নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বাংলাদেশ ফুটবলের উজ্জ্বল নক্ষত্র, জাতীয় দল তথা ঢাকা আবাহনীর সাবেক তারকা অধিনায়ক কিংব্যাক খ্যাত মরহুম মোনেম মুন্নার ঐতিহাসিক জার্সি নিলামে উঠছে আজ (শনিবার) রাত সাড়ে ১০টায়। সর্বোচ্চ দাম হাঁকিয়ে যে কেউ কিনে নিতে পারবেন এই জার্সি। নিলামে জার্সি বিক্রির টাকার পুরোটাই খরচ করা হবে অসহায়, দিনমজুর, গরীব-দুঃখী মানুষদের সাহায্যার্থে। যে কারণে মুন্নার স্ত্রী সুরভী মোনেম চাইছেন, যেন জার্সিটি সম্মানজনক মূল্যে বিক্রি হয়। যাতে করে করোনাভাইরাস দুর্যোগে অসহায় হয়ে পড়া মানুষদের বেশি বেশি সাহায্য করতে পারেন তিনি এবং মুন্না স্মৃতি সংসদ।
আন্তর্জাতিক ফুটবলে বাংলাদেশ প্রথম শিরোপা জিতেছিল ১৯৮৯ সালে ঘরের মাঠে। ওই বছর ঢাকার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে দক্ষিণ কোরিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় দলকে টাইব্রেকারে হারিয়ে প্রেসিডেন্ট গোল্ডকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ (লাল দল)। সেই চ্যাম্পিয়ন দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন বাংলাদেশের সাবেক সেরা ফুটবলার মোনেম মুন্না। ওই ম্যাচে খেলা মুন্নার ঐতিহাসিক জার্সিটিই নিলামে তোলা হচ্ছে আজ।
কিংব্যাক খ্যাত মুন্নার গোল্ডকাপজয়ী জার্সিটির ঐতিহাসিক মর্যাদা রয়েছে ফুটবলবোদ্ধাদের কাছে। তাই জার্সির ভিত্তিমূল্য নির্ধারণ হয়েছে ২ লাখ টাকা। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) ও নিলাম পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ‘অকশন ফর অ্যাকশন’ আলোচনা করে জার্সির ভিত্তিমূল্য ২ লাখ টাকা নির্ধারণ করেছে।
মুন্নার স্ত্রী সুরভী মোনেম জানান, নিলামে কত টাকায় বিক্রি হলো জার্সিটি, তা নিয়ে তেমন কিছু ভাবছেন না তিনি। ইনকিলাবকে সুরভী মোনেম বলেন, ‘১০ টাকায় বিক্রি হোক কিংবা ১০ লাখ টাকায়- সেটা আমার কাছে কিছু না। আমি মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে জার্সিটি নিলামে বিক্রির ঘোষণা দিয়েছি। যে পরিমান টাকায় জার্সিটি বিক্রি হবে তা পাবেন করোনাভাইরাস আতঙ্কে ক্ষতিগ্রস্থ অসহায় মানুষরা।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমার মরহুম স্বামী মোনেম মুন্না বাংলাদেশ ফুটবলের অনন্য এক ব্যক্তিত্ব। আমি চাই জার্সির মূল্যটা মুন্নার নামের সঙ্গে মানানসই হোক। একটা সম্মানজনক দামেই কেউ যেন ওটা কিনে নেন। যিনি বেশি দাম বলবেন, তিনিই জার্সিটা পাবেন। তিনি যেই হোক। যত বেশি দামে বিক্রি হবে গরীব মানুষ তত উপকৃত হবে। আমার লক্ষ্য সেটাই।’
সুরভী যোগ করেন, ‘আমি ভেবে রেখেছি, জার্সিটি যত টাকায় বিক্রি হোক তার বড় একটা অংশ ‘মুন্না স্মৃতি সংসদের’ মাধ্যমে গরীব মানুষের মাঝে বিতরণ করবো। এ ছাড়া আমার এবং মুন্নার অনেক পরিচিত মানুষ আছে যারা এখন কষ্টে জীবন ধারন করছেন, তাদেরও আমি সাহায্য করবো। সব কিছুর মালিক আল্লাহ। আমি মহান আল্লাহর উপর ভরসা করে আছি। দেখা যাক কী হয়।’
এস এম আলী আহসান পান্না
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।