মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইরাকের উত্তরাঞ্চলীয় সালাউদ্দিন প্রদেশের দক্ষিণ তিকরিত ও উত্তর সামেরায় উগ্র দায়েশ বা আইএস সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর হামলায় পপুলার মোবিলাইজেশন ইউনিট বা হাশদ আশ-শাবির অন্তত ১০ যোদ্ধা নিহত এবং চার জন আহত হয়েছে। গত ২ মে ওই হামলার ঘটনা ঘটে। এরপর গতকাল দিয়ালা প্রদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে পুলিশের চেক পোস্টে ফের আইএস সন্ত্রাসীদের হামলায় ১৩ জন হতাহত হয়েছে।
ইরাকে আইএস সন্ত্রাসীরা পরাজিত হওয়ার পর তারা কিভাবে আবারো শক্তি সঞ্চয় করে হামলা চালানোর সাহস পাচ্ছে এবং তাদেরকে কারা ইন্ধন যোগাচ্ছে সেটাই এখন বড় প্রশ্ন। এ প্রশ্নের জবাবে বলা যায় প্রথমত, দিয়ালা ও সালাউদ্দিন প্রদেশের সীমান্ত এলাকায় পরিত্যক্ত গ্রামগুলোতে দায়েশ বা আইএস সন্ত্রাসীরা নতুন করে সংগঠিত হচ্ছে। ওই এলাকাটিকে বেছে নেয়ার কারণ হচ্ছে একদিকে সেখানে কোনো জনবসতি নেই এবং অন্যদিকে ইরাকের নিরাপত্তা বাহিনীর নজর সেখানে খুব একটা পড়ে না। গ্রামগুলো পরিত্যক্ত হওয়ার কারণে সেখান থেকে আইএস সন্ত্রাসীরা অবাধে নানান অভিযান পরিচালনা ও পরিকল্পনা করার সুযোগ পাচ্ছে। হাশদ আশ শাবি জোটের অন্যতম শরীক উপজাতি একজন কমান্ডার বলেছেন, উদ্ধার হওয়া দিয়ালা প্রদেশের মানবশূন্য গ্রামগুলো এখন ফের আইএস সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে।
আইএস সন্ত্রাসীরা ফের সক্রিয় হয়ে ওঠার দ্বিতীয় কারণ হচ্ছে, ইরাক থেকে মার্কিন সেনাবাহিনী চলে যাওয়ার জন্য সেদেশের জনগণের পক্ষ থেকে যখন জোর দাবি উঠেছে ঠিক তখন আইএস বা দায়েশ সন্ত্রাসীরা নতুন করে হুমকি হয়ে উঠেছে। এর আগে গত ৫ জানুয়ারি মার্কিন হামলায় ইরানের জেনারেল কাসেম সোলাইমানি শহীদ হওয়ার দুদিন পর ইরাকের সংসদ সেদেশ থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের জন্য একটি প্রস্তাব পাশ করেছিল। অন্যদিকে ইরাকের জনগণ ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনও গত ক´মাস ধরে সেদেশ থেকে মার্কিন সেনা বহিষ্কারের দাবি জানিয়ে আসছে।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ইরাকের ধর্মীয় নেতারা ও বেশিরভাগ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা মনে করেন, আমেরিকার সঙ্গে সমন্বয় করেই আইএস সন্ত্রাসীরা ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে এবং সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে তারা ইরাকিদেরকে এ বার্তা দিতে চায় যে মার্কিন সেনারা ওই দেশ থেকে বেরিয়ে গেলেও আইএস এখনো সক্রিয় রয়েছে। প্রকৃতপক্ষে, আমেরিকা আইএস সন্ত্রাসীদেরকে সমর্থন দেয়ার মাধ্যমে ইরাকে তাদের সামরিক উপস্থিতি বজায় রাখার চেষ্টা করছে।
ইরাকের বাদর সংস্থার একজন বড় কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহদি আল বায়াতি বলেছেন, সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলার পেছনে আমেরিকা ও সৌদি আরবের সমর্থন রয়েছে। কারণ ওই দুটি দেশ আবারো ইরাকে আইএস সন্ত্রাসীদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে। ইরাকের নুজাবা আন্দোলনের মুখপাত্র নাসর আল শামরি বলেছেন, ইরাক থেকে যখনই মার্কিন সেনা বহিষ্কারের দাবি জোরদার হয় তখনই আইএস বা দায়েশ সন্ত্রাসীদেরকে সক্রিয় করে তোলা হয়।
আইএস সন্ত্রাসীরা ফের সক্রিয় হয়ে ওঠার তৃতীয় কারণ হচ্ছে, ইরাকের দুর্বল রাজনৈতিক অবস্থান। গত বছর ডিসেম্বর থেকে ইরাকে এখনো মন্ত্রীসভা গঠিত হয়নি এবং সেখানে রাজনৈতিক অচলাবস্থা চলছে।
সূত্র: পার্সটুডে
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।