যেভাবে মাছ ভাজলে ভেঙে যাবে না
বাঙালির প্রতিদিনের খাবারে মাছ তো থাকেই। এটি সব খাবারের মধ্যে পুষ্টির অন্যতম উৎস। তাড়াহুড়ো করে
প্রত্যেকের চিন্তার একটাই বিষয় করোনাভাইরাস। এই ভাইরাস সংক্রমণের কারণ এবং উপসর্গ ঠিক কী তা নিয়ে হাজারও প্রশ্ন। অনেকেরই মনে প্রশ্ন জাগছে আইসক্রিম কিংবা ঠান্ডা কোনও খাবার খেলে কি সহজেই শরীরে বাসা বাঁধতে পারে মারণ ভাইরাস? তা নিয়ে তর্ক বিতর্কেও শেষ নেই। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) গত বৃহস্পতিবার এসব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে তৈরি করা আইসক্রিম থেকে করোনা সংক্রমণের আদৌ কোনও সত্যতা নেই। আইসক্রিম খেলে করোনা হতে পারে বৈজ্ঞানিকভাবে তার কোনও প্রমাণ এখনও পাওয়া যায়নি। তাই নিশ্চিতভাবে এ বিষয়ে কিছুই বলা যাবে না।
হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন থেকে করোনা রোগী সুস্থ হয়ে যেতে পারেন, এসব গুজব রটেছে। শুধু তাই নয় বহু মানুষ হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন কেনার জন্য ওষুধের দোকানে ভিড়ও জমিয়েছেন। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দাবি, হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন যে রোগ সারাতে পারে এখনও তার বৈজ্ঞানিক প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
গোলমরিচ দিয়ে খাবার খেলে করোনা সংক্রমণ রোধ করা যেতে পারে, একথা কোনও বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দাবি, পতঙ্গের মাধ্যমে কোনওভাবে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে না।
ফাইভ জি মোবাইল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে করোনাভাইরাস সংক্রমণ হতে পারে এমনও গুজবও নাকি রটেছে। যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সেই রটনা খারিজ করে দিয়েছে।
বেশি আর্দ্রতা থাকা জায়গায় করোনাভাইরাস সংক্রমণের সম্ভাবনা বেশি, এমন কোনও প্রমাণ নেই। নিউমোনিয়ার ভ্যাকসিনের মাধ্যমে করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধ করা যায় না। মদ্যপান করলে করোনা সংক্রমণ রোখা যায়, তারও কোনও বৈজ্ঞানিক সত্যতা নেই।
ঠান্ডায় করোনাভাইরাস মরে যায় এই পরিচিত ধারণাও সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। গরম পানিতে গোসল করলে করোনাভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কা এড়ানো যায়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই পরিচিত ধারণা খারিজ করেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।