নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
অবশেষে ফুটবল ফিরেছে মাঠে। আগের দিনই বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ফুটবল লিগ বুন্দেসলিগা মাঠে গড়িয়েছে। তাতে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন ফুটবল ভক্তরা। এমনকি সারা বিশ্বের ফুটবলাররাও। বর্তমান বিশ্বের সেরা সেরা তারকারাও এখন বুন্দেসলিগার ম্যাচ দেখছেন। পিএসজির ফরাসী তারকা কিলিয়ান এমবাপে ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ইংলিশ তারকা মার্কাস রাশফোর্ডের মতো তারকারাও উচ্ছ¡াস গোপন করতে পারেননি।
আর এমনটা হবেই না কেন? করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে সেই মার্চ থেকেই স্থগিত বিশ্বের প্রায় সব ফুটবল লিগ। দুই মাসেরও বেশি সময় পর ফের যখন বুন্দেসলিগা শুরু হলো তা দেখে অন্য লিগগুলো শুরু করার আত্মবিশ্বাসটা আরও বাড়লও বটে। যদিও এর মধ্যেই এমবাপেদের ফরাসী লিগ ওয়ান বাতিল করা হয়েছে। তবে রাশফোর্ডদের ইংলিশ চালুর জোরালো সম্ভাবনা রয়েছে।
বুন্দেসলিগা শুরু হওয়ার পর তাই আগের দিন সামাজিক মাধ্যম টুইটারে উচ্ছ¡াস প্রকাশ করেছেন এমবাপে। চোখ, ফুটবল ও টিভির ইমো পাশাপাশি দিয়ে বুঝিয়েছেন খেলা দেখছেন তিনি। এরপর হ্যাসট্যাগে বুরুশিয়া ডর্টমুন্ড ও শালকে ০৪ এর সংক্ষিপ্ত নাম লিখেছেন। শেষে আরও একটি হ্যাশট্যাগ দিয়ে লিখেছেন বুন্দেসলিগা ফিরেছে।
আর রাশফোর্ড তার টুইটারে লিখেছেন, ‘আহ আমার দিনগুলি, আমি আর অপেক্ষা করতে পারছি না।’
এছাড়া ম্যানচেস্টার সিটির সাবেক তারকা নাইজেল ডি ইয়ং আগের দিন বেইনস্পোর্টসের ফুটবল বিশেষজ্ঞ হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন। যাত্রা পথের ছবি আপলোড করে লিখেছেন, ‘৬৮ দিন ফুটবল আইসোলেশনে থাকার পর অবশেষে লাইভ ফুটবল ফিরছে! বেইনস্পোর্টস স্টুডিওর পথে। আবার শুরু করা ভালো না খারা সিদ্ধান্ত হলো?’
জার্মানির দেখাদেখি ফুটবল মাঠে ফেরানোর পরিকল্পনা করছে স্পেন ও ইতালি। করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ৩৪ হাজার পেরিয়ে গেলেও সে পথেই হাঁটতে যাচ্ছে যুক্তরাজ্যও। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ ফেরার কথা শুনে স্বস্তিতে নেই ফুটবলাররা। ওয়াটফোর্ডের ট্রয় ডিনি, বেন ফস্টারের মতো ফুটবলাররা আগেই তাঁদের দুশ্চিন্তার কথা জানিয়েছেন। সে দলে যোগ দিলেন চেলসির উইলিয়ানও। ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গারের ধারণা, অধিকাংশ খেলোয়াড়ই ফেরার চিন্তায় খুব একটা আগ্রহ পাচ্ছেন না। ইভেনিং স্ট্যান্ডার্ডকে উইলিয়ান বলেছেন, ‘সত্যি কথা বলি, আমি যা দেখছি, অধিকাংশই ফেরার কথা শুনে অস্বস্তিতে আছে। আমরাও খেলায় ফিরতে চাই। যা করতে ভালোবাসি সেই খেলাকে অনেক মিস করি আমরা। কিন্তু তার আগে ব্যাপারটা নিরাপদ হতে হবে। এটার দিকেই আমাদের নজর এখন। আমাদদের স্বাস্থ্য সবার আগে। ফলে যতদিন না ফেরা সম্প‚র্ণ নিরাপদ হবে, খেলোয়াড়েরা এ ব্যাপারে খুব একটা আগ্রহ পাচ্ছে।’
অনেক নতুন নিয়ম কানুন সৃষ্টি করে জার্মানিতে খেলা শুরু হয়েছে। মাঠে থুতু ফেলা যাবে না, দুই দল আলাদাভাবে মাঠে ঢুকবে এবং সামাজিক দ‚রত্ব বজায় রাখবে-এমন কিছুই আলোচিত হয়েছে। এ কারণে গোল উদযাপনের পরও সতীর্থরা দ‚রে দাঁড়িয়ে গোল উদযাপন করেছেন। যোগ করা সময়ের গপোলে জয়ের পরও তাই তেমন উল্লাস করার সুযোগ হয়নি। অথচ খেলার মাঝেই একে অন্যকে ট্যাকল করছেন, ফ্রি কিক বা কর্নারের সময় সব খেলোয়ার একে অপরের সঙ্গে গায়ে ধাক্কা দিচ্ছেন। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে দুই দলকে এক সঙ্গে মাঠেও ঢুকতে দেখা গেছে। ফলে ফুটবল মাঠে সামাজিক দ‚রত্ব বজায় রাখার বিষয়টি প্রথম দিনেই হাস্যকর ঠেকেছে।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ শুরু করতে চাইলে এ সমস্যাগুলো দ‚র করার কথা বলছেন উইলিয়ান, ‘বিভিন্ন অ্যাপের মাধ্যমে দলের সবাই অনেক কথা বলছি আমরা, কিছু মিটিংও হয়েছে। ল্যাম্পার্ড (কোচ) প্রিমিয়ার লিগ কী চায় সেবারে কিছু তথ্যও দিয়েছে। আমরা এখনো জানি না সামনে কী হতে যাচ্ছে। আশা করি আগামী কিছুদিনে জানব। প্রিমিয়ার লিগ একটা মিটিং করে আমাদের জানাবে পরবর্তী ধাপের কথা।’
ওয়াটফোর্ড অধিনায়ক ও গোলরক্ষকের মতো কোচ নাইজেল পিয়ারসনও নিজের দুশ্চিন্তার কথা লুকাননি, ‘যদি একজনও অসুস্থ হয়ে পড়ে কী হবে? মানুষ এত বড় ঝুঁকির ব্যাপারে চোখ বন্ধ করে রাখছে। হ্যাঁ, আমরা চাই খেলা শুরু হোক। কিন্তু তার আগে সবকিছু নিরাপদ হোক। আমাদের সাবধান হতে হবে। ঝুঁকির সম্ভাবনা পাত্তা না দেওয়া হঠকারি হবে। মানুষের স্বাস্থ্য নিয়ে কথা হচ্ছে এখানে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।