২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত মোটা হবেন ৪০০ কোটি মানুষ
২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত ওজন বা মোটা হবেন বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। সংখ্যার বিচারে যা
বর্তমান সময়ে সারা বিশ্বকে একযোগে আতঙ্কিত করে রেখেছে নভেল করোনাভাইরাস।দেশজুড়ে করোনাভাইরাসের আতংকে কাপছে সাধারন মানুষ। বিভিন্ন জরুরী সেবাগুলো হয়ে গেছে সীমিত। এমনকি হাসপাতালগুলোতেও মিলছেনা চিকিৎসাসেবা। অনেক চিকিৎসকই তাদের নির্ধারিত চেম্বারে রোগী দেখতে ঝুঁকিপুর্ন মনে করছেন। আর এতে বিপাকে পড়েছেন সাধারন মানুষ। হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে কিভাবে ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন এই চিন্তায় আছেন অনেকেই।
তাই বাসায় থেকে ডাক্তারের পরামর্শ ও অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করছে ডাক্তারভাই। এখন পর্যন্ত এক লক্ষ বিশ হাজারের বেশি মানুষ স্বাস্থ্যসেবা নিয়েছেন; বিগত এপ্রিল মাসেই প্রায় চৌদ্দ হাজারের বেশি মানুষ স্বাস্থ্যসেবা নিয়েছেন এই ডাক্তারভাই অ্যাপ থেকে।
স্বাস্থ্যতথ্য সংরক্ষণ, ডাক্তারের সঙ্গে অডিও কিংবা ভিডিওর মাধ্যমে পরামর্শ নেয়া, বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ, দেশজুড়ে ৩শ´র বেশি পার্টানার হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত ডিসকাউন্ট এবং ২ হাজার ৫শ´র বেশি ডাক্তারের অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুকিং, এর সাথে বিভিন্ন হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের তথ্য, প্রতিদিন স্বাস্থ্য সংক্রান্ত এলার্ট, এমনকি প্রয়োজনে স্বাস্থ্য ও জীবনবীমার সুবিধা আছে এই ডাক্তারভাই অ্যাপে।
ডাক্তারভাই অ্যাপের মাধ্যমে ফোন কল করে সকাল ৮ টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত বিনামূল্যে ডাক্তারের পরামর্শ পাওয়া যাবে। এছাড়াও বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের সচেতনতামূলক ভিডিও এবং করোনাভাইরাসের ঝুঁকি নির্ণয়ের মত গুরুত্বপূর্ন ফিচার রয়েছে এই অ্যাপটিতে।
এ বিষয়ে ডাক্তারভাইএর কো-ফাউন্ডার রায়হান শামসী বলেন, কোভিড-১৯ মহামারীর কারনে বাংলাদেশে বিভিন্ন হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে দেখা দিয়েছেচিকিৎসাসেবার সংকট। চলমান এই পরিস্থিতিতে করোনাভাইরাস ও স্বাস্থ্য সংক্রান্ত অন্যান্য জরুরী তথ্য ও পরামর্শ সাধারন মানুষের কাছে পৌছে দিচ্ছে ডাক্তারভাই।প্রতিদিন গড়ে চারশো এর বেশি মানুষ টেলিমেডিসিন সেবা নিচ্ছেন এই অ্যাপ থেকে। দূর্যোগের এই দিনে দেশের মানুষের পাশে দাঁড়াতে পেরে আমরা গর্বিত।
বিনামূল্যে এই টেলিমেডিসিন সেবাটি পাওয়ার জন্য প্লে-স্টোর(bit.ly/daktarbhaiapp) অথবা অ্যাপ স্টোর(bit.ly/iOSdaktarbhai) থেকে এই অ্যাপটি ডাউনলোড করতে হবে। এছাড়াও ১৬৬৪৩ তে ফোন করেও ডাক্তারের পরামর্শ ও অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা পাওয়া যাবে।
করোনাভাইরাসের এই ভয়াবহতা কতদিন থাকবে তা এখনো নিশ্চিত নয়। কিন্তু এ ধরনের উদ্যোগ শুধু সংকটকালীন সময়েই নয়, বরং সবসময়ের জন্যই সাধারন মানুষ ব্যবহার করতে পারবেন। সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশের যে লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন, তাতে এই ধরনের উদ্যোগ স্বাস্থ্যসেবায় যুগান্তকারী ভূমিকায় অবতীর্ন হবে, তা নিশ্চিতভাবে বলা যায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।