Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

বিশাল ভিমরুলের দেখা পাওয়ায় শঙ্কিত যুক্তরাষ্ট্র

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩ মে, ২০২০, ৬:৫৮ পিএম

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডায় প্রথমবারের মতো এশিয়ান জায়ান্ট হরনেটস (ভিমরুল) এর দেখা পাওয়া গিয়েছে। এর ফলে দেশটির বিজ্ঞানিদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এই ভিমরুল পূর্ব এশিয়ার নাতিশীতোষ্ণ এবং গ্রীষ্মমন্ডলীয় জলবায়ুতে বাস করে, যেখানে এগুলোর আক্রমণে প্রতি বছর প্রায় ৫০ জনের মৃত্যু হয়।

গত বছরের নভেম্বর থেকে উত্তর আমেরিকার পশ্চিম উপকূলে বেশ কয়েকবার এই ভিমরুলের দেখা পাওয়া গেছে। তবে সেখানে এগুলো কীভাবে গিয়েছে তা স্পষ্ট নয়। এশিয়ান জায়ান্ট হরনেটগুলো মৌমাছির তুলনায় আকারে দ্বিগুণ। দুই ডানাসহ প্রস্থ তিন ইঞ্চিরও বেশি। এর আরেক নাম ‘মার্ডার হরনেটস’ বা, খুনে ভিমরুল। এই প্রজাতির ভিমরুলই সবচেয়ে বড় হয়। এই পতঙ্গগুলোর কামড়ে নিউরোটক্সিন নামের বিষেষ এক ধরণের বিষ নির্গত হয়, যার ফলে অ্যানাফিল্যাকটিক শক, এমনকি হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

এ বিষয়ে কনরাড বারুবি নামের একজন মৌমাছি পালক নিউইয়র্ক টাইমসকে জানান, তিনি সম্প্রতি ভ্যাঙ্কুভার দ্বীপে ‘মার্ডার হরনেটস’ এর একটি ঝাঁকের আক্রমণের শিকার হয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমার মাংসের ভেতর যেন কেউ আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল।’ তিনি জানান, এর ফলে তার প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছিল। তিনি মোট সাতবার কামড় খেয়েছিলেন। তার সৌভাগ্য যে তিনি এখনও বেঁচে আছেন।

ভিমরুলগুলো মানুষের জন্য মারাত্মক হতে পারে, তবে কীটতত্ত্ববিদরা আরও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে এগুরো উত্তর আমেরিকাতে মৌমাছিগুলোকে মেরে ফেলতে পারে। এগুলো খুবই হিংস্র এবং মাত্র কয়েক ঘন্টার মধ্যে পুরো মৌমাছির ঝাঁক মেরে ফেলতে পারে।

গত বছরের নভেম্বরে, ওয়াশিংটনের এক মৌমাছি পালক দেখতে পান তার হাজার হাজার মৌমাছিকে মাথা ছিঁড়ে মেরে ফেলা হয়েছে।

এশিয়ান জায়ান্ট হরনেটস বছরের বেশিরভাগ সময় মাটিতেই বাসা বেঁধে থাকে তবে জুলাই থেকে নভেম্বর মাসের মধ্যে এগুলো খুব সক্রিয় থাকে। বর্তমানে উত্তর আমেরিকাতে ভীমরুলগুলো বংশবৃদ্ধি এবং ব্যাপকভাবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আগেই সেখানকার কীটতত্ত্ববিদরা এগুলো ধ্বংস করার জন্য অনুসন্ধান শুরু করছেন। এ বিষয়ে ওয়াশিংটনের রাজ্য বিভাগের কৃষি বিভাগের কীট বিশেষজ্ঞ ক্রিস লুনি টাইমসকে বলেন, ‘এখনই আমাদের সুযোগ, আমরা যদি দু’ এক বছরের মধ্যে এগুলো ধ্বংস করতে না পারি তবে পরে সম্ভবত আর করা যাবে না।’ তবে কাজটি মোটেও সহজ হবে না বলে তিনি জানান। কারণ, এই ভীমরুলগুলো ঘন্টায় ২০ মাইলেরও বেশি উড়তে পারে। সূত্র: ডেইলি মেইল।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: যুক্তরাষ্ট্র


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ