২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত মোটা হবেন ৪০০ কোটি মানুষ
২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত ওজন বা মোটা হবেন বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। সংখ্যার বিচারে যা
এ সময়ে বিশ্বজুড়ে আতংক ছড়াচ্ছে করোনা ভাইরাস। কিন্ত জেনে অবাক হবেন যে শিশুদের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা খুবই কম। আর তাই এর কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন বিশেষজ্ঞ ও চিকিৎসা বিজ্ঞানিরা।
চীনে গত ৫ই ফেব্রুয়ারি ২০২০ইং জন্মের মাত্র ৩০ ঘণ্টা পর এক নবজাতকের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নেয়ার খবর মুহূর্তেই সারা বিশ্বে ভাইরাল বা ছড়িয়ে পড়ে। করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর যেটি সবচেয়ে কম বয়সে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ছিল। সর্বশেষ ইতালি, স্পেন, আমেরিকা, ফ্রান্স, চীন সহ সারা বিশ্বে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা লাখের কাছাকাছি । সারা বিশ্বে লক্ষ লক্ষ মানুষ আক্রান্ত হয়ে পড়েছে। সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়ার কারনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইতোমধ্যে এ নিয়ে বিশেষ সতর্কতা জারি করেছে। শিশুদের মধ্যে করোনা ভাইরাস আক্রান্তের হার নিয়ে প্রাদুর্ভাব সংক্রান্ত গবেষণা যেটি আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়শেনের জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে, সেখানে প্রাদুর্ভাবের কেন্দ্রস্থল উহানের জিনইনতান হাসপাতালের রোগীদের বিষয়ে বিশ্লেষণ তুলে ধরা হয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে যে, ভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে অর্ধেকেরই বয়স ৪০ থেকে ৫৯ বছরের মধ্যে। মাত্র ১০ শতাংশ রোগী ৩৯ বছরের কম বয়সী।
শিশুদের মধ্যে সংক্রমণের ঘটনা বিরলূগ্ধ এনিয়ে অনেক তত্ত্ব রয়েছে। কিন্তু শিশুরা কেন আক্রান্ত হচ্ছে না বা কম আক্রান্ত হচ্ছে এ বিষয়ে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের কাছে কোন সুনির্দিষ্ট জবাব নেই এমনটিও গবেষকরা বলছেন । সম্প্রতি ইউনিভার্সিটি অব রিডিংয়ের ভাইরাস সম্পর্কিত বিজ্ঞান বা ভাইরোলজির অধ্যাপক ইয়ান জোনস সংস্থা বিবিসিকে এ বিষয়ে বলেন-এর কারণ আসলে পুরোপুরি স্পষ্ট নয়, হয় শিশুরা সংক্রমণ থেকে দুরে থাকছে, নয়তো তারা মারাত্মক সংক্রমণের শিকার হচ্ছে না। এর অর্থ হচ্ছে শিশুরা রোগটিতে খুব মৃদুভাবে আক্রান্ত হচ্ছে, যার কারণে তাদের মধ্যে উপসর্গ দেখা যাচ্ছে না। আর এ কারণেই তারা চিকিৎসকের কাছে যায় না এবং তাদের হাসপাতালে ভর্তি করারও দরকার হয়না। আবার এ বিষয়ে সহমত জানিয়েছেন ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের ক্লিনিক্যাল প্রভাষক নাথালি ম্যাকডারমট বলেন, পাঁচ বছরের বেশি বয়সী এবং কিশোরদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভাইরাস মোকাবেলায় বিশেষ ভাবে কাজ করে। তিনি আরও বলেন, তারা হয়তো আক্রান্ত কিন্তু তাদের সংক্রমণটা বেশ মৃদু বা তাদের মধ্যে সংক্রমণের কোন উপসর্গ থাকে না।
শিশুদের মধ্যে সংক্রমণের এই নিম্নহার এর আগেও দেখা গেছে। সম্প্রতি ২০০৩ সালে চীনে সার্স ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের সময় প্রায় ৮০০ মানুষ মারা গেলেও তখনও শিশুদের সংক্রমণের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে কম ছিল। ২০০৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি স্বাস্থ্য সংস্থা সেন্টার ফর ডিজিস কন্ট্রোল (সিডিসি) এর বিশেষজ্ঞরা ১৩৫ জন শিশু আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা খুঁজে পান। কিন্তু তখন শিশু ও কিশোরদের মধ্যে একজনও মারা যায়নি বলে জানান তারা। সুতরাং করোনা ভাইরাস নিয়ে মায়েদের বড় আতংকের কিছু নেই তবে সচেতনতা খুব জরুরী ।
অধ্যাপক (ডাঃ) মনজুর হোসেন
শিশুরোগ ও শিশু হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ
সাবেক পরিচালক, শিশু হাসপাতাল
ডাঃ মনজুর’স চাইল্ড’স কেয়ার সেন্টার
৮৪/১ (৩য়তলা), রোড ৭/এ, সাতমসজিদ রোড, ধানমন্ডি, ঢাকা- ১২০৯ ।
মোবাইল-০১৭১১৪২৯৩৭৩
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।