্রকৌশলী হত্যা : দুইজনের স্বীকারোক্তি

প্রকৌশলী সেলিম ৫ দিনের রিমান্ডে

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২১ মে, ২০২০, ৮:২৪ পিএম

মাইক্রোবাসটি রূপনগর বেড়িবাঁধে ওঠার পরে প্রকৌশলী আনিছুর রহমান সেলিম ইশারা দেন প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেনের গলা চেপে ধরতে। সঙ্গে সঙ্গেই আমি গলায় রশি পেচিয়ে টান দেই। তখন প্রকৌশলী সেলিমও দেলোয়ারকে চেপে ধরেন। দেহ নিস্তেজ হয়ে গেলে উত্তরার ১৭ নম্বর সেক্টরের খালি প্লটে রাস্তার পাশে লাশ ফেলে দেই, ফোনটি লেকে ফেলে দেয়া হয়। গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেনকে হত্যকান্ডের ঘটনায় গ্রেফতারের পর ভাড়াটে খুনি শাহীন এভাবেই পুলিশ ও আদালতে হত্যাকান্ডের বিবরণ দেয়। হত্যাকান্ডে জড়িত শাহিনের জবানিতে বেরিয়ে আসা আনিছুর রহমান সেলিমও গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সহকারী প্রকৌশলী। পুলিশ এরই মধ্যে তাকে ও হত্যায় ব্যবহৃত মাইক্রোবাসের চালক হাবিবকে গ্রেফতার করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার তিনজনকে আদালতে নিলে শাহীন ও হাবিব আদালতে জবানবন্দি দেয়। প্রকৌশলী সেলিমকে ৫ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার তাদের তিনজনকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে তুরাগ থানা পুলিশে। এসময় মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তার সহকর্মী সহকারী প্রকৌশলী সেলিম হোসেনকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তুরাগ থানার পরিদর্শক (অভিযান) শেখ মফিজুল ইসলাম। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম শহিদুল ইসলাম পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এছাড়াও গাড়ির চালক হাবিব ও কিলার শাহিন ঘটনার দায় স্বীকার করে সেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। অবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম শহিদুল ইসলাম আসামি হাবিবের ও ঢাকা মহানগর হাকিম শাহিনুর রহমান আসামি শাহিনের ফৌজদারি কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। অপরদিকে মামলার সাক্ষী হিসাবে রিকশাচালক রফিকুল ইসলাম ফৌজদারি কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করেন। তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন ঢাকা মহানগর হাকিম শহিদুল ইসলাম।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, দেলোয়ার হোসেন সৎ কর্মকর্তা ছিলেন। সিটি কর্পোরেশনে নিম্মমানের উন্নয়ন কাজ করায় তিনি বিভিন্ন ঠিকাদারের অন্তত শত কোটি টাকার বিল আটকে দিয়েছিলেন। এই কারণেই শক্তিশালী একটি সিন্ডিকেট তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে এবং তা বাস্তবায়ন করে।
উল্লেখ্য, গত ১১ মে সকাল সাড়ে নয়টার দিকে মিরপুরের বাসা থেকে অফিসের উদ্দেশে বের হন প্রকৌশলী দেলোয়ার। এরপর থেকে তার কোনো খোঁজ পাচ্ছিল না পরিবার। ওই দিন বেলা সাড়ে তিনটার দিকে উত্তরা ১৭ নম্বর সেক্টরের ৫ নম্বর ব্রিজের পশ্চিম দিকের একটি জঙ্গল থেকে দেলোয়ারের লাশ উদ্ধার করা হয়। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন ছিল। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী খোদেজা আক্তার তুরাগ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। তুরাগ থানা মামলা নম্বর ৬ (৫) ২০।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রিমান্ড

২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ