নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক প্রধান কোচ নেদারল্যান্ডসের লোডভিক ডি ক্রুইফ। দারুণ মার্জিত এবং চলনে-বলনে স্মার্ট এই ডাচম্যান করোনাভাইরাসের সংক্রামণ রুখতে প্রায় দুইমাস ধরে রয়েছেন হোম কোয়ারেন্টাইনে। কাজ নেই, দীর্ঘ সময় ঘরবন্দী- ফলে বয়স যেন বেশ বেড়ে গেছে ক্রুইফের। সব সময়ের ‘ক্লিনম্যান’ ডি ক্রুইফকে এখন দেখলে তার পরিচিতজনদের অনেকেই শুরুতে কিছুটা হোঁচট খাবেন। তারা ভাববেন এই ক্রুইফ কি সেই ক্রুইফ! হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার ফলে বাইরে বের হওয়ার সুযোগ নেই। তাই মুখভর্তি দাঁড়ি-গোঁফ নিয়ে ঘরেই আছেন এই ডাচম্যান। তাকে দেখলে মনে হবে এ যেন নতুন এক ক্রুইফ। তবে নতুন বা পুরাতন যাই হন না কেনো, ক্রুইফ কিন্তু ভুলেননি বাংলাদেশকে। ভুলেননি বাংলাদেশের ফুটবল ও জনগণকে। তাইতো গতকাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ‘হ্যালো’ বলতেই প্রতিত্তুরে ‘হাই’ বলে ক্রুইফ জানতে চান বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের সর্বশেষ পরিস্থিতি। তারপর জানান নিজ দেশের সর্বশেষ অবস্থা। নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডাম থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার দুরে ইদে শহরে পরিবার নিয়ে হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন জাতীয় দলের সাবেক এই ডাচ কোচ। যিনি ২০১৩ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত তিন বছর বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব পালন করেন।
করোনাভাইরাস থেকে রক্ষার পেতে সচেতন ও শৃঙ্খলাকে বেশি গুরুত্ব দিলেন ক্রুইফ। তিনি বলেন, ‘এই সময়ে মানুষের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো সচেতন থেকে এবং শৃঙ্খলা বজায় রেখে নিজের স্বাস্থ্য ঠিক রাখা। মানুষ বর্তমানে কঠিন সময় পার করছে। এখন হেয়ালিপনা করার কোনো সুযোগ নেই।’ বিশ্বের সব দেশে খেলা বন্ধ, তাই ক্যাম্প বন্ধ। করোনার কারণে মাঠের অনুশীলনেও নেই ফুটবলাররা। তারা এখন যে যার ঘরে বন্দী। বাংলাদেশের অবস্থাও একই। ফেসবুক আলাপ হলেও ৫০ বছর বয়সী লোডভিক ডি ক্রুইফ বাংলাদেশে তার সাবেক শিষ্যদের খোঁজ নিয়ে দিলেন কিছু উপদেশ। তার কথায়,‘ফুটবলাররা যারা এখন বাড়িতে আছে, তাদের ব্যক্তিগত কাজটুকু করে যেতে হবে। বাসায় সময়টা শৃঙ্খলার মধ্যে কাটাতে হবে, ফিটনেস ধরে রাখতে যতটুকু কাজ করার দরকার তা করতে হবে। সবচেয়ে বড় কথা- অবশ্যই ঘরে থাকতে হবে। নিজের এবং অন্যদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য।’ ডি ক্রুইফ বর্তমানে নিজ দেশের একটি ক্লাবের কোচের দায়িত্ব পালন করছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।