Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চাপ বাড়াতে সউদী আরব থেকে সামরিক সরঞ্জাম সরিয়ে নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৮ মে, ২০২০, ১১:৩৫ এএম

তেলের উৎপাদন কমাতে সম্মত না হওয়ায় এবার সৌদি আরবে মোতায়েনকৃত প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাসহ সামরিক সরঞ্জাম সরিয়ে নিতে শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ইরানের সঙ্গে উত্তেজনা বাড়ার পর গত বছরের সেপ্টেম্বরে সৌদির তেল স্থাপনায় এগুলো মোতায়েন করা হয়। বৃহস্পতিবার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল, তেলের উৎপাদন কমাতে সম্মত না হওয়ায় সম্ভবত সরিয়ে নেওয়া এসব সরঞ্জাম নতুন করে মোতায়েনের কাজ শুরু হয়েছে। তবে তা কোথায় করা হবে তা জানানো হয়নি। মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে হত্যা ও করোনাভাইরাসের মহামারির কারণে এই অঞ্চলে ইরানের ক্ষমতা কমে গেছে বলে তাদের বিশ্বাস।

নতুন পারমাণবিক চুক্তিতে বাধ্য করতে ২০১৮ সাল থেকে ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল শুরু করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে তা প্রত্যাখ্যান করে আসছে তেহরান। গত বছর মার্কিন চাপ জোরালো করার মধ্যে সৌদি আরবের তেল স্থাপনায় বেশ কয়েকটি হামলার ঘটনা ঘটে। সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্র এসব হামলার জন্য ইরান ও তাদের সমর্থিত গোষ্ঠীগুলোকে দায়ী করলেও তা প্রত্যাখ্যান করে তেহরান।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা থেকে মাটিতে থাকা সম্পদ রক্ষায় সৌদি তেল স্থাপনায় মোতায়েন করা প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার চারটি ইউনিট সরিয়ে নেওয়া শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এসব ইউনিটের সঙ্গে থাকা মার্কিন সামরিক কর্মকর্তাদেরও সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

ইতোমধ্যে ওই অঞ্চল ছেড়ে গেছে মার্কিন যুদ্ধ বিমানের দুটি স্কোয়াড্রোন। এর পাশাপাশি উপসাগরীয় এলাকায় উপস্থিতি কমানোর চিন্তা করছে মার্কিন নৌবাহিনী। তেহরান এখন আর মার্কিন কৌশলগত স্বার্থে তাৎক্ষনিক হুমকি বলে বিবেচিত হচ্ছে না এমন পর্যালোচনার ভিত্তিতে এগুলো সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন কর্মকর্তারা। পেন্টাগনের পরিকল্পনাকারীরা সরিয়ে নেওয়া এসব সম্পদ এশিয়ায় চীনের সামরিক প্রভাব মোকাবিলাসহ অন্যন্য অগ্রাধিকারে মোতায়েনের চিন্তা করছেন বলে জানা গেছে।

যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের মধ্যে বরাবর উষ্ণ সম্পর্ক থাকলেও তেলের দাম পড়ে যাওয়ায় গত কয়েক সপ্তাহে তা শিথিল হয়ে পড়েছে। বহু মার্কিন তেল কোম্পানি দেওলিয়াত্বের মুখে পড়ায় মার্কিন রাজনীতিবিদরা সৌদি আরব থেকে তেল আমদানি কমাতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর চাপ জোরালো করেছেন।

এদিকে গত সপ্তাহে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, এপ্রিলের শুরুতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে জানিয়ে দেন তেল রফতানিকারক দেশগুলো তেলের উৎপাদন কমাতে সম্মত না হলে তিনি সৌদি আরব থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করা থেকে আইনপ্রণেতাদের নিবৃত্ত রাখতে ব্যর্থ হবেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: যুক্তরাষ্ট্র


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ