নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ঘরোয়া ফুটবলের সর্বোচ্চ আসর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দ্বাদশ সংস্করণ ফের মাঠে গড়ানো নিয়ে আগামী ১৭ মে রোববার জরুরি সভায় বসছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) নির্বাহী কমিটি। এই সভায় স্থগিত লিগ আয়োজনের সিদ্ধান্ত ছাড়াও থাকছে নতুন মৌসুমের দিক নির্দেশনা! প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের কারণে গত ১৫ মার্চের পর আর মাঠে গড়ায়নি চলতি মৌসুমের বিপিএল। দু’মাস খেলা বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছে বিপিএলের ক্লাবগুলো। তারা বাফুফের পেশাদার লিগ কমিটির কাছে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত চায়। লিগ ফের মাঠে গড়াবে কিনা তা সুস্পষ্টভাবে জানতে চায় ক্লাবগুলো। আর এটা জানাতেই রোববার সভায় বসছে বাফুফের নির্বাহী কমিটি। এই সভা শেষে তারা লিগ বাতিল কিংবা সমাপ্ত যেকোন একটা ঘোষণা দেবে। যা শোনার অপেক্ষায় আছেন ক্লাব ও খেলোয়াড়সহ দেশের ফুটবলের সঙ্গে সম্পৃক্ত সব ফুটবলপ্রেমী।
লিগ সমাপ্ত, না বাতিল?- এ নিয়ে মাথাব্যথা নেই বিপিএলের বেশিরভাগ ক্লাবের। কারণ এই করোনা দুর্যোগে লিগ না হলেই তারা ছাড়বে স্বস্তির নিশ্বাস। তবে যে দলগুলো চ্যাম্পিয়ন ফাইটে আছে তাদের সামনেই বড় প্রশ্ন, লিগ বাতিল নাকি সমাপ্ত?
সবাই বুঝেন, ঢাকা আবাহনী চাইবে লিগটা সমাপ্ত ঘোষণা করা হোক। তাতে তাদের ঘরে উঠবে চ্যাম্পিয়ন ট্রফি। কিন্তু এটা সহজেই অনুমেয় এই সিদ্ধান্ত মানতে চাইবে না বসুন্ধরা কিংস, চট্টগ্রাম আবাহনী এবং শেখ জামাল ধানমন্ডিসহ কয়েকটি ক্লাব। বাফুফে অবশ্য ক্লাবগুলোর দাবির চেয়ে বেশি গুরুত্ব দেবে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের (এএফসি) গাইডলাইনকে। কী সিদ্ধান্ত নিতে হবে তা ১৭ মে’র আগেই বাফুফেকে জানিয়ে দেবে এএফসি। সামনে নির্বাচন। তাই বাফুফে চাইবে না কোন ক্লাবকেই চটাতে। যে কারণে তারা এএফসির কোর্টে বল ঠেলে দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেবে।
বাতিল নাকি লিগের সমাপ্তি, সেটা সিদ্ধান্তের বিষয়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে ক্লাবগুলোর বেশিরভাগ এবারের লিগ নিয়ে কোন চিন্তাই করছে না। তারা বরং নতুন মৌসুম নিয়ে ভাবনা শুরু করছে। নতুন মৌসুমে দু’একটি ছাড়া বেশিরভাগ ক্লাবেরই দল গঠন করতে গলদঘর্ম হতে হবে। করোনাভাইরাস দুর্যোগ কেটে গেলেও পরবর্তী সময়ে ক্লাবের স্পন্সররা কতটুকু সহায়তা করতে পারবে? তা এখনই ভাবিয়ে তুলেছে কর্মকর্তাদের। এ প্রসঙ্গে ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাবের ফুটবল ম্যানেজার আমের খান বলেন,‘বাফুফের এখনই ঘোষণা দেয়া উচিত আগামী মৌসুমের বিষয়ে। চলতি মৌসুমের ইতি টানার পাশপাশি সেই ঘোষণাও আমরা চাই। তাহলে ক্লাবগুলো আগে থেকেই একটা প্রস্তুতি নিতে পারবে। আগামী মৌসুমে দল গড়া হবে আরো কঠিন। কবে ট্রান্সফার, কবে টুর্নামেন্ট, কবে লিগ, বিদেশি কোটা- সবকিছুর সময়সীমা এখনই ঘোষণা দিলে ভালো হয়।’
বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ বলেন, ‘রোববারের সভায় আমরা চলমান লিগ নিয়ে যেমন সিদ্ধান্ত দেবো, তেমনি একটা গাইডলাইন থাকবে আগামী মৌসুমের জন্য। খেলার নির্ধারিত দিনক্ষণ ঘোষণা না করলেও, একটা ধারণা দেয়া হবে নতুন মৌসুমের সবকিছু নিয়ে। এ সভায় এবারের মৌসুমের ভাগ্য যেমন নির্ধারণ হবে তেমনি থাকবে নতুন মৌসুমের দিক নির্দেশনাও।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।