Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চি ঠি প ত্র

| প্রকাশের সময় : ২১ মে, ২০২০, ১২:০৩ এএম



ত্রাণ বিতরণে সামাজিক দূরত্ব
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক মহামারী ঘোষিত করোনাভাইরাস সংক্রমণের বিস্তার দিন দিন বাড়ছে। বাংলাদেশেও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমিতের সংখ্যা। সংক্রমণ বিস্তারের বেশ কয়েকটি কারণের মধ্যে অন্যতম হলো ভাইরাসের সামাজিক সংক্রমণের প্রতি আমাদের অসতর্কতা। আর এই সামাজিক সংক্রমণের সহজ ক্ষেত্র অসহায়, দরিদ্র, কর্মহীন ও দুস্থদের নিকট সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে ত্রাণ বিতরণে সংশ্লিষ্ট অনেকের সামাজিক দূরত্বের বিষয়ে অবহেলা। ব্যাংক, মুদি দোকান ও ওষুধের দোকানগুলোতে স্থানীয় প্রশাসন এবং দায়িত্বরত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নিয়ন্ত্রণে ক্রেতা বা গ্রাহকদের মধ্যে নির্দেশিত দূরত্বের বিষয়টি মেনে চলতে দেখা যায়। কিন্তু ত্রাণ বিতরণের মতো মানবিক কাজে অনেকেই সামাজিক দূরত্বের বিষয়ে সচেষ্ট হলেও বেশ কিছু ক্ষেত্রে অবহেলা করা হচ্ছে। প্রতিদিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও পত্র-পত্রিকায় এই বিষয়টি তুলে ধরে ছবিসহ পোস্ট ও প্রতিবেদন প্রকাশ করা হচ্ছে। এধরনের অবহেলা পুরো দেশের করোনা পরিস্থিতিকে ভয়াবহ করে তুলতে পারে। তাই, এলাকাভিত্তিক সুবিধাপ্রাপ্যদের তালিকা করে তাদের বাসায় সহায়তা পৌঁছানো নিশ্চিত করা জরুরি। অথবা, ত্রাণ বিতরণের স্থানে সংশ্লিষ্ট সকলের মধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ ও সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
আবু ফারুক
সহকারী শিক্ষক, ভাগ্যকুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বান্দরবান।

 

ক্ষুধায় দিশেহারা পথের অবলা প্রাণী
মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে সংকটে দরিদ্র ও অসহায় মানুষদের অস্তিত্ব। তবে এর প্রভাব থেকে রক্ষা পায়নি কুকুর-বিড়ালের মতো অবলা প্রাণীগুলোও। বিশেষ করে অলিগলিতে থাকা বেওয়ারিশ এবং ছিন্নমূল এ প্রাণীগুলো ভুগছে খাদ্য সংকটে। তারা হোটেলের উচ্ছিষ্ট, পঁচা খাবার খেয়েই তাদের জীবন চলে। কিন্তু লকডাউনে দেশের সমস্ত হোটেল ও বাণিজ্যিক দোকানপাট বন্ধ। এতে চরম বিপাকে পড়েছে এই প্রাণীগুলো। তারা কারো কাছে বলতে পারে না খাবারের কথা। ক্রমাগত লকডাউনকরোনা হয়ত রুখা যাবে একদিন, কিন্তু ততদিন পর্যন্ত অপেক্ষা করবে পেটের খিদে? তাইতো নিরীহ প্রাণীগুলো ক্ষুধায় ক্লান্ত শরীর টেনে নিয়ে পথে পথে ঘুরছে, যদি কোথাও সামান্য খাবার মেলে। না পেলে একটা সময় শুয়ে পড়ছে পথের ধারে। এই মুহূর্তে ঘরে থেকেই আমাদের ছোট ছোট মানবিক উদ্যোগগুলোই বদলে দিতে পারে এইসমাজ, এই দেশ। বাঁচিয়ে দিতে পারে অসহায় প্রাণীগুলোর জীবন। প্রতিদিন বাড়িতে নষ্ট হয়ে যাওয়া খাবারগুলোর সাথে আর একটু খাবার যদি দরজার সামনে বা ডাষ্টবিনের পাশে রেখে দেওয়া যায়, তবে রাস্তার অবলা প্রাণীগুলো আর না খেয়ে মরবে না। করোনার দিনে মানুষের প্রতি খেয়াল রাখা যেমন আমাদের দায়িত্ব, তেমনি দায়িত্ব চারপাশের জীবের প্রতি খেয়াল রাখাও।
মো. রাশিদুল ইসলাম
শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চি ঠি প ত্র

২ নভেম্বর, ২০২০

আরও
আরও পড়ুন