মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
যুক্তরাষ্ট্রের করোনা পরিস্থিতি, অর্থনৈতিক মন্দা এবং নভেম্বরের সাধারণ নির্বাচন নিয়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভাবনা, তার হোয়াইট হাউস যাপন নিয়ে সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে নিউ নিয়র্ক টাইম্স। প্রকাশিত প্রতিবেদনে হোয়াইট হাউসের বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদনটি ৪ পর্বে তুলে ধরা হ’বে। আজ এটির ১ম পর্ব পরিবেশন করা হ’লঃ
তার প্রশাসন যখন অর্থনীতি পুনরায় চালু করা এবং করোনাভাইরাস সঙ্কটের জবাবদিহিতা নিয়ে খাবি খাচ্ছে, তখন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার পুনর্র্নির্বাচন এবং নিউজ মিডিয়া কীভাবে তাকে চিত্রিত করছে, সে বিষয়ে হয়রান। আজকাল প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সকালে ম্যারাথন টেলিভিশন দেখার পর সাধারণত খাট্টা মেজাজে থাকেন এবং বিলম্বে দুপুরের দিকে ওভাল অফিসে উপস্থিত হন। ভোর ৫টা নাগাদ তিনি হোয়াইট হাউসের মাস্টার বেডরুমে ঘুম থেকে ওঠেন।
প্রথমে ফক্স নিউজ, এরপর সিএনএন দেখেন। তারপর রেগে গিয়ে এমএসএনবিসি’র কিছু খবর দেখেন। তিনি ব্যাকগ্রাউন্ডে টিভি চালিয়ে রেখে ফোনালাপ করেন। হোয়াইট হাউসে আসার প্রথম দিন থেকেই এটা তার নিয়মিত কাজ।
তবে এখন কিছু পরিবর্তন এসেছে। প্রেসিডেন্ট যে টিভি চ্যানেলই ক্লিক করেন না কেন, তিনি খুব মিত্রই দেখতে পান। এমনকি ফক্স, তার পুরনো সুরক্ষাচাদর, তিনি নিজেকে যেভাবে দেখাতে চান, তারা সেভাবে তাকে চিত্রিত না করায় তিনি নাখোশ। এবং তিনি নিউ ইয়র্ক থেকে গভর্নর অ্যান্ড্রু এম. কুওমোর বক্তৃতা দেখা জন্য সময় বের করেন। তার একটি বিক্ষিপ্ত প্রশংসা বা সমালোচনও নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করেন।
হোয়াইট হাউসে আবদ্ধ প্রেসিডেন্ট তার সমর্থক, দর্শনার্থী, ভ্রমণ এবং গল্ফ, যা একসময় তাকে বিনোদন দিত সেসব থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছেন। ট্রাম্পের ১ ডজনেরও বেশি প্রশাসনিক কর্মকর্তা এবং ঘনিষ্ঠ পরামর্শদাতারা তার এই অদ্ভুত নতুন জীবনের কথা বলেছেন।
কোভিড-১৯’র জন্য ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের মতো তাকেও সাপ্তাহিকভাবে পরীক্ষা করা হয়।
ট্রাম্পের পুনর্র্নির্বাচনের মূল হাতিয়ার অর্থনীতি সঙ্কুচিত হয়ে পড়েছে। ডেমোক্র্যাটরা মহামারীতে ট্রাম্পের সহানুভূতি, সততা এবং যোগ্যতার অভাবের জন্য নিন্দা করছে। করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে তার বিরুদ্ধে ভীষণ নেতিবাচক সংবাদ প্রচারিত হচ্ছে। এমনকি রিপাবলিকানরাও ট্রাম্পের ব্রিফিংগুলোকে হতাশাজনক হিসাবে মন্তব্য করেছে এবং সমালোচকদের সাথে তার রুঢ় আচরণকে অকাজের বলে সমালোচনা করেছে।
ট্রাম্পের নিজস্ব অভ্যন্তরীণ ভোটে কিছু স্পর্শকাতর রাজ্যে তার পয়েন্ট কমে যেতে দেখা গেছে। এর একটি বড় কারণ, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বাইরের লোকদের গ্রিন কার্ড প্রদান বন্ধ করতে অস্থায়ীভাবে স্থগিতাদেশ ঘোষণা করেছেন। ব্যবসায়িক গোষ্ঠীগুলোর মতানৈক্য সত্তে¡ও ট্রাম্পের রাজনৈতিক ঘাঁটি রিপাবলিকানদের সন্তুষ্ট করার লক্ষ্যে দেয়া কার্যনির্বাহী আদেশটি তার নির্বাচনী তরী ডোবাতে শুরু করেছে। তার ঘনিষ্ঠরা বলেছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে মনে করায় ট্রাম্প সে ধরনের পদক্ষেপ নেন। যে বন্ধুরা তার সাথে কথা বলেছেন, তারা জানিয়েছেন যে, তাকে অস্থির মনে হয়েছে এবং তিনি নির্বাচনে হারার আশঙ্কায় উদ্বিগ্ন।
তবে পরামর্শদাতারা বলেছেন, সংবাদমাধ্যমে ভাইরাসের প্রতি তার কর্মদক্ষতা কীভাবে পরিমাপ করা হচ্ছে এবং ইতিহাস তাকে কতটা দোষ দেবে তা মূল্যায়নের প্রতি প্রেসিডেন্টের প্রাথমিক দৃষ্টি নিবদ্ধ। ‘তিনি হতাশ’ -জানিয়েছেন, প্রশাসনের বাইরে ট্রাম্পের অর্থনৈতিক পরামর্শদাতা স্টিফেন মুর। তিনি আরো বলেন, ‘এটি উল্কায় আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ার মতো’।’
মুর তার যৌনবাদী মন্তব্য ও শিশুকল্যাণ সমর্থনে অর্থ প্রদানে অনীহার ইতিহাস প্রকাশিত হওয়ার আগে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ বোর্ডে বসার জন্য ট্রাম্পের প্রথম পছন্দ ছিলেন। (চলবে)
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।