মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
লকডাউন শিথিল হতেই লম্বা লাইন দেখা গেছে ভারতের মদের দোকানগুলোতে। লাইন এত দীর্ঘ যে মানুষকে সামলাতে হিমসিম খেয়েছে খোদ পুলিশ। এমনকি লাঠিচার্জও করতে হয়েছে।
করোনাভাইরাসের কারণে ৪০ দিন ধরে আরোপ থাকা লকডাউন সম্প্রতি প্রথমবারের মতো শিথিল করেছে ভারতীয় সরকার। আর তাতেই মদের দোকানে ভিড় জমে গেছে তৃষ্ণার্থ অনেক ভারতীয়র। এ খবর দিয়েছে আল জাজিরা।
খবরে বলা হয়, ভারতে করোনাভাইরাসের কারণে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম। দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৪২৫০০ জন, মারা গেছেন ১৪০০। এজন্য মার্চের শেষ দিকে আরোপ করা কড়া লকডাউনকেই কৃতিত্ব দিচ্ছেন অনেকে।
তবে এই লকডাউনের কারণে এশিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে ব্যপক ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে। অনানুষ্ঠানিক খাতে কাজ করা ভারতের কোটি কোটি মানুষ চাকরিহারা হয়ে গেছে।
গত মাসে কিছু শিল্প কারখানা ও কৃষিখাতের জন্য লকডাউন শিথিল করে সরকার। এরই সঙ্গে সোমব্র কিছু অফিস আদালত খুলে দেওয়া হয়। শর্ত হলো, এক-তৃতীয়াংশ কর্মী কাজ করবেন, বাকিরা বাসায় থাকবেন। কিছু কার ও মোটরবাইকও রাস্তায় দেখা গেছে। কিছু দোকানও খুলেছে।
এর মধ্যে মদের দোকানও রয়েছে। এসব দোকানের সামনে দাঁড়াতে হলে পরস্পরের মধ্যে কিছু দূরত্ব বজায় রাখতে বলা হয়েছে। সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে দোকানের সামনে কিছুটা ব্যবধানে বৃত্তও এঁকে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ভোর থেকেই মানুষ ভিড় জমাতে থাকে। কেউই সামাজিক দূরত্ব রক্ষার ধার ধারেনি।
অসিত ব্যানার্জি (৫৫) নামে এক ব্যক্তি কলকাতার একটি দোকানের সারিতে দাঁড়িয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘প্রায় এক মাস হয়ে গেলো নির্জনভাবে থাকতে হয়েছে। এই মহামারিতে সামাজিক দূরত্ব রক্ষায় মদ আমাদের শক্তি যোগাবে।” কলকাতার মতো নয়া দিল্লি সহ অনেক জায়গাতেই মদের দোকানে এত ভিড় ছিল যে পুলিশ ব্যাটন ব্যবহার করেছে।
উত্তর প্রদেশ অঙ্গরাজ্যের গাজিয়াবাদে দোকান খুলতেই মাস্ক পরিহিতি বহু মানুষ জড়ো হয়। ফলে অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিশ মদের দোকান বন্ধ করে দেয়। স্থানীয় এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, “একটি দোকান সকালে খুলেছিল। কিন্তু এত মানুষ জড়ো হয়েছিল যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়।”
কিন্তু দোকান বন্ধ হলেও আশেপাশের রাস্তা ও লেনের মধ্যে শত শত মানুষ আনাগোনা করছে এই আশায় যে দোকান হয়তো আবার খুলবে। নয়াদিল্লির এমনই এক দোকানের সামনে ধৈর্য্য সহকারে অপেক্ষা করছিলেন দীপক কুমার (৩০) নামে এক ক্রেতা। তিনি বলেন, “এমন নয় যে বাসায় আমার অনেক কাজ পড়ে আছে।”
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।