Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

৮০০ দিনে ক্ষতি ৪ হাজার কোটি!

বিশাল গচ্চার শঙ্কায় উদ্বিগ্ন ইসিবি

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৭ মে, ২০২০, ১২:০৩ এএম

অনেক দিন হয়ে গেল ক্রিকেট মাঠে নেই, কবে খেলা শুরু হবে তার নেই নিশ্চয়তা। এরই মধ্যে দুই দফায় স্থগিত করা হয়েছে ইংল্যান্ডের সব ধরনের ক্রিকেট। নষ্ট হয়েছে ইংলিশ ঘরোয়া মৌসুমের অনেক সময়। এখন পুরো গ্রীষ্ম মৌসুমই ভেস্তে যাওয়ার পথে। এমনকি এই বছরেই আর ক্রিকেট চালু করা যায় কিনা তা নিয়েও আছে শঙ্কা। এসব মিলিয়ে মোটা অঙ্কের আর্থিক ক্ষতির শঙ্কায় আছে ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)।
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে সংকটময় সময়ে আর্থিক অবস্থা খতিয়ে দেখতে সরকারের পক্ষ থেকে একটি কমিটি করা হয়েছিল। সেখানে ইসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) টম হ্যারিসন জানান, ৮০০ দিনের ক্রিকেট ভেস্তে যাওয়ার শঙ্কা আছে তাদের। কোভিড-১৯ রোগের সংক্রমণ ঠেকাতে শুরুতে চলতি মাসের ২৯ তারিখ পর্যন্ত ইংল্যান্ডে পেশাদার ক্রিকেট স্থগিত করা হয়েছিল। পরিস্থিতি উন্নতির বদলে অবনতি হওয়া সেই সীমা বেড়েছে ১ জুলাই পর্যন্ত।
এই বছর চালু হওয়ার কথা ছিল দর্শক আগ্রহের ‘দ্য হ্যানড্রেড’ টুর্নামেন্ট। নতুন আঙ্গিকের এই আসর থেকে মোটা অঙ্কের টাকা আয়ের চিন্তা ছিল ইসিবির। যা পিছিয়ে গেছে এক বছর। স্থগিত হয়েছে ঘরের মাঠের আন্তর্জাতিক একাধিক সিরিজ। যার মধ্যে আছে ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজও। পাশাপাশি অনিশ্চয়তায় সুতোয় ঝুলছে আয়ারল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সীমিত ওভারের সিরিজের ভাগ্যও। সব মিলিয়ে অবস্থা জেরবার। হ্যারিসন জানান সর্বোচ্চ কি পরিমাণ ক্ষতি হতে পারে তার একটা সম্ভাব্য হিসাব কষে রেখেছেন তারা, ‘আমাদের ধারণা, এই বছর ঘরের মাঠে আর কোন ক্রিকেট না হলে সর্বোচ্চ ৩৮ কোটি পাউন্ড ক্ষতি হতে পারে (বাংলাদেশি মুদ্রা প্রায় ৪০০ কোটি টাকা)।’ তবে কিছু সিরিজ দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে হলেও আয়োজন করতে চায় ইসিবি। জুলাইয়ের শেষ দিকে ঘরের মাঠে পাকিস্তান সিরিজের পর ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে পিছিয়ে যাওয়া সিরিজ নতুন সূচিতে আয়োজন করার পরিকল্পনা করছে তারা, ‘পরিস্থিতি সঙ্গে তাল মিলালে, আশা করছি এই গ্রীষ্মে আমরা কিছু টেস্ট ম্যাচ খেলতে পারব। যা এই মুহূর্তে আমরা যে আর্থিক ক্ষতির মুখে আছি সেটা কিছুটা হলেও কমাতে সাহায্য করবে।’
করোনাভাইরাসে যুক্তরাজ্যে প্রায় ২ লাখ মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে আছে যুক্তরাজ্য। এখন পর্যন্ত দেশটিতে ২৯ হাজার ৪২৭ জন মারা গেছেন। যা যুক্তরাষ্ট্রের পরই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইসিবি

১৪ অক্টোবর, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ