প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
বুধবার ইরফান খানের প্রয়াণের পর বৃহস্পতিবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন প্রখ্যাত অভিনেতা ঋষি কাপুর। তার মৃত্যুর খবর ট্যুইট করে জানান প্রিয় বন্ধু ও সহকর্মী অমিতাভ বচ্চন।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরেই ক্যানসারে ভুগছিলেন ঋষি। বিদেশে এক টানা চিকিৎসার পর গত বছর দেশে ফেরেন তিনি। কিন্তু মাঝেমধ্যেই সংক্রমণ বা শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। সংবাদসংস্থার খবর, বুধবার সকালে শ্বাসকষ্ট বাড়ায় এইচ এন এন রিলায়েন্স হাসপাতালে ফের ভর্তি করা হয় তাকে। সেখানেই বৃহস্পতিবার সকালে মৃত্যু হয় কিংবদন্তী অভিনেতা ঋষি কাপুরের।
তার পরিবারের তরফে মৃত্যুর খবর জানিয়ে বলা হয়েছে, ‘আমাদের প্রিয় ঋষি কাপুর সকাল ৮.৪৫-এ শান্তিতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। টানা দু’বছর লিউকেমিয়ার সঙ্গে অবিরাম লড়াই চালিয়ে গেছেন তিনি। হাসপাতালের ডাক্তার এবং স্বাস্থ্য কর্মীরা জানিয়েছেন শেষ মুহ‚র্ত পর্যন্ত ওদের মাতিয়ে রেখেছিলেন ঋষি।’
রাজ কাপুর ঘরানার উজ্জ্বল উত্তরসূরী ঋষি কাপুরের ‘মেরা নাম জোকার’ ছবিতে প্রথম আত্মপ্রকাশ করেন। ১৯৭০ সাল। নিতান্তই শিশু তিনি তখন। কিন্তু প্রথম আত্মপ্রকাশেই জাতীয় পুরস্কার তার অভিনয় জীবনের পথ তৈরিতে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিল। ১৯৭৩ এ একেবারেই ভিন্ন ধারায় তার আবির্ভাব, ‘ববি’। ঝড় তুলে দিয়েছিলেন ঋষি। রোম্যান্টিক নায়ক হিসেবে যৌবন তাকে স্বীকৃতি দিয়েছে আজীবন।
তার শেষ ছবি হয়ে রইল ‘১০২ নটআউট’। সেই ছবিতে সহ অভিনেতা ছিলেন অমিতাভ বচ্চন। যিনি ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে বলেছেন, ‘আই অ্যাম ডেসট্রয়েড।’ ঋষি কাপুরের চলে যাওয়া তাকে এতটাই বিষণœ করে তুলেছে। ঋষি কাপুরের আত্মজীবনী ‘খুল্লাম খুল্লা: ঋষি কাপুর আনসেন্সরড’ বিশ্ব চলচ্চিত্রে এক ঐতিহাসিক দলিল হয়ে থেকে গেছে। অভিনেতা সম্প্রতি জানিয়েছিলেন, তিনি একটি হলিউড ছবি ‘ইনটার্ন’-এর রিমেকের কথা ভাবছেন। যেখানে তিনি দীপিকা পাড়ুকোনের সঙ্গে কাজ করতে চেয়েছিলেন। তার এই স্বপ্ন অধরাই থেকে গেল।
ঋষি রেখে গেলেন প্রায় শতাধিক ছবি। যাক মধ্যে উল্লেখযোগ্য, ‘ববি’, ‘অমর আকবর অ্যান্টনি’, ‘লায়লা মজনু’, ‘রফু চক্কর’, ‘সরগম’, ‘কর্জ’, ‘বোল রাধা বোল’ ইত্যাদি। জীবনের শেষে এসে কাজ করেছেন ইমরান হাসমির ‘দ্য বডি’ ছবিতে। শুধু জীবনের ক্ষেত্রেই নয়, নীতুর সঙ্গে সেলুলয়েডে ১২টি ছবিতে জুটি বেঁধে কাজ করেছেন চিন্টু কাপুর।
বুধবারই চলে গেলেন ইরফান খান। তার মৃত্যু কোথাও যেন এক জায়গায় নিয়ে এল সাধারণ মানুষ, রাজনীতিবিদ ও চলচ্চিত্র তারকাদের। যারা ইরফানের সঙ্গে কাজ করেছেন, যারা তাকে দেখেছেন, যারা তাকে কোনওদিন দেখেনি সবার মৃত্যুশোক এক। আজ সেই রাস্তায় ঋষি কাপুর।
এই সাম্রাজ্যের কোথাও যেন ইরফানের সঙ্গেও জুড়ে গেলেন তিনি। ডি-ডে ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেছিলেন তারা। ঋষিকে ঘিরেও অনেকখানি তৈরি হয়েছে মুম্বই চলচ্চিত্র জগতের ইতিহাস। তিনি রাজ কাপুরের ছেলে। পৃথ্বীরাজ কাপুরের নাতি। রণবীর কাপুরের বাবা। করিশ্মা-করিনার চাচা। নীতু কাপুরের স্বামী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।