Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পৃথিবীর সমস্ত শক্তি এই ক্ষুদ্র ভাইরাসকে পরাস্ত করতে পারছে না কেন? কোথায় এর শক্তি?

মোবায়েদুর রহমান | প্রকাশের সময় : ১৯ মে, ২০২০, ১২:০১ এএম

করোনাভাইরাস একটি মেডিকেল টার্ম। আরো সুস্পষ্টভাবে বলতে গেলে এটি মলিকিউলার বায়োলজি (অনুজীব বিজ্ঞান) বা ভাইরোলজির একটি পরিভাষা। তাই করোনাভাইরাস নিয়ে আলোচনা করতে গেলে কিছু মেডিকেল টার্মনোলজি বা টেকনিক্যাল বিষয় আলোচনায় এসে পড়বেই। আমি ফেব্রুয়ারী মাসের মধ্যভাগ থেকে করোনাভাইরাস সম্পর্কে ইন্টারনেটে বিদেশী মেডিকেল জার্নালে এবং বাংলাদেশের নাম করা ২/৩ টি পত্রিকায় যে সব নিবন্ধ বা কলাম প্রকাশিত হয়েছে সেগুলো যতদূর সম্ভব পড়ার চেষ্টা করেছি এবং আমার কম্পিউটারে সেভ করার চেষ্টা করেছি। তাই আজকের লেখাতেও ঐ ধরণের কিছু আলোচনা অবধারিতভাবে এসে পড়বেই। তবে এসব ডাক্তারি বিষয় ছাড়া বেশ কিছু বিষয় বেশ কয়েকদিন ধরে আমার মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে, সেগুলো আমি আজ আমার সন্মানিত পাঠক ভাইবোনদের সাথে শেয়ার করছি।

আমার জীবদ্দশায় এই ধরনের ভয়াবহ এবং বিধ্বংসী আক্রমণ এবারই প্রথম শুনলাম এবং দেখলাম। এর আগে সোয়াইন ফ্লু, বার্ডস ফ্লু, স্প্যানিশ ফ্লু, এ্যান্থ্রাক্স, প্লেগ, গুটিবসন্ত, কলেরা প্রভৃতি মহামারীর কথা শুনেছি। এগুলোর প্রায় সবই ছিল মহামারী। যদিও এগুলোর কোন কোনটাকে প্যান্ডেমিক বা বৈশ্বিক মহামারি বলা হয়েছে। কিন্তু প্যান্ডেমিকের যেটি ডিকশনারী অর্থ, সেই অর্থে ও গুলো প্যান্ডেমিক ছিলো না। এগুলো ছিলো এপিডেমিক বা মহামারী। ঐ গুলোর প্রাদুর্ভাব ছিলো স্থানীয় ভাবে। কোনো কোনোটি ছিলো একটি দেশে, কোনো কোনোটি ছিল একটি দেশের একটি অঞ্চলে, আবার কোনো কোনোটি ছিলো তিন চারটি দেশে। কিন্তু করোনাভাইরাসের মত পৃথিবীর সমস্ত দেশে এবং টেরিটরিতে এবং দুইটি বিশাল বাণিজ্যিক জাহাজের যাত্রীদেরকে আক্রমণ বা সংক্রমণ অন্য কোনো ভাইরাস অতীতে করেনি।

আমার জ্ঞান খুবই ক্ষুদ্র এবং সীমিত। সেই সীমিত জ্ঞান থেকে বলছি যে, পৃথিবীর ২১৩ দেশ শুধু নয়, সমুদ্রগামী দুইটি বিশাল জাহাজের যাত্রীদেরকেও আক্রমণ বা সংক্রমণ করেছে এই ভয়াবহ করোনাভাইরাস। আমার জানা মতে, শতবর্ষ বা হাজার বর্ষ অতীতেও পৃথিবীর সবগুলো দেশকে এমন একটি জীবাণু বা ভাইরাস এভাবে আক্রমণ করেনি। পৃথিবীর ২১৩টি দেশের ওপরেই করোনাভাইরাস আঘাত হেনেছে। তবে গত সোমবার পর্যন্ত পৃথিবীর ২১৩ টি দেশের মধ্যে একটি দেশে কেউই মৃত্যুবরণ করে নাই। সেই দেশটি হলো ভিয়েতনাম।

প্রিয় পাঠক, লক্ষ করুন, অন্যান্য ভাইরাসের মতই খালি চোখে এই ভাইরাসটি দেখা যায় না। এতই ক্ষুদ্র এটি। মাইক্রোস্কোপ বা অনুবীক্ষণ যন্ত্র দিয়ে এটিকে দেখতে হয়। সে জন্যই এর বাংলা হলো অণুজীব বা জীবাণু। যেটিকে ধরা যায় না, ছোঁয়া যায় না, দেখা যায় না, তেমন ক্ষুদ্রাতি ক্ষুদ্র একটি জীবাণু সমগ্র পৃথিবীকে আক্রমণ করলো। সোমবার পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য মোতাবেক ৪৭ লক্ষ ২২ হাজার ২৩৩ ব্যক্তিকে আকৃতিতে ক্ষুদ্র কিন্তু শক্তিতে মহাদানব এই ভাইরাসটি আক্রমণ করেছে। সোমবার প্রাপ্ত তথ্য মোতাবেক, এ পর্যন্ত এই ক্ষুদে দানবটি ৩ লক্ষ ১৩ হাজার ২৬৬ ব্যক্তিকে হত্যা করেছে।

দুই
পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী দেশ আমেরিকা। সামরিক শক্তিতে শ্রেষ্ঠ, অর্থনীতিতে সবচেয়ে ধনী এবং প্রযুক্তিতে সবচেয়ে অগ্রসর আমেরিকাকেও এই ভাইরাসটি ছাড়েনি। রবিবার পর্যন্ত আমেরিকায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ লক্ষ ৭ হাজার ৭৭৩ জন এবং মৃত্যু বরণ করেছেন ৯০ হাজার ১১৩ জন। পৃথিবীর অন্যান্য ধনাঢ্য রাষ্ট্র ইংল্যান্ড, জার্মানী, ইটালী, ফ্রান্স, স্পেনসহ কেউ বাকী নাই। পৃথিবীর দ্বিতীয় শক্তিশালী রাষ্ট্র রাশিয়ার ২ লক্ষ ৭২ হাজার ৪৩ ব্যক্তিকে আক্রমণ করেছে এবং ২ হাজার ৫৩৭ ব্যক্তি মৃত্যু মুখে পতিত হয়েছেন। ভারতেও আক্রান্তের সংখ্যা ৯০ হাজার ৯ শত ২৭ জন এবং মৃত্যুর সংখ্যা ২ হাজার ৮৭২ জন। বাংলাদেশে আক্রান্তের সংখ্যা ২২ হাজার ২৬৮ এবং মৃত্যুর সংখ্যা ৩২৮ জন। আমার কাছে সব দেশের পরিসংখ্যান আছে। কারণ ওয়ার্লড ওমিটার ওয়েব সাইট ভিজিট করলে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়।

এসব তথ্য ও পরিসংখ্যান আপনাদেরকে দিলাম একটি প্রশ্ন করার জন্য এবং সেই প্রশ্নের জবাব খোঁজার জন্য। সেটি হলো, কোথা থেকে এলো এই ভাইরাসটি? কেমন করে এলো? কেমন করে সেটি মানুষের শরীরে গেলো? পৃথিবীর কোটি কোটি মানুষের মাথায় বুদ্ধি গিজ গিজ করছে। তাদের ব্রেন বা মস্তিষ্ক জ্ঞান গরিমায় ঠাসা। এত বুদ্ধি এবং এত জ্ঞানগরিমা দিয়ে মানুষ এ্যাটম বোমা এবং হাইড্রোজেন বোমা বানিয়েছে। বানিয়েছে শব্দের চেয়ে বহুগুণ দ্রুতগতি সম্পন্ন জঙ্গী বিমান। বানিয়েছে ভূমি থেকে আকাশে, আকাশ থেকে ভূমিতে এবং আকাশ থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র। বানিয়েছে বিমানবাহী জাহাজ, যে জাহাজ থেকে এক সাথে অনেকগুলো জঙ্গী বিমান আকাশে উড়তে পারে এবং ফের আকাশ থেকে পানিতে ভাসমান বিমানবাহী জাহাজে ল্যান্ড করতে পারে। আমেরিকা, চীন, রাশিয়া প্রভৃতি দেশ খরচ করে ট্রিলিয়নস অব ডলার। এক ট্রিলিয়ন হলো ১ লক্ষ কোটি। রাশিয়া এবং আমেরিকা চাইলে তাদের পারমাণবিক বোমা মেরে পৃথিবী নামক মহাবিশ্বের এই গ্রহটিকে মুহুর্তের মধ্যেই ধ্বংস করে দিতে পারে।

অথচ তারা এই অনুকণা সদৃশ্য ক্ষুদ্র জীবাণুটির কাছে পরাস্ত হচ্ছে কেন? কোথায় গেল তাদের বিপুল অস্ত্র ভান্ডারের বিধ্বংসী অস্ত্রসমূহ। তাদের ডাক্তারদের, বিজ্ঞানীদের, প্রযুক্তিবিদ এবং সামরিক নেতাদের মাথায় এত বুদ্ধি অথচ মাথা ভর্তি বুদ্ধি নিয়ে তারা এই ক্ষুদ্রাতি ক্ষুদ্র জীবকে মোকাবেলা করতে পারছেনা কেন? আরো বড় প্রশ্ন হলো, ক্ষুদ্র ভাইরাসটির দানবীয় আক্রমণ এবং নারকীয় তান্ডব? কোথা থেকে পেল সে এত শক্তি? কেন এই ধ্বংসলীলা? কেন মৃত্যুর এই অন্তহীন মিছিল। এটা কি মানবসৃষ্ট কোনো তান্ডব? আমার সংগ্রহে পবিত্র কোরআনের প্রায় ৪৫টি সুরার প্রায় ৬০টি আয়াত রয়েছে। এগুলো গজব নাজিলের আয়াত। করোনাভাইরাসের নামে সারা দুনিয়ায় যে লক্ষ লক্ষ মানুষ মারা যাচ্ছেন, প্রায় যে অর্ধ কোটি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন এগুলো কি আল্লাহ সুবাহানা তায়ালার খোদায়ী গজব? এই প্রশ্ন অনেকেই করেছেন। আমার কাছে কোনো উত্তর নাই। কারণ আমি আল কোরআন সম্পর্কে যৎসামান্যই জ্ঞান রাখি। তবে আমার মনে প্রশ্ন, যদি এটা খোদায়ী গজব না হয় তাহলে এটা কি? আর যদি খোদায়ী গজব হয় তাহলে সেটি কেন? যারা পন্ডিত, যারা ইসলামী চিন্তাবিদ অথবা যারা ডাক্তার ও বিজ্ঞানী তাদের কাছে আমি এই প্রশ্ন রেখে দিলাম।

তিন
এখন সবার মুখে এক প্রশ্ন, বাংলাদেশ থেকে করোনাভাইরাস কবে যাবে? এ ব্যাপারে সাধারণ শিক্ষিত মানুষ তো দূরের কথা, চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ, অণুজীববিজ্ঞানী এবং ভাইরোলজিস্টরাও সুস্পষ্টভাবে কিছু বলতে পারছেন না। একটি কথা সাধারণভাবে দেশি-বিদেশি সব মহলেই বলা হচ্ছে যে, এই ভাইরাসটির বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট ভ্যাকসিন বা টিকা আবিষ্কার এবং সেই টিকা সাধারণ মানুষের ওপর প্রয়োগ না করা পর্যন্ত শুধু বাংলাদেশ কেন, পৃথিবী করোনা মুক্ত হবে না। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থ্যার (হু) মহাসচিব ৩/৪দিন আগে বলেছেন যে, টিকা আবিষ্কৃত না হওয়া পর্যন্ত আমাদেরকে করোনার সাথেই বাস করতে হবে। প্রসঙ্গত তিনি প্রাণঘাতী এইড্স এর কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, এইড্স হলে বাঁচার হার শূন্যই বলা যায়। আজ পর্যন্ত এইডসের কোনো ভ্যাকসিন বা ওষুধ বের হয়নি। তারপরেও আমরা এইডসের সাথেই বেঁচে আছি। তবে এইডসের সাথে করোনা ভাইরাসরে তুলনা সঠিক নয়। এইডস কোনো ছোঁয়াচে রোগ নয়। এইডস রোগীর সাথে ঘোরাফেরা করলেও এইডস হয় না। কয়েকটি বিধিনিষেধ রয়েছে সেটি করলে এইডস হবে না।

কিন্তু করোনার বিষয়টি সম্পূর্ণ আলাদা। এই রোগটি ভয়ংকর ছোঁয়াচে। কাউকে স্পর্শ না করেও এই রোগ হতে পারে। করোনা রোগী যদি ৩ ফুট দূর থেকে আপনার সাথে কথা বলে তাহলে তার মুখের জলকণা বা ড্রপলেট থেকেও ভাইরাসটি ছড়াতে পারে। সুতরাং চারদিকে শুধু নিরাশার আঁধার। তবে নৈরাশ্যের এই ঘনকৃষ্ণ অন্ধকারেও সুড়ঙ্গের ওপারে আশার ক্ষীণ আলো দেখা যাচ্ছে। পৃথিবীতে ২০৮টি ওষুধ কোম্পানী তাদের পরীক্ষাগার বা ল্যাবে করোনা প্রতিরোধক ওষুধ বা টিকা আবিষ্কারের জন্য দিন রাত কাজ করে যাচ্ছে। কয়েকদিন আগে আমেরিকায় ‘ রেমডেসিভির’ নামক ওষুধটি করোনার চিকিৎসায় ফল দেবে- এই সংবাদে দুনিয়া জোড়া আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছিলো। খবরটি এতটাই আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলো যে বাংলাদেশের নাম করা ওষুধ কোম্পানী এসকেএফ দেড় মাস আগে থেকেই ঐ ওষুধটি বানানোর কাজ শুরু করেছিলো। এখন তারা এই ওষুধটি ইতোমধ্যেই বানিয়ে ফেলেছে বলে দাবি করেছে। ঐ দিকে বাংলাদেশের আরেকটি নামকরা ওষুধ কোম্পানী বেক্সিমকোও এই ওষুধটি নির্মাণে অনেক দূর অগ্রসর হয়েছে বলে দাবি করেছেন।

এসব খবর পড়ে মনে হয় যে ২/৪ সপ্তাহের মধ্যেই করোনার ওষুধ আমাদের হাতের নাগালের মধ্যে এসে যাবে। কিন্তু বিষয়টি অত সোজা নয়। মাঝখানে রয়েছে অনেকগুলি আনুষ্ঠানিকতা পালনের ব্যাপার। ঐ সব আনুষ্ঠানিকতা সারতে কম করে হলেও ৬ মাস এবং ঊর্ধ্বে এক বছর সময় লাগবে। তবে বাংলাদেশে একটি পুরাতন পদ্ধতি প্রয়োগের কাজ শুরু হয়েছে। সেটি হলো প্লাজমা থেরাপী। প্লাজমা থেরাপী হলো রক্তের শ্বেতকণিকা, লোহিত কণিকা ইত্যাদি বাদ দিয়ে যে হলুদ বা পীত বর্ণের অংশ থাকে সেটি হলো রক্তের প্লাজমা। যেসব করোনা রোগী সুস্থ হয়েছেন তাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বা এন্টিবডি জন্মায়। রক্তের প্লাজমায় থাকে এই এন্টিবডি। করোনায় আক্রান্ত রোগীর শরীরে এই প্লাজমা বা এন্টিবডি প্রবেশ করালে তার সুস্থ হওয়ার সম্ভবনা উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। গত শনিবার থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ এই প্লাজমা সংগ্রহ শুরু করেছে। চলতি সপ্তাহের শেষে বা আগামী সপ্তাহের শুরুতে করোনা রোগীকে প্লাজমা থেরাপী দেওয়া হবে। জনগণ ব্যাকুল প্রতিক্ষায় প্রহর গুণছেন, প্লাজমা থেরাপীর ফলাফল কি হয়। আমরাও সেই ফলাফলেও জন্য ব্যাকুল হৃদয়ে প্রতিক্ষা করছি।
[email protected]


অথচ তারা এই অণুকণা সদৃশ্য ক্ষুদ্র জীবাণুটির কাছে পরাস্ত হচ্ছে কেন? কোথায় গেল তাদের বিপুল অস্ত্র ভান্ডারের বিধ্বংসী অস্ত্রসমূহ। তাদের ডাক্তারদের, বিজ্ঞানীদের, প্রযুক্তিবিদ এবং সামরিক নেতাদের মাথায় এত বুদ্ধি অথচ মাথা ভর্তি বুদ্ধি নিয়ে তারা এই ক্ষুদ্রাতি ক্ষুদ্র জীবকে মোকাবেলা করতে পারছে না কেন? আরো বড় প্রশ্ন হলো, ক্ষুদ্র ভাইরাসটির দানবীয় আক্রমণ এবং নারকীয় তান্ডব, কোথা থেকে পেল সে এত শক্তি? কেন এই ধ্বংসলীলা? কেন মৃত্যুর এই অন্তহীন মিছিল? এটা কি মানবসৃষ্ট কোনো তান্ডব? আমার সংগ্রহে পবিত্র কোরআনের প্রায় ৪৫টি সুরার প্রায় ৬০টি আয়াত রয়েছে। এগুলো গজব নাজিলের আয়াত। করোনাভাইরাসের নামে সারা দুনিয়ায় যে লাখ লাখ মানুষ মারা যাচ্ছেন, প্রায় যে অর্ধ কোটি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন এগুলো কি আল্লাহ সুবহানা তায়ালার খোদায়ী গজব? এই প্রশ্ন অনেকেই করেছেন। আমার কাছে কোনো উত্তর নেই। কারণ আমি আল কোরআন সম্পর্কে যৎসামান্যই জ্ঞান রাখি। তবে আমার মনে প্রশ্ন, যদি এটা খোদায়ী গজব না হয় তাহলে এটা কি? আর যদি খোদায়ী গজব হয় তাহলে সেটি কেন? যারা পন্ডিত, যারা ইসলামী চিন্তাবিদ অথবা যারা ডাক্তার ও বিজ্ঞানী তাদের কাছে আমি এই প্রশ্ন রেখে দিলাম।



 

Show all comments
  • Hr Peal ১৯ মে, ২০২০, ১:০১ এএম says : 0
    গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস এ লেখা থাকবে বাংলাদেশের জনগণের কথা যারা করোনার মতো ভয়ংকর মহামারীর মধ্যেও ঈদ উৎযাপন ছাড়েনি।
    Total Reply(0) Reply
  • Srinivas Das ১৯ মে, ২০২০, ১:০৩ এএম says : 0
    করোনা মুঠো থেকে ছুটে গেছে। এখন নিয়ন্ত্রনে আনতে অনেক ব্যায় হতে পারে বাংলাদেশের। এখন আমরা আমাদের নিজ থেকে করোনা মোকাবিলায় অংশ নিতে পারি। আমারা ক্ষুদ্র মানুষ ঈশ্বর *আল্লাহ * ছাড়া আর কি গতি আছে? এখনই সময়,সমস্ত কু কর্মের পথ পিছনে ফেলে ঈশ্বরের কাছে আত্মসমর্পন করা। আমরা সকলেই বিশ্বাস করি ঈশ্বর বলে আছে কেউ,কিন্তু ঈশ্বরের কাজে আমরা শূণ্য।
    Total Reply(0) Reply
  • Abu Hossain Siddik Rana ১৯ মে, ২০২০, ১:০৩ এএম says : 0
    পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাহিরে চলে যাচ্ছে। হে আল্লাহ তোমার কুদরতি অছিলায় আমাদের হেফাজত করুন।।
    Total Reply(0) Reply
  • Najmul Haque ১৯ মে, ২০২০, ১:০৪ এএম says : 0
    আসুন সবাই মিলে মহান আল্লাহর কাছে রহমত তালাশ করি।পাশাপাশি সাস্থ্যবিধি মানা সহ রোগ নিরাময়ের যাবতীয় চেস্টা করে যাব
    Total Reply(0) Reply
  • Muhammad Sajib Hossen ১৯ মে, ২০২০, ১:০৫ এএম says : 0
    আল্লাহ যদি আমাদের প্রতি সহায় না হোন,তাহলে আমাদের জন্য অনেক খারাপ পরিস্থিতি অপেক্ষা করতেছে ।আল্লাহ আমাদের সকলকে হেফাযত করুন।
    Total Reply(0) Reply
  • Arif Ahmad ১৯ মে, ২০২০, ১:০৫ এএম says : 0
    ইয়া আল্লাহ জানিনা আমাদের দেশ কোথায় যাবে, কোন পরিস্থিতির যাবে! তারপরও আমরা সচেতন নয়, আমরা অযথা ঘোরাঘুরি করছি বাহিরে! আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন, আমিন।
    Total Reply(0) Reply
  • ওয়াহিদুজ্জামান ওয়াহিদ ১৯ মে, ২০২০, ১:০৭ এএম says : 0
    সরকার চেয়ে আছে জনগনের উপর, জনগন চেয়ে আছে সরকারের উপর।আর কেউ কেউ চেয়ে আছে উভয়ের উপর।
    Total Reply(0) Reply
  • মোঃ মিজান ১৯ মে, ২০২০, ৩:১৮ এএম says : 0
    মুসা নবীর আমলে ফেরাউন এর উপর যে গজব আল্লাহ দিয়ে ছিলেন সেই গজব আমরা এখন পাচ্ছি পঙ্গো পাল ও করোনা
    Total Reply(0) Reply
  • Md tanvir hossain ১৯ মে, ২০২০, ১০:০৭ এএম says : 0
    Amadar gunar karonei gojob ashe
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন