যেভাবে মাছ ভাজলে ভেঙে যাবে না
বাঙালির প্রতিদিনের খাবারে মাছ তো থাকেই। এটি সব খাবারের মধ্যে পুষ্টির অন্যতম উৎস। তাড়াহুড়ো করে
অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের মৃত্যুহার অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছে। খাদ্যাভাস থেকে ফেলা দেয়া হোক ‘আলট্রা প্রোসেসড ফুড’। এমন পরামর্শ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় স্বাস্থ্য অধিদফতরের সঙ্গে যুক্ত প্রথম সারির চিকিৎসক ভারতীয় অসীম মালহোত্রা।
প্রাণঘাতী করোনা থেকে থেকে বাঁচতে তিনি খাদ্যাভ্যাসের উপর নজর দেয়ার পরামর্শ দেন। তার মতে, অতিরিক্ত ওজন ও ওবেসিটি শরীরের রোগ প্রতিরোধক মাত্রা কমিয়ে করোনা বৃদ্ধির প্রবণতাকে তরান্বিত করছে। অস্বাস্থ্যকর জীবনশৈলীর ভিত্তিতে তৈরি রোগভোগের সংখ্যা এমনিতেই কম নয়। এই জীবনশৈলী ডেকে আনছে টাইপ-২ ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদয়ঘটিত রোগ।
এই তিন রোগই, যার পিছনে অন্যতম কারণ অতিরিক্ত মেদ ও ওজন। মৃত্যুর হার বাড়ার পিছনে অন্যতম কারণ বলে জানিয়েছেন তিনি। আমেরিকা ও ইউরোপে যারা করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছেন, দেখা গেছে তাদের ৬০ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্কই অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস ও জীবনশৈলীর দরুণ উল্লেখিত রোগগুলোর শিকার ছিলেন।
আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান পত্রিকা ‘নেচার’-এ প্রকাশিত এক রিপোর্ট জানা যাচ্ছে, টাইপ-২ ডায়াবেটিস ও মেটাবলিক সিনড্রমে আক্রান্তদের করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর আশঙ্কা সুস্থ মানুষের তুলনায় ১০ গুণ বেশি। ডা. মালহোত্রা জানাচ্ছেন, এই রোগগুলোর জন্য ব্যবহৃত ওষুধের রোগ প্রতিরোধক বা মৃত্যুহার কমানোর ক্ষমতা সামান্যই।
অর্থাৎ, এগুলো কোনও স্থায়ী সমাধান নয়। সুস্থ খাদ্যাভ্যাস ও জীবনপদ্ধতিই রোগের আসল দাওয়াই। তাই আলট্রা প্রোসেসড প্যাকেটেড খাদ্য পরিহার করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। কারণ এতে অধিক পরিমাণে শর্করা, স্টার্চ, অস্বাস্থ্যকর তেল থাকে। সে সঙ্গে অ্যাডিটিভিস ও প্রিজার্ভেটিভস। যা অবশ্য বর্জনীয়। পরিবর্তে যথেষ্ট শাকসবজি, ফলমূল, ডিম, মাছ, গোশত, এমনকী প্রয়োজনে রেড মিটও খাওয়া উচিত। সূত্র : ইস্টার্ন আই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।