মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
চীনকে চাপ দিতে এবার উইঘুর সহ অন্যান্য সংখ্যালঘু মুসলিম জনগোষ্ঠীর উপর নির্যাতন ইস্যু সামনে নিয়ে আসছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দীর্ঘদিন যাবত চলে আসা এসব নির্যাতনের জবাবে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে মার্কিন পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটে বিল পাস হয়েছে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সিনেটে সর্বসম্মত ভোটে দ্বিপক্ষীয় বিলটি পাস হয়।
এতে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনকে চীনের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানানো হয়েছে। করোনা ভাইরাস (কভিড-১৯) মহামারি নিয়ে সম্প্রতি দুই দেশের মধ্যে তীব্র বৈরি সম্পর্ক সৃষ্টি হয়েছে। এর মাঝে নতুন এ বিল পাস হলো। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
খবরে বলা হয়, উচ্চকক্ষ সিনেটে কোনো বাঁধা না পেয়ে পাস হলেও বিলটি এখনো আইনে পরিণত হয়নি। সিনেট থেকে এখন বিলটি পাঠানো হবে নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে। সেখানে পাস হলে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
চাইলে তিনি বিলটিতে স্বাক্ষর করে সেটিকে আইনে পরিণত করতে পারবেন বা ভেটো দিতে পারবেন।
করোনা ভাইরাস মহামারি নিয়ে চীনের বিরুদ্ধে প্রাথমিক পর্যায়ে তথ্য প্রকাশে অস্বচ্ছতার অভিযোগ এনেছে ট্রাম্প প্রশাসন। ট্রাম্প একাধিকবার চীনের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারে, চীনের সঙ্গে সকল সম্পর্ক ছিন্ন করতে পারেন বলেও হুমকি দিয়েছেন তিনি। চীন অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রের সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অপবাদের অভিযোগ এনেছে। দুই দেশের মধ্যকার চলমান উত্তেজনা নতুন এই বিলটির কারণে আরো বৃদ্ধি পাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এদিকে, চীন পূর্বে উইঘুরদের নির্যাতনের সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছে। বলেছে, এটা চীনের আভ্যন্তরীণ ব্যাপার। এজন্য দেশটির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণকে বিদ্বেষপরায়ণ আক্রমণ হিসেবে বর্ণনা করেছে। জাতিসংঘ অনুসারে, সাম্প্রতিক বছরগুলোয় চীনে শিনজিয়াং অঞ্চলে ১০ লাখের বেশি উইঘুরকে বন্দিশিবিরে আটক করা হয়েছে। তবে চীন এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাদের দাবি, ওই শিবিরগুলোয় উইঘুরদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়ে থাকে।
নতুন বিলটি উপস্থাপন করেছিলেন রিপাবলিকান সিনেটর মারকো রুবিও। এর আগে গত নভেম্বরে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদ উইঘুর নির্যাতনের জন্য দায়ী জ্যেষ্ঠ চীনা কর্মকর্তাদের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়ে একটি বিল পাস করে। ওই বিলটিতে বিশেষ করে, শিনজিয়াংয়ের কমিউনিস্ট পার্টি সেক্রেটারি চেন কুয়ানগুয়োকে দায়ী করা হয়। তিনি চীনের কমিউনিস্ট পার্টির প্রভাবশালী পলিটব্যুরো স্ট্যান্ডিং কমিটির একজন সদস্য।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।